জ্যোতির্ময়
মাহবুবা আখতার
জ্যোতির্ময়, বন্ধু আমার আনন্দে থেকো যাপিত জীবনে,
কোন অঙ্গীকার নেই, শুধু আরাধ্য মাঙ্গলিক মানুষ হয়ে থেকো।
কী মধুর নিদারুণ উপেক্ষা বাসনার সৌন্দর্য? আহা! কূল নেই, কিনারা নেই, লাস্যময়ী জলোচ্ছ্বাস।
এতো স্পর্শ, এতো আবেগ, এতো আবেদন নমনীয় ভালোবাসা মন্থনে অমল উৎসব।
শীতল ইচ্ছের ‘মূর্খ তাণ্ডব’ লিখে রাখে আকুল শুশ্রূষার বিবশ প্রণয়।
প্রিয়বরেষু, ভ্রষ্ট নিয়তি সিঁথির সিঁথানের সিঁদুর মুছে দেয় খেয়ালি বিলাসে।
কী ভয়ংকর প্রস্তুতির আবাহন, কী সাধ্বী প্রিয়তম মুমূর্ষু ইচ্ছে?
বন্ধু আমার সুরা নাও, মাতাল হও, বেঢপ মাতাল-ভগবান হও। পুণ্য পুণ্য অবসাদ, পাপ নেই, চৈতন্যের পরকীয়া প্রেমের নিষ্ঠুর স্বীকারোক্তি।
পাঁজরে চিত্রিত করা যেনো ‘বোদলেয়ারের’ প্রেম গুলজার পরিক্রমা।
জ্যোতির্ময় বন্ধু আমার, তুমি ‘পাবলো নেরুদার’ কাব্য,
দু’ছত্র লিখে রাখি প্রেম, ঘৃণা, আতঙ্ক, দুঃখের উৎসবে।
বন্ধু, আজকাল গভীর মনস্তাপে হারিয়ে গেছে বুকের উর্বর জমিন তাই শোক নেই, হাহাকার নেই, নেই শোরগোল।
তোমাকে পাওয়ার নেশায় আরাধ্য হয়ে বলতে ইচ্ছে করে হে আমার বন্ধু,
তুমি দুঃখী হও, কষ্টবোধে কাতর হও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জলে বরফ নদী হও।
বেদনার চাষাবাদে তুমি গোপনে, সতর্কতায় নিবন্ধিত করো তোমাকে।
আনন্দলোকের বৈষ্ণব পদাবলীতে তুমি আমার মনখারাপের
খতিয়ান।