poem-dupur-aaraita

দুপুর আড়াইটায় একপিস দস্তয়েভস্কি
যুবক অনার্য

চৌরাস্তার জ্যামে জাবর কাটছে গাড়ির বিবিধ ইঞ্জিন, অফিসপাড়ার
নয়টা-পাঁচটা রুটিনড পোশাক গগলসমুদ্রিত নারী।
এর মাঝখানে আমি অনিচ্ছুক উপসর্গ হয়ে
হেঁটে যাই আজিজ সুপারে- জনান্তিকে।

স্মৃতির অরুণাভ জলে, বিবস্ত্র প্রচ্ছদে ভেসে ওঠে-
আকস্মিক রোদের ভূমিকা থেকে সেই মেয়ে উড়ে গ্যাছে
সনাতন সন্ন্যাসীর তরুণ আশ্রমের মতো। জর্মন শহরে
অথবা শহরতলিতে বাড়ির উঠোনে তেঁতে ওঠে
দৈনিক শ্লেজগাড়ি। অবিভক্ত উদাস কালপুরুষ
দুইচোখে খুঁজে পায় নিষিদ্ধ অপরাহ্নের
শব্দিত ফুলের ঘ্রাণ, রেণুর জমজ।

সেইদিন, জনান্তিকে, সেই মেয়ে দুপুর আড়াইটার ঘড়ি,
একটি জর্জীয় কবিতার শেষ লাইন, অপ্রকাশিত রঙের
উপমা নিয়ে ছড়ায় দার্শনিক সৌরভ-আপনাদের
কাছে দস্তয়েভস্কির…

পৌনে তিন লাইন অযাচিত কথা।–

কী কথা?- বের্টোল্ট ব্রেখট…ভর্টিজম…
চার্বাক লেনে হাঁটু ভাঙা ‘দ’-এর ভঙ্গিমায়…
অথবা ভ্যানগঘ তার প্রেমিকাকে ডান নাকি
বাম কান…। মনে নেই!

একদিন জনান্তিকে দুপুর আড়াইটায় আমাদের মাঝখানে
একপিস দুর্দান্ত দস্তয়েভস্কি সুরম্য উপাখ্যানের
নাতিশীতোষ্ণ ইতিবৃত্ত অচিরেই জ্বালিয়ে রেখেছিলো।



এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *