ইকবাল হাসান
আমার বাবা নেই। চলে গেছেন। এক সময়
তিনি কলকাতায় থাকতেন। পড়াশুনা করতেন
ইসলামিয়া কলেজে। সাদা ফিনফিনে ধুতি পরতেন
বাবা। আর বিকেলের দিকে হেটে হেটে গঙ্গার ধারে
যেতেন। মানুষের স্নান দেখতেন- পুণ্যপ্রার্থী মানুষের
পাপ কীভাবে ধুয়ে দিতে পারে গঙ্গার ঘোলা জল
সেই দৃশ্য দেখতেন অপার বিস্ময়ে! কখনো কখনো
জ্যোৎস্নামুখর রাতে গড়ের মাঠে বন্ধুদের সাথে
শুয়ে শুয়ে আকাশ নক্ষত্র দেখতেন। বাবা বলতেন,
সেসময় একটা পিসফুল কে-এক্সিস্টেন্স ছিল
মানুষ ও প্রকৃতির। কলকাতায় বাবার কোনও
অসুবিধা হয়নি কোনওদিন।
সেই আকাশ নক্ষত্র, সেই গড়ের মাঠ, সেই হাওড়া ব্রিজ
আর সেই গঙ্গার ধার- সবই আছে, শুধু বাবা নেই।
তবে তাঁর ধুতিপরা ছবিটি আমাদের দেয়ালে আছে আজো।
যদিও কাঁচের সঙ্গে লেপ্টে ছবিটির নীচের দিকটা একটা
পলেস্তারা খসা দেয়ালের প্রতিচিত্র হয়ে উঠেছে, এখন
ছবিটির দিকে তাকালে মনে হয়, মনে হয়-
বাবা সেই ধূসর দেয়ালের উপর থেকে উঁকি দিয়ে
আমাদের দেখছেন আজো।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন