খুনের সংবাদ ধরাতে
মোজাফফর হোসেন
মোজাফফর হোসেন
দৈনিক দেশের বাণীর মফস্বল এডিটর শরিফ। প্রতিদিনের মতো আজও শত শত খবর এসেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। শিরোনাম দেখেই অর্ধেক খবর ফেলে দেয় মফস্বল ডেস্কের সাব-এডিটররা। খুন-ধর্ষণ-গুমের মতো গুরুতর ক্রাইমের খবর থেকেও কিছুটা ছাঁটা পড়ে। ১০ পৃষ্ঠার দৈনিক। এর মধ্যে প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা এপিট-ওপিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য। ইনারে দু’পৃষ্ঠা খেলাধুলার। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কারণে একপৃষ্ঠা বাড়ানো হয়েছে। একপৃষ্ঠা আন্তর্জাতিক। এই পৃষ্ঠা অর্ধেকটা যায় বিজ্ঞাপনে। সাদাকালো সস্তা বিজ্ঞাপন–কারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা, পাত্র/পাত্রী চাই, চাকরির বিজ্ঞপ্তি, নিখোঁজ/শোক সংবাদ, ফ্ল্যাট বিক্রি–এইসব। অর্থনীতি ও অন্যান্য সংবাদ দিয়ে এক পৃষ্ঠা। আজ শুক্রবার, সাহিত্য সাময়িকীর জন্য বরাদ্দ এক পৃষ্ঠা। বিনোদনের পৃষ্ঠাটা সম্পূর্ণ রঙিন। মানুষ গুজব পছন্দ করে। পৃষ্ঠা জুড়ে দেশ-বিদেশের বিনোদন জগতের গসিপ। এই ডেস্কে কাজ করে আদিত্য। মনের মতো খবর না পেলে বলিউডের সানি লিওন, পুনম পান্ডের মতো অভিনেত্রীদের খবর বানিয়ে বড় করে অর্ধনগ্ন ছবি সহ পাতা ছেড়ে দেয়। পরদিন আবার তার ওই বানানো খবর কোন কোন দৈনিক কিংবা অনলাইন কপি করেছে সেটা সে শফিককে দেখাতে আসে। শফিককে দেখানোর বিশেষ একটা কারণ আছে। ও চেয়েছিল বিনোদনের পাতাটা ছোট হয়ে মফস্বলের খবরের অংশ কিছুটা বাড়ুক। শফিকের কথা সম্পাদক কানে তোলেননি। তাই অল্প জায়গাতে অনেকগুলো নিউজ ধরাতে হয় ওকে। এসব খবর কেউ পড়ে না বলে সম্পাদকের বিশ্বাস। হত্যা-গুম-ধর্ষণ- মামলা এমন নিরস খবর পড়ার জন্য কেউ টাকা দিয়ে পেপার কেনে না। কিন্তু সংবাদপত্র যেহেতু, তাই দেশের দৈনন্দিন এসব খবর বাদ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। তাছাড়া মাঝে-মধ্যে ভাইরাল হওয়ার মতো দুর্দান্ত যে দুয়েকটি খুন কিংবা ধর্ষণের খবর আসে মফস্বল থেকে, সেগুলো চলে যায় প্রথম অথবা ব্যাক পেইজে। যেমন বরগুনার প্রকাশ্য খুনের খবরটা প্রথম পাতায় চলে গেল। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার খবরটি প্রথমে ইনারে গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠলে প্রথম পাতার লিড হয়ে গেল। এর আগে তনু ও রূপার খবরটা যেমন গেছে। অন্তরালে ঘটা অন্যান্য খুনের খবর পড়ে থাকে ইনারে, মফস্বলের পাতায়। শফিকের মন খারাপ হয় ওর পাতাটা গুরুত্ব পায় না ভেবে। প্রতিটা খুন-গুম-ধর্ষণ স্ব স্ব পরিবারের জন্য সমান বেদনার। প্রকাশ্যে ঘটুক আর অন্তরালে, প্রতিটা খুনই নির্মম-নৃশংস। প্রতিটা খুনেই খুনের শিকার ব্যক্তির বেঁচে থাকার আকুতিটা একইরকম। কিন্তু যে খবরটি ভাইরাল হয় বা ভাইরাল হওয়ার মতো, সেটিই কেবল বিশেষ ট্রিটমেন্ট পায়। অন্যগুলো আলোতে আসে না। শফিকের মন খারাপ অবশ্য সে কারণে না। হত্যা-ধর্ষণের হট খবরগুলো ওর পাতাছাড়া হয় ভেবে ওর খারাপ লাগে।
যথারীতি আজও অনেকগুলো খুন-ধর্ষণের খবর এসেছে। কোনোটাই হিট বা ভাইরাল হবার মতো না। সবগুলো প্রতিদিনকার মতো। শফিকের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এমন একঘেয়ে খুনের খবরে। এদেশে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মতো খুনিরাও খুনের স্টোরি কপি-পেস্ট করে। সব কিছুতেই বাঙালীর মেধা কম। কালেভদ্রে এরশাদ শিকদারের মতো ক্রিয়েটিভ খুনি আসে। যাকে বলে সাইকো-কিলার। হলিউডের সিনেমায় কত ধরণের সাইকো-কিলার দেখা যায়। বাস্তবের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত। এদেশের খুনিরা ওসব সিনেমা দেখে না বলে শফিকের বিশ্বাস। ওর হাতে ক্ষমতা থাকলে খুনিদের একত্রিত করে এসব সিনেমা দেখাত। তখন হয়ত শফিকের পাতার কদর বেড়ে যেত, সম্পাদক স্পেস বাড়িয়ে দিতেন।
অন্যদিনের মতো আজও গুম ও খুনের স্টোরিগুলো বাছাই করে সার্ভারে তোলে মফস্বল ডেস্কের সাব-এডিটর সুমন। রফিক পাঠাবে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের খবরগুলো। কবির পাঠাবে অন্যান্য খবর। সুমনের পাঠানো ফাইলটা খোলে শফিক। পরপর সাজানো–গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা; বাস-নছিমন সংঘর্ষে এক পরিবারের চারজনসহ মৃত ১০; নেশার জন্য মাকে গলা কেটে হত্যা; নদীতে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার; নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার; হাসপাতালের ড্রেনে নবজাতকের লাশ উদ্ধার; যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবার বলছে খুন; পাটক্ষেতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ; কলেজ কোন্দলে ২ ছাত্রলীগ কর্মী খুন; বুড়িগঙ্গায় নিখোঁজ ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার; পুকুরপাড়ে দম্পতির গলাকাটা লাশ; মাকে দেখতে এসে লাশ হলেন সাংবাদিক; বউয়ের কথায় মাকে খুন। একটাও হিট হওয়ার মতো না। কদিন আগে একটা খবর ছিল, লিচু খেতে চাওয়ায় দু’কন্যাকে হত্যা করলেন বাবা, এমন মাঝারি মানের আকর্ষণীয় খুনের খবরও নেই। শফিকের মন খারাপ হয়। সমস্যা হলো বরগুনার ঐ ঘটনার পর খুনিদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এ ধরণের খুনের দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করার জন্য অনেকে মোবাইলের ক্যামেরা অন করে ঘোরে। এর আগে সিলেটে শিশু রাজনকে জনসম্মুখে বেঁধে পিটিয়ে মারার সময় যেমন হয়েছিল, একজন পেটাচ্ছে, অন্যরা ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। যে যত দ্রুত আপ করতে পারবে তার তত শেয়ার। এরকম একটু ভিন্ন ধরণের হত্যার খবর না পেলে জনগণ পড়ে শিহরিত হয় না। শিহরিত না হলে খবর পড়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় তারা। খবরে আকর্ষণ বোধ না করলে পেপার কিনবে কেন! পেপার না কিনুক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও তো লাভ, সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সনে ক্লিক বেড়ে যায়।
মাঝে মধ্যে কিছু খবর আসে হিট হওয়ার মতো না। কিন্তু জনগণ কি ভেবে যেন লুফে নেয়। আবার কিছু কিছু হত্যার খবর পড়ে মনে হয় ভাইরাল হবে, কিন্তু হয় না। আবার হয়ত দেখা গেল, ভাইরাল হওয়ার মতো খুনের ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচের দিন। পুরাই ফ্লপ। সেদিন আর শফিকের পস্তানির শেষ থাকে না।
শফিক কয়েকটি খুনের খবর সংক্ষিপ্ত করে একটা খবরে নিয়ে আসে। শিরোনাম দেয় ‘দক্ষিণবঙ্গে ৭ খুন’ ‘সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৯’- এইরকম করে। এতে কিছু জায়গা বেঁচে যায়। অন্য খবরও ধরাতে হবে। বিশেষ করে মফস্বল এডিটরদের কিছু পছন্দের খবর থাকে। ওগুলো না ছাপলে ওদের আয় বন্ধ হয়ে যাবে। হাউস থেকে তো আর সকলে বেতন পায় না, যারা পায় তাও পাঁচের বেশি না। ওদের জন্য কোটা রাখতে হয়। হাউস পলিসিতে এটা আছে; শফিকের না করার উপায় নেই।
খবরগুলো যখন ছেড়ে দেয় তখনই সুমন আসে। অন্যদিনের থেকে ওকে আজ বেশ শুকনো দেখায়। জড়সড় হয়ে শফিকের সামনের চেয়ারে বসে। এই সময় কাজের চাপ। খবরগুলো পেইজ মেকআপে পাঠাতে হবে। বিজ্ঞাপন বাড়লে আবার ছেঁটে দিয়ে আসতে হবে। শফিক আগ্রহ দেখাতে না চাইলেও সুমনের চেহারা দেখে ঘুরে বসে।
“শরীর খারাপ? আজ আগে যেতে চাও?” শফিক জানতে চায়।
“না বস।” সুমন খসখসে গলায় উত্তর দেয়।
“পানি খাও। তবে বেশি পানি খাবা না। রাজধানীর পানি যত কম খাবা ততই মঙ্গল। দেশে গেলে আমার মতো বেশি করে পানি খেয়ে আসবা।” শফিক পানির বোতলটা সুমনের হাতে তুলে দিয়ে বলে।
“বস, খবরটা পড়েছেন?” সুমন জানতে চায়।”
“কোন খবর?” শফিক ততক্ষণে কম্পিউটারে স্ক্রিনে মন চুবিয়েছেন।
“ওই যে খুনের?”
“খুন তো অনেকগুলো। কোনটা বলছ? সবগুলো তো পড়তে পারিনি। এত চাপ আজ সংবাদের।” শফিক বলে।
“শফিক খুন হয়েছে–ওই খবরটা?” সুমন বলে।
“আচ্ছা। পড়েছি বোধহয়। মনে পড়ছে না। কেন?”
“শফিকের বাড়ি মেহেরপুর বস।” সুমন কিছু একটা বোঝাতে চায়।
“তো?”
“আপনার বাড়িও তো মেহেরপুর?”
“মেহেরপুরে কি একজন শফিক আছে মিয়া? এটা খুব কমন নাম। রাস্তায় দাঁড়িয়ে শফিক বলে ডাকো, দেখো চারজন উত্তর দেবে। তাছাড়া এক নামের কেউ মরলে” আরও নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। মানে সে তো আর পরিবারের কেউ হবে না। এক পরিবারের দুজনের নাম একরকম হতে দেখেছো কখনো?” শফিক বলে।
“খুন হওয়া শফিকের বাড়ি উজুলপুর। সুমন বলে।”
“তো?”
“গত বছর না উজুলপুর থেকে ঘুরে এলাম? আপনার ছোটভাইয়ের বিয়েতে আমাকে নিয়ে গেলেন।”
“আচ্ছা, আমার গ্রামের ছেলে? খবরটা তাহলে মন দিয়ে পড়িনি। গ্রামে তো শফিক নামে আর কারও কথা মনে পড়ছে না। নতুন ছেলে হবে। গ্রামে থাকি না মেলা বছর, কখন কে কি নাম নিয়ে বড় হচ্ছে তা কি জানি!” শফিক বলে।
“বস, আপনি সম্ভবত বুঝতে পারছেন না! যে শফিক খুন হয়েছে তার বাবার নাম আবদল্লাহ নাসের। প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আপনার বাবাও তো?” সুমনের কথা এখন পরিষ্কার হয়।
“আচ্ছা, হবে আরেকজন।” শফিক উড়িয়ে দিয়ে বলে।
“আবদুল্লাহ নাসের নামে একাধিক ব্যক্তি আপনাদের গ্রামে থাকতে পারে। কিন্তু এই নামে আপনার বাবা ছাড়া আর কোনো অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আছেন? থাকলে তো আপনার চেনার কথা?” সুমন জানতে চায়।
“না, তা নেই। দেখো-গে, প্রতিবেদক বাবার নাম ভুল লিখেছে অথবা গ্রামের নামটাই ভুল এসেছে। যে কোনো একটা ভুল হয়েছে। ওকে ফোন দাও। বেশি কনফিউশন থাকলে এ খবর ছাপার দরকার নেই। এমনিতেই এটা ছাপার মতো খবর না।” শফিক বলে।
“বস, আপনি না তিনদিন আগে আপনার মাকে দেখতে বাড়ি গেলেন?” সুমন জানতে চায়।
“হ্যাঁ; গেলামই তো। কাল রাতে ফিরেছি। ভেবেছিলাম আজ অফিসে আসব না। কিন্তু শরীরটা ফুরফুরে থাকায় চলে এলাম।” শফিক বলে।
“খবরে এসেছে, মাকে দেখতে এসে জমিজমার জের ধরে খুন হলেন সাংবাদিক শফিক। আপনি তো বলছিলেন, জমিজমার কিছু ঝামেলা আছে; সময় পেলে মিটিয়ে আসবেন?” সুমন বলে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে। ওর গলা আরও শুকিয়ে যায়।
শফিক উঠে দাঁড়ায়। ফের বসে। একটুও বিচলিত মনে হয় না। “আমাকে তো তুমি দেখতে পাচ্ছ; পাচ্ছ না? মৃত মানুষকে কেউ কখনো দেখেছে এভাবে ঘুরে বেড়াতে; অফিস করতে?” সুমনকে প্রশ্ন করে। কিছুটা বিরক্ত বলে মনে হয় ওকে।
“বস, খবরটা আপনি পড়েননি?” সুমন বলে। ও এখন ভয় পাচ্ছে বলে মনে হয়।
“না পড়িনি। জমিজমার জের ধরে খুন–এরকম মুখস্থ হত্যার খবর কেউ পড়ে? কোনোদিন ভাইরাল হতে দেখেছ এমন খবর? যে খুনকে কেউ খুন বলে মনে করে না, তেমন খুন আমি মানবো কেন? এ খবর ছাপা হবে না; যাও, ভিডিওসহ খুনের খবর নিয়ে এসো। না পেলে বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়াও, নিজে মেরে নিয়ে আসো; কেউ তোমাকে বাধা দেবে না। পকেট মারতে যাও জনগণ বাধা দেবে, কিন্তু খুন করতে গেলে দেবে না। চোখের সামনে সাক্ষাৎ খুনিকে মারবে না, কিন্তু গুজবে নিরপরাধ মানুষকে খুনি ভেবে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলবে।” শফিক রেগে উঠে বলে। অস্বাভাবিক দেখায় ওকে। মনে হয় চোখ দিয়ে আগুন বের হয়ে আসবে।
শফিক রাগতে জানে না। অন্তত গত দশ বছরে একসঙ্গে চাকরি করতে করতে সুমনের তাই মনে হয়েছে। আজ শফিকের চোখের দিকে তাকানোর সাহস হয় না ওর। একবার মনে করে দৌড়ে বের হয়ে যাবে রুম থেকে। কিংবা ভূত ভূত বলে চিৎকার দেবে। কিন্তু ওর পা দুটো অসাড় হয়ে ওঠে। মুখ দিয়ে কথা বের হয় না। ও চাইলেও উঠতে পারে না চেয়ার থেকে। চিৎকার করতে পারে না “বাঁচাও বাঁচাও” বলে।
“যাও মিয়া। নিজে যদি কোনোদিন খুন হও, প্রকাশ্যে নতুন স্টাইলে খুন হবা। নাহলে কিন্তু খবরের কাগজে ধরাতে পারবা না। সারাজীবন কাগজে খুন-হত্যার খবর ছেপে গেলা, নিজে খুন হওয়ার খবরটা ছাপা হলো না, এই দুঃখ তখন রাখবা কোথায়! মরার পর যারা খুন হয়েছে তারা যদি জিগায়, আপনার কয় ইঞ্চি কয় কলাম? ইনারে না ফ্রন্টে? তখন মানইজ্জত কিছু থাকবা?” শফিক হাসতে হাসতে বলে। ওর কণ্ঠস্বরটা অচেনা মনে হয় সুমনের। মনে হয় যেন দূর থেকে কথাগুলো ভেসে আসছে।
সুমন আরও একবার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। তখনই সম্পাদকের ফোন আসে শফিকের কাছে। আজ কোনো ভালো খবর আছে খুনের? ফ্রন্ট পাতায় জায়গা আছে। তিনি বলেন। দেখছি বস- বলে ফোনটা রেখে শফিক সুমনের দিকে তাকায়। হাসে অচেনা হাসি। বলে, ফ্রন্ট পেইজে জায়গা চাও? এমন সুযোগ রোজ রোজ আসবে না।
সুমন গ্লাসের ওপাশে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। শফিকের চোখ তখন সিসি ক্যামেরা খোঁজে।