poem-hawa-batas

হাওয়া-বাতাস
অদিতি বসুরায়


বাতাসের দিকে তাকিয়ে থাকার আগে, আমি আগুন শেষ করেছি!
আগুনের গল্প শুনিয়ে করবে গেছেন পূর্বনারীরা আগেই। চিতাও সাজিয়েছেন
বহুবার !
বাতাসের প্রতি আমার আকর্ষণ তীব্র তাই।
বাতাসের অভিমুখ বদলের ইতিহাস জানতে খুব বেশি
বিচক্ষণ হতে হয় না এবং নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার আনন্দে
ছাদ অব্দি পৌঁছতে দরকার শুধু দু – একটা সিগারেট

বাতাসের পাশে তোমাকেও দেখেছি কতবার !
তোমার গাড়ি ব্যাক করার সাক্ষী হতে ঝাঁপ দিতে রাজি ছিলাম
রাজি ছিলাম নির্দেশ পালটে, ছেঁড়া জিন্স পালটে
নদী পেরিয়ে যেতে!
জানা ছিল না, ডাক দেবে না কখনও
আমাকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে নি হাওয়া
তোমার চারপাশে আলো-ফুল-বাজনা
আমার এসব ভালো লাগেও না কোনওকালে
আমি অনেক রাতে ফূটপাথে হেঁটে শহর দেখি
ঘুমন্ত মায়ের কোলে শিশু দেখি!
উন্মাদ বৃদ্ধের হাসি দেখি –
উদ্দাম সঙ্গম দেখি!

তোমার এসব গল্প জানা নেই!
তুমি এখনও শীত মানে ওয়াইন মানো
অপেক্ষা করো ক্যারোল, গরম কোট এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের আশি শতাংশ ছাড়ে
এইচ ডি টেলিভিশনের !

তারপর হাওয়া ঘুরে যায় আবার ! পৃথিবীর গাছে গাছে
ফুল আসে, বসন্তে তুষার-খসে যাওয়া স্লিম পাহাড় ডাক দেয়!
ঠান্ডা বাতাস, গরমের দেশের মানুষের বড় প্রিয় সবাই জানে
আমি ব্যাগপ্যাক করার স্বপ্ন দেখি
বাতাস পালটে গেছে – বাতাসের অভিমুখ ধরে ফেলা সহজ বলে
আমার ভেসে যেতে কোনও আপত্তি নেই এখন !

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *