লেখক পরিচিতি
সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত এই লেখকের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় সত্তরের দশকে। কবিতার জন্য দেশ বিদেশে সফর করেছেন তিনি। Fullbright Scholarship পেয়ে তিনি অধ্যাপনা করেছেন আমেরিকার IOWA বিশ্ববিদ্যালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের কবিতা একাডেমির সভাপতি তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন কবি সুবোধ সরকার। ডি লিট উপাধি পেয়েছেন গৌরবঙ্গ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ‘দ্বৈপায়ান হ্রদের ধারে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলোর মধ্যে কিছু হল, ভালো জায়গাটা কোথায়? মনিপুরের মা, বৈশাখী ও বব ডিলান, ঋক্ষ মেষ কথা। এখন পর্যন্ত ৩২টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন তিনি।
জন্ম কলকাতায় হলেও কাজের সূত্রে ঘুরে বেড়াতে হয় দেশ বিদেশে। কখনো আমেরিকা তো কখনো থাইল্যান্ড কিংবা লন্ডন। আদতে নিজেকে ভ্রামণিক বলতেই ভালবাসেন। মানুষের মনস্তত্ব নিয়ে কাজ করা যদি পেশা হয় তাহলে নেশা হলো নানান বিষয়ে লেখালেখি। গল্প,প্রবন্ধ ও পৌরাণিক চরিত্র কথনের আঙিনায় অবাধে বিচরণ করেন তিনি। রামায়ণ ও মহাভারতের চরিত্র বিশ্লেষণে বিশেষ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন অল্প সময়েই। পেশার চাপ সামলেও কলকাতার বহু নামী পত্রিকায় লেখেন নিয়মিত। এছাড়াও লেখেন নানান ওয়েব পত্রিকায়। প্রকাশিত বই “সুপ্রভাত বন্ধুরা”, “ব্রহ্মকমল”, “দ্রৌপদী” ও “ছয় নারী যুগান্তকারী”। শেষোক্ত বইটি ২০১৯ এর বইমেলায় পত্রভারতীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়ে অল্পদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেশ পত্রিকার অনুগল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম দশজনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। টার্মিনাসের তরফে পেয়েছেন পুরস্কার। আমন্ত্রিত অতিথিরূপে সম্মাননা পেয়েছেন ত্রিপুরায় দুই বাংলার সাহিত্য শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন স্কুলে মহাভারত নিয়ে বক্তব্য রাখার ডাক পড়ে মাঝে মাঝেই।
কাজ করেন মূলত মানুষের মন নিয়ে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জীবনের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি তাকে অনুপ্রেরণা দেয় প্রতিনিয়ত।