রতনতনু ঘাটী
ভাবছিলাম, তোমাকে ‘বৃষ্টিলেখা’ নামে কবে যে ডাকব!
‘রৌদ্রকুমারী’ নামে ডাকতাম কলেজ ক্যান্টিনে,
আবেল তাবোল লেকের ধারে দাঁড়িয়ে ডাকতাম ‘মন্দাকিনী’ বলে।
আর যেবার কুজ্ঝটির বেশে শীত নামল বাংলায়,
দোপাটি আর গাঁদার পাপড়িতে রঙেরা খেলতে ডাকল ভোরবেলা,
সেবার ‘নামাঙ্কিনী’ বলে ডাকতেই তোমার সে কী আপত্তি!
ওই নামটা পালটাতে গিয়ে নিচু গলায় ডেকে ফেললাম ‘নিবি’!
তোমার সে কী খিলখিল হাসি, যেন অকালপূর্ণিমা।
দেব দেব ভাবছিলাম, সেবারও তোমার নতুন কোনও নাম দিইনি।
আজ যখন নতুন ই-মেল পাঠানোর ভঙ্গিতে ঝিরঝির করে বৃষ্টি নামল,
মেঘে-মেঘে হোয়াটসঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রামের মুখশ্রী!
চকচক করে উঠল আমার খরাকবলিত রাজারামপুর গ্রামের চরাচর, তারপর… তারপর যখন তিনি আকাশ থেকে নামলেন,
আমি ডেকে উঠলাম, ‘বৃষ্টিলেখা, আমার বৃষ্টিলেখা!’
তখনও চাঁদ ওঠেনি। তবু আকাশ কাঁপিয়ে একটা দৈত্য চিৎকার করে উঠল,
‘হুররে, হুররে! আজ অকালপূর্ণিমা!’
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন