ফারুক আফিনদী
বাদা ঘাসের ভেতর– ধূসর নির্জন! লীন বৃষ্টির উৎসব–
শূন্যতার গান– শুনে যাও। তার আগে
তুমি মিশে যাও এসে– বুকে, বাতাসে একবার, হাওয়াশূন্যতায় শরীরের সাথে শরীর শূন্যতায়।
ঘুটঘুটে এক শূন্যের গান– শুনে যাও
পৃথিবীর পাখির গলা– মানুষ পাখি, প্রেম আর প্রেমের চিৎকার–। শুনে যাও এসে–দূরে এসে
এক প্রবীণ একাকিনীর গোঙানির মতো, অথবা যুবতীর শরীরের নিজেদের শব্দ
ভ্রমরের করুণ গান,
সব শুনবে এই অজস্র শূন্যতায়
এই এখানে–
এখানে– এক টলমলে পাটের ফুল পড়ে আছে! ঘাসে জলে হলুদ মোম
লেপ্টে লেগে আছে, কার? কে এসেছিল, কবে!
আমি যে এসেছি সবে ডুমুরের ছায়া ছেড়ে–
আমরা এসেছি পায়ে পায়ে–ধীরে
আমরা এসেছি পায়ে পায়ে
আমরা– এসেছি…।
মাত্র তো,
সমর্পিতা–
এখানে– শুয়ে পড়ো–এখানেই শোও!
সবুজ তাঁতের শাড়ি–
ছড়িয়ে দাও
উড়ুক—সামিয়ানা–
চারপাশে দেখো তৃণের ত্রিপল
চকচকে কাস্তের গন্ধে জেগেছে ভেজা ঘাসের মন
জড়িয়ে নাও– চাষিরে
সন্ধ্যা– ফেটে ছড়িয়ে পড়েছে
আমরা তো রেখে যাচ্ছি আমাদেরই এই পৃথিবীর কোনো শব্দহীন সকাল, সূর্য ও সূর্যমুখী
এইখানে এই ভাবে হোক আমাদের কবর–
জেগে উঠি যেন লাল হৃদয়ের বদলে ঘাসের কাচা আতরের শিশি নিয়ে
আবার, শুধু আমি শুধু তুমি– আমরা শুধু–
এক ঘাসের বাগানে
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
মুগ্ধতার কবিতা
সতত শুভ কামনা।