মৌমন মিত্র

“আমি গরিব মানুষ। বাংলায় গান গাই। তোদের মতো কর্পোরেট স্টার নই। আমাকে বলে কী হবে?”
ফোনের ওপার থেকে সইয়ের স্বর ভেসে এল। আমি হেসে সমকে বললাম, “তোর বউ কাকে যেন ঠেস দিচ্ছে খুব। কর্পোরেট স্টার নই। বাংলায় গান গাই” সম বলল, “ও সারাক্ষণই এ সব বলে। লোকজন এগুলো শুনে আরও স্নব ভাবে ওকে।”
“যাই বল। সই জাস্ট অসাধারণ গান গায়। এখন ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভেটারান বস! বললে হবে!” সম হাসে। গর্বের হাসি, না হিংসের হাসি? ফোনে বোঝা সম্ভব নয়। সমের সঙ্গে আরও কিছু কথা বলে সেদিন ফোনটা রেখে দিয়েছিলাম।
তানি বাড়ি ফিরবে আধ ঘণ্টা পর। আজ সোমবার। ছেলে, রোহানকে সাঁতারের ক্লাসে নিয়ে গিয়েছে। এই আধ ঘণ্টা সইয়ের একটা সিডি শুনব? তানি এসে গেলে হয়ে গেল। সইয়ের সিডি হাতে দেখলেই অশান্তি! কেন, কে জানে! ও রবীন্দ্রসঙ্গীত ভালবাসে। তেমন শোনে না ঠিকই। শেখেওনি কোনওদিন। আর, টেক্সাসে চলে আসার পর বাংলা, রবীন্দ্রনাথ চর্চা সব মাথায় উঠেছে। আমাদের দু’জনেরই।
রোহনকে মানুষ করতেই আমাদের রাত দিন কাবার হয়ে যায়!
ছেলেটাকে কিছুই বাংলা শেখানো হল না। তানি নামটাও এমন রাখল ছেলেটার। রোহন। ডাকলেই কেমন অবাঙালি, অবাঙালি লাগে। কতবার বলেছিলাম, “আমি একখানা ডাক নাম দিই? বাঙালিদের তো ডাকনাম থাকে।” নাহ, কিছুতেই শুনল না তানি। বলল, “ফর গডস সেক। ডোন্ট কনফিউজ হিম। বিদেশে বড় হচ্ছে। নাম নিয়ে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে। রোহন ইজ গুড। নামটা ছোট করে কেউ কেউ ‘হান’ ডাকবে। সেক্ষেত্রে কনফিউশন হবে না। এখানে কাছের মানুষকে ‘হানি’ ডাকে। এখন সবার হাতে অত সময় কই? হানি ছোট করে ‘হান’ হয়ে গিয়েছে। খুব মিষ্টি। লাভ ইট। তুমি প্লিজ আর বাঙালি নাম-ফামের চক্করে যেও না।”
আমিও তখন নতুন এসেছি এই দেশে। তখন তো বাবা মাকে কথায় কথায় ফোনও করা যেত না। খুব একা লাগত। অফিসের পর কী করব? বন্ধুবান্ধব নেই। ক্লাবঘরে ক্যারাম পেটানো নেই। আমেরিকান টিভি-শো ভাল লাগত না। অফিসের এক কলিগ বলল কাউনটি লাইব্রারি যেতে।
যেতাম। কত বই পড়তাম সেই সময়। তার মধ্যে ঝুম্পা লাহিড়ীর নেমসেক উপন্যাস পড়েছিলাম। পরবর্তীকালে তানির মুখে ‘আইডেন্টিটি ক্রাইসিস’ কথাটা শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সত্যিই, বাঙালি নাম নিয়ে যদি ছেলের ‘নেমসেক’ হয়? তবে, ডাকনাম তো রাখাই যেত।
যাক গে। যা হয়নি। তা হয়নি। তার জন্য আমিও দায়ী। একা তানিকে দোষ দিয়ে কী হবে?
“যে রাতে মোর দুয়ারগুলি…” আহা! মেয়েটা যখন গান করে, একেবারে অন্য মানুষ। কী যে কণ্ঠস্বর ঈশ্বর দিয়েছেন! টানা পনেরো মিনিট শুনলে কান্না পেয়ে যায়। কিসের কান্না, বুঝতে পারি না।
এককালে মা বাবাকে ছেড়ে এতদূর চলে এসেছিলাম, তাই জন্য?
বিবাহিত জীবনে সমস্যা? না না। তানি ভাল মেয়ে। দেখতে সুন্দর। রোহন হওয়ার পর খানিকটা মুটিয়ে গিয়েছে। ও আমার চেয়ে চোদ্দ বছরের ছোট। চেহারায় জেল্লা ফুরিয়ে যায়নি এখনও। যদিও মিড থার্টি হলেই এই দেশের বাঙালি মেয়েগুলো কেমন যেন বুড়িয়ে যায়। মুটিয়ে যায়।
সই আলাদা।ওর ফর্সা গালে টোল পড়লে ‘মনে…রেখে দেব’ ডায়লগটা ঘুরে ফিরে মাথায় আসবেই যে কোনও বাঙালি পুরুষের। চোখে ভারী ফ্রেমের চশমা। চল্লিশ হল এই অঘ্রাণে। চোয়াল, চোখের কোণ দেখলে বোঝার উপায় নেই। এই, এই…একমাত্র এই ব্যাপারটাতেই সম আমাকে টেক্কা দিয়ে দিল।
লেখাপড়া, চাকরি – কোনও কিছুই কিন্তু ও আমার লেভেলে পারেনি আজ পর্যন্ত।
সম স্নাতকে ফিজিক্স পেয়েছিল। আমি অঙ্ক। মাস্টার্সের পর আমি সোজা টেক্সাস। ও অনেক রগড়ে, ঘষটে এসেছিল মিশিগানে। প্রত্যন্ত গ্রামে থাকত। ফেসবুকে ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টের ছবি দেখেছিলাম।
এই তো বছর দশেক হল নিউ ইয়র্ক শিফট করেছে। নিউ ইয়র্কের পে-স্ট্রাকচারে ঢুকতে টানা দশ বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে ওকে। তাও শুনেছি ওর একটা গাড়ি। এই দেশে একটা গাড়ি নিয়ে চলে? কী জানি বাবা! আমার শুনলেই দম বন্ধ লাগে।
মানে, ধরুন, আমি যেখানে যাব তানিকে বলে যেতে হবে। তানির সঙ্গে আমার বেরোনোর সময় খানিকটা অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। সম্ভব, বলুন? অবশ্য, সই চাকরিবাকরি করে না। হয়তো সেইজন্যই ওদের একটা গাড়িতেই চলে যায়।
আমি প্রথম দিন থেকেই বিদেশে টপ, টপ, টপ। চাকরি। ঘর বাড়ি। দু’দুটো দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। বিদেশ এলেই হবে? আমার লাইফস্টাইল আর সমের লাইফস্টাইল এক নয়। আকাশ পাতাল তফাত। বুঝলেন?
দেখছেন। আবার সেই তুলনা। তানি ঠিকই বলে। এই কারণেই আমার বন্ধুর সংখ্যা দিন দিন কমছে। বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করা আমার কেমন যেন একটা অভ্যেস। কিছুতেই অভ্যেসটা বদলাতে পারি না।
আর-একটা বিষয়ও বয়সের সঙ্গে আমার মধ্যে ভর করছে। লোক দেখানো হাবভাব। কেন বলুন দেখি? আমি বুঝতে পারি না। খুব ইচ্ছে করে বন্ধুদের বলতে আমার কত আছে। কী কী আছে। সে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দেখানো হোক, কিংবা, সোশ্যাল গ্যাদারিং-এ । কত বন্ধু যে হারালাম এই করে, অথচ, কিছুতেই স্বভাব বদলাবে না।
বুঝি, কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না মনের ইচ্ছে। অবশ্য, ভাবি, এই বয়সে এসে নিজেকে বদলেই-বা কী হবে?
তবে, হ্যাঁ, বন্ধু কম বলেই হয়তো সমের সঙ্গে আমার যোগাযোগটা এখনও রয়েছে। আমিই শালাকে নিয়মিত ফোন করি। ও করে না। ও অবশ্য ছোটবেলা থেকে আন- সোশ্যাল। স্কুলে লেখাপড়া, খেলাধুলো নিয়েই থাকত বেশি। আপনমনে।
আমি লক্ষ করেছি, সম কিছু মনে করে না। আমি যতই আমার সাফল্যের কথা শেয়ার করি, ইউরোপে বেড়ানোর গল্প করি, ও পাত্তা দেয় না।
রোহন প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। সে সব গল্প যখন করি, সম শোনে। কখনও আমাকে হিংসে করে না ও। কেন করে না হিংসে? সমের ইচ্ছে করে না আমার মতো সফল হতে? মনে হয় না। চিরকাল ব্যাটা মিডিওকারই থেকে গেল!
সইয়ের গান চলছে। কত কী ভাবিয়ে দিল মেয়েটা গাইতে গাইতে! মনের কথাগুলো কীভাবে যে খুঁড়ে বের করে ফেলে ও! ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন ভাবুক হয়ে থাকা যায় না? অফিস, সংসার, দায়িত্ব – সব ভুলে?
ডোর বেল। তানি ফিরল বোধহয়। ওর কাছে আর- এক গোছা চাবি থাকে বাড়ির। দরজা খুলে নেবে। আমি বরং সিডিটা সরিয়ে রাখি আলমারির ভিতর। যদি দেখে বিছানায় শুয়ে ছাদের দিকে এক মনে তাকিয়ে আমি সইয়ের গান শুনছি, আজ হয়ে গেল আমার। আমার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করবে। চেঁচামেচি। অস্বস্তিকর। কোনও প্রয়োজন নেই। সংসারে ডেকে অশান্তি কোন বলদে আনে?
ঠাস করে দরজা বন্ধ করল তানি। কেন? ছেলের ওপর রাগ? হতেই পারে। অমুকের ছেলের বাটারফ্লাই স্ট্রোক শিখে ফেলল, তুই একই জায়গায় রয়ে গেলি। গাধা নাকি? এ সব তো রোহন প্রতিদিনই শোনে। বেচারা! কী করবে? আমি তানিকেও দোষ দিই না।
আমি যতটা সফল সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছেলেকে কিছুটা অন্তত ট্যালেন্ট দেখাতে হবে তো! নয়তো লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাবে না? মুখে যতই বলি, শিশুমনে চাপ দেওয়া উচিত নয়। যা ভালবেসে করে, করুক।
ও সব আসলে কথার কথা! আমার একটা ইমেজ নেই চারপাশে? সবাই দেখবে আর ভাববে, চিফ টেকনোলজি অফিসারের ছেলে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাবুডুবু খায়? ছি! ভাবা যায় না।
বাচ্চার মনে চাপ তৈরি করতে হবে। চাপের ভয়ে যেটুকু এগোতে পারবে, সেটাই রোহনের ট্যালেন্ট। বুঝলেন? গোপন কথাটি বলে দিলাম কিন্তু আপনাদের। বেফাঁস কাউকে বলে দেবেন না।
ও, সিডি সরাতে গিয়ে মনে পড়ল। পরের মাসে নিউ ইয়র্কে আমার একটা কনফারেন্স আছে। দুই রাত্রির ট্রিপ। সন্ধেবেলা সম আর সইয়ের সঙ্গে খানিকক্ষণ দেখা করলে কেমন হয়? হাডসানে একটা ক্রুজ বুক করি? ওয়াইন, খোলা জানলা আর সইয়ের মাতাল কণ্ঠস্বর। জমে যাবে, কী বলেন?
এর অনেক দিন পর, কী আর বলি, একটি অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটে গেল। যে ঘটনার ভার আমাকে চিরটাকাল বইতে হবে। বিশ্বাস করুন, আমি এমনটা চাইনি। আমার চাওয়ার কথাও নয়। কেনই-বা চাইব, বলুন?
হার জিত মানুষের জীবনে লেগেই থাকে। সে সব একটা বয়সের পর মাথায় রাখে না কেউ। আর, সত্যি বলতে, হার জিত বিষয়টা একেবারে আপেক্ষিক। তাই না?
সেই দিন জাহাজের এক কোণে সই দাঁড়িয়েছিল। গাইল অনেকক্ষণ। দে তোরা আমায় নূতন করে দে। জ্যোৎস্নার আলো। দু’দিকে ম্যানহ্যাটান শহর। মুখের ওপর আছড়ে পড়ছিল হাডসানের সোঁদা বাতাস।
বিশ্বাস করুন, নিউ ইয়র্কে আগেও এসেছি। অফিসের কাজ থাকে। কখনও ঘুরতে। পরিবারের সঙ্গে। এর আগে এইভাবে শহরের প্রেমে পড়িনি কোনওদিন। শহর না অন্য কেউ আমাকে টানছে?
সমের কথাও ভেবেছি। তার পাশাপাশি ভেবেছি, সইকে ভাল না বাসতে পারলে প্রতি রাতে আমার ঘুমের পিল বেড়ে যাবে। অফিসের পর প্রতি সন্ধ্যায় মদে ডুব দিতে হবে।
কিছুতেই ভেবে উঠতে পারি না। কীভাবে? কীভাবে সম এই মেয়েটাকে পায়? আমিই সইয়ের যোগ্য। সম নয়।
সেই রাতে হোটেলে ফিরে টেক্সট করলাম সইকে।
“এই অধম প্রেমে পড়েছে তোমার। স্পষ্টভাবে জানালাম আমার অস্পষ্ট প্রেম। আমাকে নাও। বলো কীভাবে তোমার গ্রহণযোগ্য হই আমি?”
টেক্সট করে ভাবলাম দু’দণ্ড। খুব বেশি কী হতে পারে? ও সমকে গোটা বিষয়টা জানিয়ে দেবে? দিক। কিন্তু, যদি না জানায়? যদি আমার প্রস্তাবে রাজি হয় ও? আমার জীবনের অনেকটা অংশ বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে বলতে, একদিকে তানিকে সহ্য করতে পারার জন্য একটা মোটিভেশন লাগে। দৈনন্দিন। সেটা সই দেবে। অন্যদিকে সম হেরে যাবে। শেষমেশ। আমার কাছে। আমার চেয়ে কম পারে ও, তা হলে, সমের সঙ্গী সই কেন হবে? কারণটা কী?
এ সব ভেবেই টেক্সট করেছিলাম। বড় ঝুঁকি নিয়েছিলাম।
এর পর বেশ কয়েকদিন কোনও উত্তর এল না সইয়ের। কী ভাবছে মেয়েটা কে জানে! আরে বাবা আমি ভিলেন নই। প্রেমে পড়ে গিয়েছি। তোমার কণ্ঠ, তোমার শরীর, গোটা তুমির প্রেমের পড়ে গিয়েছি আমি। সেটা অপরাধ? অন্যায়? মাঝ বয়সে প্রেম হতে পারে না? কতই তো হচ্ছে চারপাশে। এ আর নতুন কী! তা হলে? তা হলে উত্তর দিচ্ছে না কেন সই? মেসেজ ‘সিন’ করে রেখে দিল। অথচ…
ছটফট করতে করতে ফের টেক্সট করলাম, “কিছু তো বলো! একেবারে যে চুপ হয়ে গেলে?”
ও মা! এই টেক্সটের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এল।
“আমি গান গাই, দ্বীপ। সম আমার বাড়ি। তালের প্রথম মাত্রায় আমাকে ফিরতে হবে। নয়তো সুর হারিয়ে যায়”।সঙ্গে একটা স্মাইলি জুড়ে দিয়েছে।
মানে? এর মানে কী? বুঝলাম না। তাড়াহুড়োয় একটা স্ক্রিনশট নিলাম আমাদের কথোপকথনের। সইকে পাঠিয়ে ফের প্রশ্ন করলাম, “সহজ করে বলবে?” স্ক্রিনশট পাঠানোর আগেই সই আবার লিখল, “সম কাউকে হারিয়ে দেয় না। সবাই জিতলে আনন্দ হয় ওর। আমি জানি, আমি বুঝি, তোমার একটা প্রতিযোগিতা, হার জিতের লড়াই আছে সমের সঙ্গে। সেই স্কুল জীবন থেকে। আমি কীভাবে বুঝলাম? জিজ্ঞেস কোরো না। কেমন? আমি বুঝি। কীভাবে বুঝি, বলা মুশকিল। তানির বাইরে কোনও সম্পর্কে যাওয়া মানে বিবাহিত জীবনে তুমি কোথাও যেন হেরে গেলে। তাই না? তুমি জিতে যাও, দ্বীপ। সম তাই চায়। আমিও”।
হোম স্ক্রিনে ফিরে দেখি, ভুল করে কয়েক মিনিট আগে তানিকে স্ক্রিনশটটা পাঠিয়ে দিয়েছি।
ফের সমই জিতল। একেবারে জিতে গেল?
অনেক দিন, মাস, বছর পেরিয়ে গেল। তানি আজও কোনও প্রশ্ন করেনি আমাকে স্ক্রিনশটের বিষয়ে। অফিস থেকে ফিরে একদিন দেখি, ও সইয়ের গান শুনছে। সিডি কোথা থেকে পেল? আমি তো লুকিয়ে রাখতাম সইয়ের সিডি।
সইয়ের কী অদ্ভুত তাল, মাত্রা জ্ঞান। সমে ফিরবেই।
এবারও হেরে গেলাম, সম। তুই জিতে গেলি।
এত হার, জিত ভাবিস না তুই। জীবনকে জীবনের মতো গ্রহণ করতে জানিস। সেটাই তোর সাফল্যের সেরা চাবিকাঠি বোধহয়।
এই স্বীকারোক্তিগুলো পাঠাব সমকে? নাহ। থাক। পড়লে ও জিতে যাবে। খোলাখুলি।
জীবনের কিছু কথা মনে রেখে দিতে হয়। সইয়ের গালে টোল পড়লে এই কথাটাই তো মনে পড়ে যায়। বার বার।
সই কি জিতল না হারল এই খেলায়? তানি যখন সইয়ের গান শোনে ইদানীং, প্রায়ই প্রশ্নটা খেলে বেড়ায় আমার মাথার অবুঝ কোষের ভিতর! সম, কেমন জয় দিলি আমাকে? আজীবন এই জয়ের ভার বইব কীভাবে, বন্ধু?
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন