poem-batighar

বাতিঘর
সুধীর দত্ত

নতুনভাবে আজ আর আরম্ভ কিছু নেই। একটি প্রবাহ শুধু।
মৃত্যুর দিকে হেঁটে যায় প্রতিটি উপমা, তার গোড়ালির ক্ষত।
তবু জীব অবিনাশী, অংশ ঈশ্বরের। সুখরাশি
ডুবে থাকে
কীভাবে যে খোড়লের অন্ধকারে, সেই খোঁজ অজ্ঞানবশত
ভুমিলিপ্সা, যুদ্ধ, অপহরণের মতো, আরও কিছু
ইন্ধন হয়েছে।
অন্ধ দৈবজ্ঞ জানতেন,
নিয়তি কারও বাধ্য নয়, তবু মানুষ চেয়েছে জ্ঞান, জ্ঞানের তির্যক পরিণাম
ধ্বংস ডেকে এনেছে বারবার,
নিজের ও দশের।
পাখি কি বলেনি, “এই দেশ দেবতার, বাড়িয়ো না পা
এই দিকে
ভ্রমে, ভুলবশে ——-

ফিরে যাও যে দেশ তোমাকে দেওয়া?”
সেও গিয়েছিল ফিরে, অন্য পথে সানুদেশে
মন্দিরের চূড়া, গর্ভগৃহে।
এবং সে দেখেছিল সুবর্ণ বিগ্রহ, সাদা বরফের দেশ, তার বিদ্যুৎ-ঝলক?
কে কাকে পরাস্ত করেছিল?
ভয়ঙ্কর রণের কথা কে চিঠিতে লিখেছিল আচার্যের কাছে?
এখনও জ্বলন্ত বজ্র, ভয়ংকর সেইসব দিন যখন নদীর গভীরে চরা বিপুল পোকারা
হয়ে উঠত বীভৎস আগুন।
গঙ্গা ও বিপাশা নদীর মধ্যবর্তী যে দোয়াব–ওক্সিড্র‍্যাসিয়া
তাকে আসতে হয়েছিল ফিরে, অনিচ্ছাসত্ত্বেও, বিপাশার হাতছানি ছেড়ে,
পর্যুদস্ত, গৃহকারতা আর অজস্র ঘোড়ার মৃতদেহ, পাশে তিরন্দাজ।
কেননা পবিত্র সেই দেশে
সূর্য নেই, নেই চাঁদও। তবু এই চাঁদপুর, ভরে থাকত আলো আর আলেয়ায়,
আশ্চর্য মানষগুলো, উলঙ্গ ফকির, পৃথিবীর
চূড়ান্ত স্বাধীনচেতা, প্রয়োজনহীন।

তবুও মানুষমুখী পাখিদের কথা হয়ত মনে পড়ে গিয়েছিল তার।
পাখিরা কি দেবদূত– রূপান্তরিত?
মাঝপথে মৃত্যুর ছোবল, দূরে তক্ষশিলা, চেনাব ও সিন্ধুর সঙ্গমে
আলেকজান্দ্রিয়া, বাতিঘর



এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *