সকলেরই চুল-দাড়ি তিরোহিত ক’জন প্রবীন ঝাউপুরুষের সবুজ দাড়ি আসন্ন বসন্তের হাওয়ায় দোলে শিশুদের অসুস্থ কঙ্কাল কোলে নিয়ে বসে আছে বনভূমি অশ্রুর আখ্যানসমূহ শুকিয়ে থিকথিকে কাদা ইচ্ছে করলেই কেউ ওখানে লিখে দিতে পারে নতুন ঋতু ঘাসের গালিচায় যে পায়ের উপন্যাস তার সবগুলো চরিত্র এখন ঝরা পাতার নিচে ঘুমিয়ে পড়েছে। প্লে-গ্রাউন্ডের কোলাহল ভয়ের দ্যুভের নিচে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখে এপ্রিলের টিউলিপ। স্বর্ণাভ বিকেল ডেকে আনে গোল্ডফিঞ্চ ঝাঁক পায়ে পায়ে করোনার আতঙ্ক, পরিযায়ী মানুষেরা পত্রশূন্য ওকডালে খোঁজে নিরাপদ আকাশ। মুখর সড়কগুলো ঢুকে গেছে অচেনা স্তব্ধতার গহ্বরে কোথাও কেউ নেই, শুধু একা হেঁটে যায় নীরবতা এই ভুতুড়ে শহরে।
পৃথিবীকে যদি ঢেকে দেয় কালো চাঁদ আকাশ না পেয়ে মেঘেরা নীরবে কাঁদে কান্নার রাতে কালো স্রোতে ভিজে তুমি আমার জন্যে একাকী দাঁড়াবে ছাদে। যদিও গাছেরা পত্র-পুষ্পে ভরা ডুবে আছে ওরা আঁধারের গিরিখাদে না যদি তোমাকে দেখি আমি সেই রাতে আমার দু’চোখ গলে যাবে প্রতিবাদে।
সূর্যের গায়ে কে মেখেছে কালো রঙ ঝলমলে দিন কোথায় পড়েছে ঢাকা? কালো মৃত্তিকা, আকাশও কী ঘন কালো সব ছবি কেন কালো রঙ দিয়ে আঁকা? এখানে কখনো এসেছিল বুঝি ভোর বিকেলের কোলে কোলাহল ছিল রাখা? ভূতুড়ে শহরে নীরবতা বাস করে নীরব নগরী নির্জন পথ ফাঁকা।