এই ফ্লোরটা একটা মন্দির
ফিল্ম রিভিউ
প্রিয়ব্রত দত্ত
স্টুডিও ফ্লোরগুলি ছিল অঞ্জনদার কাছে মন্দিরের মতো। সেই মন্দিরে জীবন দেবতাদেরই অর্চনা করতেন তিনি। আসলে অঞ্জন চৌধুরির বক্স অফিস ছিল গ্রাম বাংলা। সেখানকার দৈনন্দিনতার সেঁদো গন্ধ মাখা চিত্রনাট্যেই দিনের পর দিন বাজিমাত করেছেন অঞ্জন। বলতেন, ‘ও সব আর্ট ফিল্ম-টিম আমি বুঝি না। আমি সাধারণ মানুষের হাসি-কান্না, রাগ-অভিমানের ভাষা দিয়ে চিত্রনাট্য লিখি। অত আঁতলামো্ আমার পোষায় না। চাষাভুষো লোকেরাই আমার দর্শক। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর ওরা কষ্টের পয়সায় টিকিট কেটে হলে ঢুকে যেটা চাইবে, সেটা হল টোটাল এন্টারটেইনমেন্ট। সুতরাং আমার কাছে সিনেমা স্রেফ বিনোদন বৈ কিছু নয়।‘
অথচ এই বিনোদনের রান্নাঘরটায় অঞ্জন চৌধুরি স্বয়ং যখন পা রাখতেন তখন সেটা আর নিছক শুটিং ফ্লোর থাকত না, হয়ে উঠত পবিত্র কোনও দেবভূমি। সেই দেবালয়ে স্বভাব দোষে একদিন এক কু-কম্ম করে তীব্র তিরস্কৃত হলাম অঞ্জনদার কাছে।
এনটি ওয়ান স্টুডিওতে অঞ্জনদার নতুন ছবির টানা শুটিং চলছে। রোজই যাই। শুটিং দেখি। ক্যামেরার সামনে তখনকার তাবড় শিল্পীদের পর্দা কাঁপানো ডায়লগ শুনি। প্রতিদিনই ফ্লোরে ঢুকে বিড়ালের মত নিঃশব্দে গুটি গুটি পায়ে অঞ্জনদার পেছনে গিয়ে দাঁড়াই। টুক করে ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে দেখে নিয়ে প্রোডাকশনের কাউকে ইশারা করতেন একটা চেয়ার দিতে। পাশে বসতেই নরম হাতের পাঞ্জাটা কাঁধে রেখে চোখের ভাষায় জানতে চাইতেন কেমন হচ্ছে। আমার মতামতের কোনও প্রশ্নই নেই। চোখ ছোট করা মিষ্টি হাসিটায় মিশে থাকত আত্মবিশ্বাস।
সেদিন তখনও লাঞ্চ ব্রেক চলছে। তবে শেষ হবার মুখে। একজন দুজন করে টেকনিশিয়ান ফ্লোরে ঢুকছেন। পরবর্তী দৃশ্যের শিল্পীদের মধ্যেও কেউ কেউ হাজির। এখনও মনে আছে, সেদিন সেই সময় তখন ফ্লোরে ছিলেন অনামিকা সাহা, চুমকি চৌধুরি, অভিষেক চ্যাটার্জি, লোকেশ ঘোষ এবং গীতা দে। প্রধান সহকারী বাবু রায় ফ্লোরের মধ্যে রাখা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে অনামিকাদি আর গীতাদিকে ডায়লগ পড়াচ্ছেন। ওঁরা সব সেটের চেয়ার সোফায় বসে সংলাপ শুনছেন। লোকেশ কোনও এক টেকনিশিয়ানের সঙ্গে গল্প করছেন। আমি সেটে ঢুকে সটান মিঠুদা মানে অভিষেক চ্যাটার্জির কাছে। মিঠুদা সেটে পেতে রাখা বিছানায় বালিস জড়িয়ে আধশোয়া। আমি বিছানায় মিঠুদার পাশে গিয়ে বসলাম। সম্ভবতঃ মিঠুদারই সদ্য রিলিজ হওয়া সিনেমা নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় ফ্লোরে ঢুকলেন অঞ্জনদা। ওঁর কোন হাঁকডাক ছিল না। দেখি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছেন। অঞ্জনদাকে দেখে মিঠুদা বালিশটাকে কোলে নিয়ে উঠে বসলেন। আমি বিছানা ছেড়ে উঠতে যাব, তার আগেই অঞ্জনদা ডানহাত দিয়ে আমার ডানকানটা টেনে বিছানা থেকে উঠিয়ে দিলেন। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বুঝতে পারছি না উনি রসিকতা করছেন না, সিরিয়াস। আমাদের কালে স্কুলে মাস্টারমশাইরা যেমন কান ধরে বেঞ্চিতে দাঁড় করিয়ে দিতেন, ঠিক সেই ভাবে আমার কানটা ধরে বললেন, ‘এই ফ্লোরটা একটা মন্দির। এই চেয়ার, বিছানা, জলের জগ, দরজার পেছনে রাখা ঝাঁটা, আনলা সব পুজোর উপকরণ, আর অভিনেতারা এই মন্দিরের পূজারী। যদি কোনও দিন পুজো করার যোগ্যতা অর্জন করিস, তাহলে সেটে পেছন ঠেকিয়ে বসবি। নয়ত সেট ছোঁয়ার কোনও অধিকার তোর নেই। রাস্তার জামাকাপড়ে যেমন পুজোর জিনিস ছুঁলে সেটা অপবিত্র হয়ে যায়, তেমনি তোর মতো শুটিং ইউনিটের বাইরের কেউ সেট প্রপস ছুঁলে আস্ত সিনেমাটাই অপবিত্র হয়ে যায়। অভিনেতা হয়ে ফ্লোরে এসে সেটে বস, আমার কিছু বলার নেই। তা না হলে ভবিষ্যতে আমার কেন, পৃথিবীর কোনও সিনেমার সেট প্রপসে বসা তো দূরে, ছুঁয়েও দেখবি না। মনে থাকবে কথাটা?’ এতক্ষণে কান ছেড়ে আংটি সাজানো আঙুল দিয়ে ডান গালটায় ছোট্ট টোকা মেরে বললেন, ‘আয় আমার পাশে বসবি আয়… প্রোডাকশন প্রিয়বাবুকে একটা চেয়ার দাও।‘
আমার গোটা অস্তিত্ব তখন চাইছে ধরণি দ্বিধা হও, আমি সেখানে সেঁধিয়ে বাঁচি। দরদর করে ঘামছি। মিঠুদা বিছানা থেকে নামতে নামতে বললেন, ‘ঘাম মোছ।‘ সবাই আমাকে দেখছে। ঢিপ করে অঞ্জনদার পায়ে হাত দিয়ে একটা প্রণাম করতেই বুকে জড়িয়ে ধরলেন মানুষটা। কাঁধে মাথা রেখে বললাম, ‘প্রতিজ্ঞা করলাম অঞ্জনদা, আর জীবনে কোনওদিন সেট প্রপসে হাত দেব না, বসব না।‘ হ্যাঁ, আমি আজও কোনও শুটিং ফ্লোরের সেটে বসি না, প্রপসে হাত দিই না। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি আজকের বুমধারী বালক বালিকারা কি অনায়াসে সেটে দাপাদাপি করে। এই সেদিন, জোকায় চিত্রায়ন স্টুডিও গিয়েছিলাম, কথা ধারাবাহিকের সেট কভারেজ করতে। দেখি একটি ডিজিটাল নিউজ চ্যানেলের ক্যামারেম্যান শিল্পীর ইন্টারভিউ নিতে সুবিধে হবে বলে সেটে সাজানো আস্ত একটা ডিভানকে শুধু ঠেলে সরিয়ে দিল তাই নয় তুলে ফ্লোরের এক কোণে বসিয়ে দিয়ে এলো। আমি স্তম্ভিত হয়ে সেই কাণ্ড দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। সেদিনও ডান কানটা সুড়সুড় করছিল।
অঞ্জনদারা শুধু পরিচালক ছিলেন না, ছিলেন প্রশিক্ষক। প্রতিটি ক্ষেত্রে ও মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ডিসিপ্লিন আছে। সেই শৃঙ্খলার পাঠ কেউ পড়িয়ে দেয় না, নিজেকে শিখে নিতে হয়। আজ সেই প্রশিক্ষকও নেই, পাঠ নেবার মতো মনোযোগী পরীক্ষার্থীও নেই।
আর এক দিনের আর একটি গল্প বলি। পটভূমি সেই এনটি ওয়ান স্টুডিও। অঞ্জন চৌধুরির আজকের ভাষায় ‘ব্লক ব্লাস্টার’ ছবি বাঙালিবাবুর শুটিং চলছে। তখন আমি সিগনাস-এ। আমার ‘বস’ মিঠুন চক্রবর্তীর ছবি। রোজ কোনও না কোনও সময় ফ্লোরে হাজির থাকতে হয়। সেদিন শুটিং হচ্ছে বাইরের মাঠে। বিপুল আয়োজন। বস্তির মধ্যে কুয়োতলা। সেই কুয়োতে বস্তির একটি বাচ্চা পড়ে গিয়েছে। হুলস্থুল কাণ্ড। সবাই নানা উপায় বাতলাচ্ছে। কিন্তু কারোর সাহস নেই কুয়োয় নেমে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করার। এমন সময় ধুতি পাঞ্জাবি পরা বাঙালিবাবু ওরফে মিঠুন চক্রবর্তীর আবির্ভাব। পরিস্থিতি বুঝে সময় নষ্ট না করে সটান কুয়োয় ঝাঁপ। এবং শিশু উদ্ধার। প্রচুর এক্সট্রা। অসংখ্য টেকনিশিয়ান। ছবির প্রায় অধিকাংশ মুখ্য অভিনেতা শটে হাজির। আলো পড়ে যাবে। নানা অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা বসিয়ে দ্রুত শট নেওয়া হচ্ছে। অঞ্জনদা এক মনে মনিটরে। বুঁদ হয়ে আছেন। আমি একটু দূর থেকে শুটিং দেখছি হাঁ করে। মিঠুন চক্রবর্তীকে জলজ্যন্ত এই নিয়ে দ্বিতীয় বার শুটিং করতে দেখছি। প্রথমবার দেখেছিলাম ‘ফেরারি ফৌজ’-এর সময়, টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে।
মিঠুনের কুয়োয় ঝাঁপিয়ে পড়ার শটটা কিছুতেই পছন্দ হচ্ছে না অঞ্জনদার। শেষে নিজে উঠে কুয়োর কাছে গিয়ে ঠিক কি চাইছেন বুঝিয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। মনিটরে এসে বসার সময় আমার সঙ্গে চোখাচোখি। হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকলেন। এখনও মনে আছে সেদিন অঞ্জনদা দারুন রঙচঙে ফুল ফুল একটা ফুল হাতা শার্ট পরেছিলেন। পরিচালকের কাছে দাঁড়াতেই চেয়ার ও চা যুগপৎ হাজির। পাশে বসে মনিটরে শট দেখছি। বাঙালিবাবুর কুয়োয় ঝাঁপানোর দশ বারো রকমের শট নিলেন। খানিক বিশ্রাম। আলো লাগবে। ক্যামেরাও জায়গা বদল করবে। মিঠুন চক্রবর্তী এবার ভেজা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে অভিনয় করবেন।
আর এক রাউন্ড চা, সঙ্গে সিঙাড়া। অঞ্জনদা আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচালেন। বললাম, ‘বলুন।‘ ‘দাড়ি কামাসনি কেন? লিকার চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন অঞ্জনদা।
পুরুষ মাত্রেই বুঝবেন, রোজ সেভ করাটা যে কী বিরক্তিকর!
‘না… মানে… আজকে আর ঠিক সময় পাইনি… ‘
‘সময় পাসনি না, ইচ্ছে করেনি?’ মুচকি হাসছেন অঞ্জনদা।
সত্যিই সেদিন আর সেভ করতে ইচ্ছে হয়নি। গাল ভর্তি কুঁচো দাড়ি নিয়ে সেট ভিজিটে গেছি। সচরাচর যেতাম না। সেদিন সত্যিই গেঁতোমি করে আর দাড়ি কামানো হয়নি। অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। সত্যি কথাই বললাম, ‘আজ আর ইচ্ছে করেনি। কাল কাটবো।‘
চায়ের কাপটা বাঁ হাতে নিয়ে ডান হাতটা আমার বাঁ কাধে রেখে বললেন, ‘শোন… এই দুনিয়ায় পহেলা দর্শনধারী, ফির গুণ বিচারি। খেতে পাও আর না পাও, তোমাকে সেজেগুজে সম্রাট হয়ে থাকতে হবে।‘ দু আঙুলে নিজের কলার তুলে বললেন, ‘আমাকে দেখ। ষাট পেরিয়েও জামার রঙ দেখছিস। আমি ঘুম থেকে উঠে প্রথম যে কাজটা করি, সেটা হল দাড়ি কামানো। না হলে আমার ভাত হজম হবে না। আর একটা কথা, কাল বলে কিছু হয় না। যা করার আজই করো। না হলে মহাকালে পেয়ে বসবে। কাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে দাড়ি না কামিয়ে ঢুকবি না। দামি পোশাক পরতে বলছি না। পরিচ্ছন্ন পোশাক পরবি। সিনেমা জগত ফ্যাশনেবল দুনিয়া। এখানে আগে রূপ, পরে গুণ বিচার করা হয়। চেষ্টা করবি মেজাজে, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে লাট সাহেববিটা বজায় রাখার। অ্যাটিটুডটাই আসল।‘ বলে আঙুল চালিয়ে চুলটা ঘেঁটে দিলেন অঞ্জনদা।
এই ফ্রেসনেসটাই ছিল অঞ্জনদার উদ্দীপনার উৎস। কোনও দিন রাগতে দেখিনি। গোমড়া মুখেও থাকতে দেখিনি কখনও। সদাই মুখে মিষ্টি হাসিটা লেগে থাকত। কেন জানি না, খুব স্নেহ করতেন আমাকে। নক্ষত্র খচিত বাংলা সিনেমা জগতের পালস মানে নাড়ি চিনতে শিখিয়েছিলেন অঞ্জনদা। শিখিয়ে ছিলেন, সিনেমা জগতটা শুধু শুটিং ফ্লোরেই সীমাবদ্ধ নয়, বিরাট একটা অংশ পড়ে আছে ডিস্ট্রিবিউটর ও এক্সিবিউটর পাড়ায়। মানে যাঁরা তৈরি হবার পর সিনেমাটি পরিবেশন করেন, হলে দেখান। আলস্যকে ঘৃণা করতেন অঞ্জন চৌধুরি। শুটিং কভারেজ নেই, অন্য কোনও অ্যাসাইনমেন্ট নেই, চোখ কান বুজে চলে গেছি বেহালায়। পেট পুরে খাইয়েছেন। সিনেমার বাজার নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বিশ্লেষণ করেছেন। না হলে, সামনে বসে আছি, এক লাইন করে ডায়লগ লিখছেন, আর আমাকে বলছেন, শোন তো কেমন লাগছে ডায়লগটা? প্রশ্রয়ে দুঃসাহস বাড়ে। আমি অঞ্জন চোধুরির লেখা সংলাপ শুনে বলতাম, ‘এটা ঠিক লাগছে না অঞ্জনদা, এই ভাবে বললে কেমন হতো, বলে আমার মতো করে সসংলাপটা অভিনয় করে দেখাতাম। দেখে বলতেন, ‘পরের ছবিটায় তোর জন্য একটা চরিত্র লিখব। সাংবাদিক নয়। উত্তর কলকাতার বাউণ্ডুলে টাইপ।‘
হায় রে অদৃষ্ট। আজও আমি উত্তর কলকাতার বাউণ্ডুলে। অথচ পর্দা ফাটিয়ে অঞ্জন চৌধুরির ডায়লগ ডেলিভারি আর করা হলো না।
একদিন সকালে আজকালে নিউজ রুমে ঢুকছি। দূর থেকে কমলদা দেখে বললেন, ‘বসতে হবে না সোনা। এখন দশটা দশ বাজে। আগামীকাল দশটা দশের মধ্যে এমন দুটো এক্সক্লুসিভ জোগাড় করে নিয়ে এসো যাতে কলকাতা কেঁপে যায়। যাও। না হলে নয় ছয়ে কাল থেকে আর মুখ দেখিও না।‘
পরের মিনিটে রামমোহন সরণির প্রসস্থ পথে দাঁড়িয়ে ভাবছি কোথায় যাই। তখন মোবাইল কোথায়? কর্ড লেসও আবিষ্কার হয়নি। সামনের ঋষিকেশ পার্কে বসে মনে হল আজই আমার সাংবাদিকতায় ইতি। অগত্যা… হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল দুটো মুখ অঞ্জন চৌধুরি আর যিশু দাশগুপ্ত। ছুটলাম শ্রদ্ধানন্দ পার্কের মোড়ে। দাঁড়াতেই চোদ্দ নম্বর। উঠে পড়লাম। অঞ্জন চৌধুরির বাড়ি পৌঁছতে লাগল পাক্কা এক ঘন্টা। চেম্বারে বসে লিখছিলেন অঞ্জনদা। ভূমিকাহীনভাবে বলে গেলাম কমলদার কথাগুলো। শুনে এক চোট হো হো হেসে নিলেন। তারপর বললেন, ‘দেড়টা বাজে। ওপরে চ। আমার সঙ্গে ভাত খাবি চ।‘ খেতে বসেছি কুণ্ঠার সঙ্গে। গলা দিয়ে ভাত নামছে না টেনশনে। আমাকে দেখছেন আর হাসছেন। বউদিকে বললেন, ‘মাছের মাথাটা প্রিয়বাবুকে দাও।‘ ওজর আপত্তি ফুৎকারে উড়ে গেল। বললেন, ‘শোন কমলকে এখন কিচ্ছু বলতে হবে না। কথা বার্তা সব ফাইনাল। সামনের মাসের পাঁচ তারিখ থেকে বাঙালি বাবুর শুটিং শুরু করছি। মিঠুন আজ সকালে ডেট ফাইনাল করল।‘ ঠিক সেই সময়ে গলায় কাটা আটকে বিষম খেলাম। অট্টহাসি হেসে অঞ্জনদা বললেন, ‘খেয়ে দেয়ে বসি চল, কপিটা কিভাবে লিখবি আমি বলে দিচ্ছি। হলো তো তোর এক্সক্লুসিভ?‘ কাতলা মাছের মুড়োটা সেদিন পাঁচ মিনিটে সাফ করে দিয়েছিলাম।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন