এখন একটুতেই মাটিতে পড়ে যাই
হু হু বাতাসের টানে হুমড়ি খেয়ে পড়ি
পাথরে হোঁচট খেয়ে উল্টে পড়ি
ভারসাম্যহীন দেহে বিকেলের শেষ রোদ এসে পড়েছে
আমি বারবার নৈসর্গের বিপদে পড়ি।
এখন একটুতেই ভেঙে পড়ি
স্বদেশের জন্য কান্নায় লুটিয়ে পড়ি
সন্তানের আদরে বিগলিত হয়ে পড়ি
মৃত পিতার জান্নাত কামনায় অথবা
জননীর দীর্ঘায়ু চেয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ি।
আরও কিছু পড়ে যাওয়া অবিচ্ছেদ্য হয়ে যায় খুব
তোমার নীলবর্ণ চোখে খুব সহজেই পড়ে যাই
তোমার নিস্পৃহতার গভীরে পড়ে যাই
অস্পষ্ট হাতছানির প্রেমে পড়ে যাই
কিছু অদ্ভুত ঘোরের ফাঁদে পড়ে যাই
মুগ্ধ শৈশবের স্মৃতিতে পড়ে যাই
অতীতের কিছু বিক্ষত রমণীর মনে
দগদগে ঘায়ের মতো পড়ে থাকি
তোমাদের মনে পড়ে যাই ক্রমাগত।
সিঁড়িতে নামতে গিয়ে পড়ে যাই
বাসে উঠতে গিয়ে কিংবা
রিকশা থেকে পিছলে পড়ে যাই
পড়ে যাই নিজেরই দুঃসহ বেদনার ভারে
ভারসাম্যহীন জীবনের অসীম পথের ধাক্কায়
চূর্ণময় ভেঙে পড়ি সড়কগুলোতে।
দু’ফোঁটা আদরের মোহে পড়ি
এক পঙক্তি আলিঙ্গনের মোহে পড়ি
ব্যর্থতার চূড়ায় দাঁড়িয়ে ক্রোধে ফেটে পড়ি
আমি ঘুমিয়ে পড়ি আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
এখন একটুতেই আমি পড়ে যাই।
এই পতনের আর কি মানে আছে দয়াল?
মাটি ডাকছে।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন