বিমল গুহ
হে বিধাতা, পরম করুণাময় দয়ার সাগর
অসহায় মানুষের আস্থার সহায়
স্বয়ম্ভূ– সর্বক্লেশ পরিহরা ত্রাতা
সর্বশক্তিমান রূপ– তুমি হে বিধাতা!
তোমার হাতেই মহাপৃথিবীর ভার;
তুমি সব পারো– দুঃখ কষ্ট গ্লানি ক্লেশ
মানুষের নিমিষে সংহার করো যদি–
প্রকৃত সত্যরূপ জানা যাবে, আমাদের চেতনা অবধি!
হে বিধাতা, তোমার বিশাল চক্ষু
ব্রহ্মান্ডের চেয়ে বড় শতলক্ষগুণ– মহাদৃষ্টিপাত:
মানুষের ক্লেশ তুমি দেখেও কি হাসো?
মানুষের পাশে থাকো– হে বিধাতা, সর্বক্লেশ নাশো!
হে রাজাধিরাজ দয়াময়, ক্ষমাশীল, হে প্রতিপালক
তোমাকে আহ্বান করি রাত্রিদিবস সর্বক্ষণ
করজোরে কায়মনে করি প্রণিপাত,
তুমি কি সহসা দেবে সাড়া– বাড়িয়ে বিশাল ওই দয়াময় হাত?
পৃথিবীর প্রাণিকুল চব্বিশঘণ্টা সকাতরে
তোমার মুরতি বুকে করে অশ্রুপাত;
সর্বপাপহরা হে বিধাতা কেনো তা দেখো না দুইচাখে?
না, না, তুমি কোটিচক্ষু নিমিষেই দৃষ্টি দাও দ্যুলোক-ভূলোকে!
হে বিধাতা, মৃত্যু তো তোমার হাতে প্রাণিজগতের;
যখন পাঠাও যম প্রাণ তুলে নিতে
তোমার হয় না মায়া তাতে– খুব কি খুশি অন্ধ অনুসারিগণও?
মানুষের ক্রন্দন তোমাকে স্বস্তি দেয়– এইকথা ভাবি না কখনো।
হে বিধাতা ধরিত্রীর স্রষ্টা সর্বজ্ঞাতা
তুমি কি প্রার্থনা শোন শোকতাপগ্রস্ত মানুষের?
ভূলুণ্ঠিত প্রণিপাত তুমি কি আমলে নাও হে সর্বক্লেশ পরিহরা?
সত্যি যদি হবে, তবে কেনো এত কষ্ট এত দুঃখ-ক্লেশ-জরা!
হে বিধাতা হে পরম আরাধ্যজ্ঞান, আমাদের প্রার্থনা শোন–
এই করোনাকালে এই দুর্যোগে মানুষের কষ্ট করো দূর;
নচেৎ আমি যা ভাবি তাই নেবো বুঝে–
প্রদীপ্ত প্রাণের সবুজে!
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন