অমিত চক্রবর্তী
আশ্চর্যকে আমি একটা ঘরে বন্দী করে রেখেছি – সে এখন
টুলে বসে দুধ খাচ্ছে উষ্ণ, বিস্কুট ডুবিয়ে,
নরম চুমুক দিয়ে। পাহারা দিতে হবে তাকে,
কারণ তরল হয়ে যাওয়ার একটা ব্যারাম আছে তার –
এই আশ্চর্য ছেলেটা অসম্ভব ডানপিটে
একবার চোখ মটকেই উধাও হবে সে,
আমি বোকাসোকা দাঁড়িয়ে থাকব
বিমূঢ়, ভ্যাবাচাকা
নিরন্ধ্র অন্ধকার ঘরে।
আশ্চর্য কে ঘৃণা করি, অবাক কে ভয়, সব কিছু
নিয়মমাফিক এই দুর্গে, ঘড়িবাঁধা জীবন।
পাঁচটায় ভোরে ওঠা, সন্ধ্যে হলেই ডিনার। জীবন হতে হবে
নিখুঁত, সামঞ্জস্যে ভরা, জায়গা নেই
আশ্চর্য অবাকের, জায়গা নেই অনিশ্চয়তার।
অথচ দ্যাখো পাজিটাকে, ঘৃণা করব জেনে
নরম রূপ ধরেছে এবার
ন্যাকা সেজে দুধ খাচ্ছে তারিয়ে তারিয়ে। কিন্তু বলব কি মশাই,
ছদ্মবেশই হোক আর যাই হোক,
এই ননীর গোপালকে ঘৃণা করা আমার পক্ষেও সম্ভব হচ্ছে না।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন