অরণ্য পেতেছে ফাঁদ, আমি তার সমূহ বিষাদ
শব্দহীন স্তব্ধতার ঘন অন্ধকার যেন জেগে আছে
নিবিড় আশ্লেষ নিয়ে মগ্ন চরাচর খেলা করে
মায়াবী আলোর মাঝে ঝুলে আছে পত্রান্তর ছায়া
কত শতাব্দী আগের লুপ্তপ্রায় সভ্যতার হাড়
আমি কেন খুঁজে পাই অরণ্য মৃত্তিকার গা থেকে
সেটাই রহস্য আনে, গূঢ়তর চার্বাক দর্শন
আমাকে মোহিত করে আন্তরিক নিরীশ্বরবাদ।
এই তো আবিষ্ট দেখা, এই সেই বিষণ্ণ বাতাস
আমি তাকে স্পর্শে রাখি বস্তুত সকাম উষ্ণতায়
যদিও দিকের চিহ্ন এখানে যে অপ্রাসঙ্গিক
তবুও নিজের দিকে ক্রমাগত খননের ইচ্ছা
প্রভূত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পুরাতত্ত্ব জেগে ওঠে রোজ
আমিও নিবিষ্ট হই অরণ্যের সুনিপুণ প্রেমে।