পথিক রানা
এইযে চেতনা কামড়ে ধরে আছে ত্রিলোকের উপস্থিতি
হয়তো থামছিনা মা, কিন্তু নিয়তই বেঁকে যাচ্ছি সময়ের চাবুক পিঠে নিয়ে;
আজকাল জীবনের দাঁড়ে আরো বেড়ে গেছে হতাশার দৌরাত্ম্য!
তবুও ব্যর্থতার পাড়ে হেঁটে যাচ্ছি আমরা পঙ্গু ভবিষ্যতের পথ দিয়ে।
কেবলি এখন আমাকে তিলে তিলে নষ্ট করে দেয় কিছু স্মৃতির কালসাপ
হ্যাঁ এমন সন্ধ্যায়’ই প্রতিদিন হেঁসেলে মা রাঁধতো দুঃখ পোড়া ভাত;
তার মলিন আঁচলে মুছে নিতো অগোচরে জমানো চোখের ধোঁয়া
এভাবেই সবচেয়ে খাঁটি সন্তুষ্টি লিখে সাজিয়ে দিত আমাদের ক্ষুধার্ত পাত।
যার সদ্ভাবে সংসারে সুখের ব্যস্ততা বেড়ে যেত বলে
আমরা অভাবের স্বভাব বুঝে উঠিনি তখনও
এখনও বুঝিনা জীবনের কারবার;
নয়টা ফুলে সুখের আসর জমাতো জনম দুঃখিনী মা
তাইতো তার কাছেই জমা করতাম আমাদের যত রঙবেরঙের আবদার।
গ্রামীণ চেতনার সাথে শহরের আমৃত্যু যুদ্ধে মা ছিলেন চির পরাজিত
আহত মা আমাদের বিজয়ী করতে ত্যাগ করেছিলেন নিজের সুখ,
বিজয়ী কিংবা সুখি,মানুষ অথবা অমানুষ এখনও কিছুই হইনি আমরা
জানিনা কার আঁচলে ঢাকবো এখন এই লজ্জিত মুখ!
তাইতো অভিমানে রোগে শোকে নিজেকে ভেঙে খুঁজে নিলেন মাটিচাপা আড়াল
এখন তো আর কেউ সাজিয়ে রাখবেনা থালা ক্ষিধে লাগার আগে;
ফেরা না ফেরায় তার অপেক্ষার তাড়া নেই!
এখন আর আমরা বিরক্ত হইনা সেই নিখাদ ভালোবাসার চাপে।
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন