হোসাইন কবির
এই নদী মাঠে খালে বিলে
এখন আর স্বপনের কথা বলে না কেউ
কান তো খোলা, সেই আগের মতই—
তবু রাতবিরেত— আজও শুনতে চাই, কেন চাই?
ঝুমঝুম নূপুর বাজনার কোরাস।
ওরা কারা যেতো?
মধ্যরাতে অমন করে নূপুর বাজিয়ে রথ টেনে
স্বপ্নে দুঃস্বপ্নে শবযাত্রায়
প্রত্ম-অবয়বে কান্নার কলরোলে—
তখন বালক-বয়স
একান্নবর্তী পরিবারে অনেকের পাশে শুয়ে রাত গভীর হলে শুনতাম
টিনের চালে, পুরোটা ঘরজুড়ে
আদিভৌতিক কীসব বাজনা আর কান্নার সমবেত মূর্ছনা।
কোন কোন রাতে একে ওকে জাগিয়ে
শোনাতে চাইতাম; কিংবা জানতে চাইতাম—
তারাও শুনেছে কিনা সুরেলা সে নিক্কণ, কান্নার কলরোল
বলতো—
কেউ শুনেনি সেসব!
ভাবতাম যে শুনতে চাইতো
সেও বুঝি মুখ টিপে হাসতো আড়ালে আবডালে—
না! তারও কথা শোনা হয়নি।
পিঠে চিমটি কাটায়
কোন আভাস ইঙ্গিত ছিলো কিনা কে জানে?
বিনু খালা তাকেও পড়ে না মনে আজ আর—
যার বুকের উষ্ণতায় দীর্ঘশ্বাসে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেত!
বয়সে বড়রা এ গল্প শুনে প্রসঙ্গ পাল্টে এড়িয়ে যেত,
মিটি মিটি হাসতো শুধু।
তবে কি ওসব অস্তিত্বহীন ছায়া!
ছায়ার ভেতর আজও কারো
প্রত্নমুখে— কঙ্কাল-অবয়বে— ক্ষতচিহ্নে— চুম্বনে—
ছিন্নভিন্ন দেহের মানচিত্রে—
খুঁজে ফেরা—
নির্ভেজাল ভালবাসা, আহা বয়ঃসন্ধিকাল।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
ভলো, পড়ে ভালো লাগলো।
অশেষ ধন্যবাদ কবি