বাসর ঘর
রণজিৎ সরকার
‘বাসর ঘর দেখার খুব ইচ্ছা করছে।’‘তাই! বিয়ে করেন। বাসর ঘর দেখবেন। উপভোগ করবেন।’‘বিয়ে না করলে বুঝি বাসর ঘরের আনন্দ উপভোগ করা যায় না।’‘না, যায় না।’‘কি যে বলেন। আগামীকাল বাসর ঘরে উপভোগ করব।’‘আপনার বিয়ে। আমাকে তো দাওয়াত দিলেন না।’ ‘আপনি বাসর ঘরের আনন্দ উপভোগ করবেন।’‘বিয়ে তো করেছি। অনেক আগে। দ্বিতীয় বিয়ে করার সুযোগ নেই। করব না। তাই আপনার বিয়ে তো যদি বরযাত্রী হিসেবে নিয়ে যান। তাহলে তো উপভোগ করা যায়।’ ‘ঠিক আছে। আপনার ইচ্ছাপূরণ হবে। আপনি আগামীকাল সকালে রেডি থাকবেন। আপনার বাসার সামনে থেকে গাড়িতে তুলে নিবে।’সাগর খুব আশা নিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে। অপেক্ষায় থাকব।’পরদিন বাসার সামনে প্রাইভেটকার থামল। সাগরকে গাড়িতে তুলে নিলেন। সাগর গাড়ি দেখে ঠিক বুঝতে পারলেন এটা বিয়ের গাড়ি না। সাগর হতাশ হয়ে বললেন, ‘রানা, এটা তো বিয়ে গাড়ি না। আমরা সাথে ইয়ার্কি করলেন। আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।’রানা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, ‘বাসর ঘরে।’‘কোন বাসর ঘর?’‘একটু পর টের পাবেন।’‘ঠিক আছে।’একটু পর ওরা বগুড়ার মহাস্থানে বেহুলা-লক্ষিন্দরের বাসর ঘরে গিয়ে উপস্থিত হলো…।