এক।
ক্রমাগত ভেঙে যায়, বসন্ত উৎসব অভিমানে
শিকার-শিকারী ভ্রমে চারপাশে ছুঁড়ে ফেলা বিষ
শহর পালন করে ইতুঘট প্রকৃত আরামে
চোখে লেখে তীক্ষ্ণ ফলা চকচকে শীতময় শিস
দূরে ভাসে লোকগান সারারাত ঝুমুরের বাঁশি
ঝড়-জল ঘরে ফেরে আলনায় ভরেছ রাধানাম
কানাই বাড়িতে নেই উজাগর চোখে ব্রজবাসী
কে তাকে ভোলাবে আজ, শালবন ছেঁড়া অভিমান
সমস্ত কোকিল একা চেয়ে থাকে দিগন্তের দিকে
যেভাবে শহর শেখে চৈত্রের বাতাস; সদ্যজাত
ঘুমের ভেতরে হাঁটে দৃশ্যমান- ধূসর ও ফিকে
ধ্বংস তাকেই বলি, নিমর্ম হে জানাচ্ছ স্বাগত?
আসলে সমস্ত ভাঙা, সৃষ্টির প্রস্তাব ফেরে ঘরে
পিঁড়ি পাতো এইখানে, ভাত বাড়ো আবাহনী স্বরে
দুই।
তুমি তো আরাম প্রিয়; ঘাত বুঝে হাঁটো প্রতিঘাতে
আগুনের লোভে আজ ঘুম চোখে মশালের দীপ
চুপি চুপি তারা যেন গোপন নিঃশ্বাসে এঁকে ফেলে
অলিখিত অসুখের ঠোঁট ভাসে বিষাদের কষে
বাঘনখে ভেসে ওঠে পুরানো দেওয়াল; রাজপথে
দুন্দুভির বাঁশি বাজে ছায়াতল ঘিরে; আজব অতীব
চারপাশ ঘিরে ধরে আলিঙ্গন অচেনা বিকেলে
উল্লাসের ধ্বনি আর প্রতিশোক কাছে এসে বসে
ছড়িয়েছে সেও আজ কীভাবে বানান মোরগের
ঝুঁটি নেড়ে দিলে শুধু কলের বেড়াল মিউজিক
যতটুকু না হলে না শখের বাজারে ফ্লুরোসেন্ট
শিখে নেবে রাজনীতি; কলঙ্কও তোমার গালের
চুমু ছলে এঁকে দেবে লালা থুতু বিছানার দিক
কোন দিকে শেখা যাবে ঝড় জল প্রকৃত হারেম
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
সুন্দর
নিশীথ ষড়ংগী,,,, ২২.৭.২০