একগুচ্ছ গদ্য

একগুচ্ছ গদ্য
সুধীর দত্ত

১.
বড়ো বেশি বেতমিজি হচ্ছে কি? উস্কোখুস্কো চুল, এবড়োখেবড়ো কাঁকুরে পথ। জরায়ুর ভিতর কিয়ৎকাল ছিলাম বলেই না এই স্তনলিপ্সা। আমি তো আসলে লেঙটহীন না-মানুষ। জন্মেছিলাম হাতে চিমটে নিয়ে। হাঁটার পথে এখানে ওখানে জিরিয়ে নিই। ভাগ্যিস, তোমরা একা নদীর তীরে পরপর দু-রাত্রি তিষ্ঠোতে দাও না।

২.
যা যা চেয়েছ সব পেলে তবেই না গতকৃষ্ণ। শেষ ভোজ কি সেরে নিয়েছ? মোরগটি তিনবার ডেকে উঠলেই পৃথিবীর সংগে তোমার নাভিরজ্জু কেটে দেওয়া হবে। কিন্তু তোমরা কি জান না, আমি না চাইলে, কে আমাকে বাঁধে ! স্বামী-সন্তান ছেড়ে যারা যারা এসেছিলে, সবাই স্বগৃহে ফিরে যাও।
রাত শেষের দিকে। সময় তবুও এক ঠ্যাঙে দাঁড়িয়ে।

৩.
ব্রাহ্মীশাক তুলতে পিসিমা কোমর জলে নেমে যেতেন পুকুরে। শীতের রাত, তেঁতুল গাছের নীচে ঘন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতেন কাঁপতে কাঁপতে। বক্ত আমাশায় তখন গুহ্য থেকে বাইয়ে ঠেলে বেরিয়ে আসত একটা লাল জামরুল। কূপির কাঁপা কাঁপা আলোয় সযত্নে তিনি বুড়ো আঙুলে ঢুকিয়ে দিতেন ভিতরে। আর অন্ধকারে মা তখন কস্তুরি ফুলের ডালে জ্বালিয়ে দিতেন জোনাকদের পিদিম।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *