prabandho-prachin-greek

প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যে নারীকবি

আলমগীর খোরশেদ

 

প্রাচীন গ্রীকে নারীদের ভূমিকা, চলাফেরা, দৈনন্দিন  জীবন যাপন ছিল সীমিত ও গোপনীয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডল থেকে তাদের দূরে রাখা হতো। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ঘরের কাজকর্ম, নিজেকে স্ত্রী,  মা কিংবা কন্যা হিসেবে জীবন পার করে দিতেন। পুরুষের সামনে নারীরা হীনমন্যতায় ভুগতেন, যা দার্শনিক প্লেটো, জেনোফোন ও ইতিহাসবিদ থুসিডিডিস তাদের লেখনীতে তুলে ধরে ছিলেন। দার্শনিক এরিস্টটল তার “পলিটিক্স” গ্রন্থে নারীদের আজ্ঞাবাহক হিসেবে দিনাতিপাতের কথা লিখে গেছেন। এতো কিছুর পরও প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যে নারী কবি লেখকদের অবদান ইতিহাস হয়ে আছে। নিম্নে প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যে দশজন নারী কবির অবদান আলোচনা করা হলোঃ–


 

এনহেদুয়ানাঃ– কবি এনহেদুয়ানা হলেন বিশ্বের প্রাচীনতম নারী কবি।  সুমেরিয় শব্দ “এন” মানে হলো মহাযাজক বা যাজিকা। “হেদু” শব্দের অর্থ হলো অলংকার, আর “আনা” দিয়ে বুঝায় স্বর্গলোক। অর্থাৎ এনহেদুয়ানা মানে হলো–অলংকার পরিহিতা স্বর্গের রমনী। তাকে পৃথিবীর প্রথম কবি হিসেবে গণ্য করা হয়। চার হাজার দুইশত চুয়াত্তর বছর আগে অর্থাৎ যীশুর জন্মের দুই হাজার দুইশত আটান্ন বছর আগের কথা। এনহেদুয়ানা ছিলেন আক্কাদের সম্রাট সারগন ও রানী তাশলুলতুমের কন্যা। এনহেদুয়ানা  ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি প্রার্থনা সঙ্গীত ও কবিতা লিখতেন। তাকে প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

 

এনহেদুয়ানা বিয়াল্লিশটি স্তবগান রচনা করেন, যার সাইত্রিশটি প্রস্তর খন্ডে লেখা ছিল। যা এভাবেই উদ্ধার করা হয়। তিনি দেবী ইনান ও চাঁদের দেবতা নান্নার প্রধান যাজক ছিলেন। সুমেরিয় শহর যা বর্তমানে মেসোপটেমিয়া, সেই ইরাকে জন্ম নেন। তিনি ছিলেন পৃথিবীর প্রথম নারী কবি, প্রথম নারী পুরোহিত ও প্রথম নারী সাহিত্যিক। তার লেখনীর ভাষা ছিল খ্রীস্টপূর্বাব্দ তিনহাজার চারশত এর সময়ের মেসোপোটেমিয়ার অধিবাসীদের ভাষা। মহাযাজক এনহেদুয়ানা দেবী ইনান্নার তিনটি স্তব লিখে আজো ইতিহাস হয়ে আছেন। সুমেরিয় শহর কিশেরস্থান প্রায় দুইহাজার তিনশত খ্রীস্টপূর্বাব্দে লেখা। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে পৃথিবীর প্রথম মহীয়সী নারী কবি এনহেদুয়ানা’র মৃত্যু হয়। সংসারের বাঁধনে জড়াননি তিনি। তিনি কিউনির্ফম পদ্ধতিতে লিখতেন। কিউনিফর্ম লিপি ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম লিপিদের একটি। এর আবিস্কারক হলেন সুমেরিয়ানরা। যা ছিল তিন হাজার পাঁচশত বছর আগের। এতে থাকে কিশ ট্যাবলেট, কিশ থেকে প্রাপ্ত চুনাপাথরের টুকরো যা চিত্রাংকনের মাধ্যমে লেখা হতো, এটাই প্রোটো লিটারেট বা কিউনিফর্ম লিপি। তিনি ছিলেন প্রজ্ঞার বিচারে মেসোপোটেমিয়ার অন্য দশজন নারী থেকে আলাদা। তিনি আক্কাদীয় ভাষায় পড়া ও লেখালেখি করতেন। একজন গণিতবিদও ছিলেন। জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান ও ব্যাখ্যা দিতে পারতেন। সেচ এবং শস্য ভান্ডার সহ শহরের অবকাঠামো, নির্মাণ, বাজার, মন্দির নির্মাণ নিজে তদারকি করতেন। মানুষের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারতেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনা ছিল–ইনান্না ও লেডি অব লংগেস্ট হার্ট।

 

 

স্যাফোঃ–কবি স্যাফো ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের একজন গীতিকবি। লেসবস দ্বীপের মাইটিলিনের একজন প্রাচীন গ্রীককবি ছিলেন স্যাফো। স্যাফোকে প্রাচীন গ্রীকের সর্বশ্রেষ্ট গীতিকবিদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার বেশির ভাগ কবিতা হারিয়ে যায়। তিনি শোকগাথা এবং ইম্বিক কবিতা রচনা করেন। তিনি তিনটি এপিগ্রাম লিখেন যা আজো টিকে আছে। তিনি ছিলেন ধনী পরিবারের সন্তান। স্যাফোর কবিতা প্যাপিরাস টুকরায়, কিছু কবিতা মৃৎপাত্রের টুকরায় পাওয়া যায়। তার টিথোনাস কবিতা মাটির পাত্রের টুকরায় সংরক্ষিত আছে। ১৯১৪ সালে মিশরের অক্সিরহিনচাস কবরস্থান খননের সময়   কফিনে রোল করা অবস্থায় ভাঙ্গা প্যাপিরাসের টুকরায় পাওয়া যায় স্যাফোর দশটি কবিতা।  খ্রীস্টপূর্বাব্দ তৃতীয় কিংবা দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্রকাশিত স্যাফোর কবিতা সুপরিচিত ও সমাদৃত হয়। স্যাফোকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ট গীতিকবিদের একজন।  স্যাফোর দশটি পদ্যগ্রন্থ মধ্যযুগে হারিয়ে যায়। তার একটি কবিতা সম্পূর্ণরুপে টিকে আছে। গ্রীক গীতিকবিতা বা “লিরিক পোয়েট্রি” নামটির উদ্ভব হয়েছে এই জাতীয় কবিতা এককভাবে বা সম্মিলিত কন্ঠে “লায়ার” নামে বীণাজাতীয় এক শ্রেণীর বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে গাওয়া গীত হতো বলে। প্রাচীন গ্রীক কবিদের মধ্যে লেসবসের নারী কবি স্যাফো অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। স্যাফো তাঁর কাব্য “অড টু আফ্রোদিতি” বা আফ্রিদিতির জয়গাথা এবং “টিথোনাস পয়েম” সম্পূর্ণ পাওয়া যায়। গীতিকবিতার পাশাপাশি স্যাফো “শোকগাথা” এবং পাঁচমাত্রার কবিতা রচনা করেন। প্রায় দশহাজার পংক্তি রচনা করেন। তার লেখনী হেলেনীয় পন্ডিতরা প্রশংসা করেছিলেন। স্যাফো সেরসিলাস নামে এক ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। ক্লেইস নামে তার একটি কন্যা জন্ম হয়। স্যাফোর বৈবাহিক জীবন সুখের হয়নি।  অল্পদিনেই ছাড়াছাড়ি হয় তাদের। বাকি জীবন মাইটিলিনে কাটিয়ে দেন স্যাফো। সেখানে তিনি মেয়েদের জন্য “থিয়াসোস” বা একাডেমি সংগঠিত করে তা পরিচালনা ও শিক্ষকতা করেন। দার্শনিক প্লেটো স্যাফোকে “দশম জাদুঘর” হিসেবে প্রশংসা এবং মূদ্রা দিয়ে সম্মানীত করেছিলেন। গীতি কবিতার পদগুলি অত্যন্ত ব্যাক্তিগত ছিল। আবেগ, প্রেম, অভিজ্গতা ও প্রেমজ কাব্য নিয়ে লিখনী ব্যক্তি জীবনের সুখ দুঃখ ফুটে এসেছে। তার গড়া থিয়াসেসে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি কবিতার মাধ্যমে তোলে ধরেছিলেন।  বিরহের গান, কিছু আখ্যানমূলক কবিতা, প্রেম, আবেগ, ঘৃণা, ঈর্ষা, সমকামী চিন্তা ধারা লেখনীতে এসেছে। তাঁর লেখা “গ্রীক লিরিক পোয়েট্রি” হিসেবে মর্যাদা পায়। তাঁর “এপথ্যালমিয়া”‘য় বিরহের পদাবলি, যাতে নারীদের আবেগ, প্রেম, একাকীত্ব, মনের যন্ত্রণা তুলে ধরেছেন ছান্দিক স্পর্শে। তার  “পার্থেনোই” লেখনীতে কোরাস সঙ্গীত বা গান এসেছে নতুনত্ব নিয়ে। স্যাফোর একমাত্র সম্পূর্ণ কবিতা হলো “ফ্রেগমেন্ট”। আকর্ষণীয় চুল, সুন্দরী, লাস্যময়ী স্যাফো সমকামিতায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি হয়ে উঠেন সমকামিতার প্রতীক। লেসবন শহরে স্যাফোর জন্ম এবং এই শহরের নামেই সমকামিতার নাম হয় লেসবিয়ান। তার প্রাপ্ত শেষ কাব্যংশটি ছিলো ষোল লাইনের। স্যাফো ও তার পরিবারকে আনুমানিক খ্রীস্টপূর্বাদ্ধ ৬০০ অব্দের দিকে লেসবন শহর থেকে বিতাড়িত করে নির্বাসন দেওয়া হয়। স্যাফো হেলেনেস্টিক আলেকজান্দ্রিয়া পন্ডিতদের দ্বারা সর্বাধিক সম্মানিত নয়জন গীতিকবিদের মধ্যে একজন ছিলেন। সুদা ছিল তার প্রেমের কাব্যাংশ। তার ছিল এপিগ্রাম। যা পাথরে খোদাই করে লেখা। তাতে ছিলো প্রেমের উচ্ছাস, না পাওয়ার কষ্টবোধ। লেখনী ও রাজনৈতিক কারনে স্যফোর পরিবারকে সিসিলিতে নির্বাসন দেওয়া হয়। জানা যায়, স্যাফো তরুণ নাবিক ফাওনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বিষন্নতায় ছিলেন। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একসময়  লিউকাডিয়ান পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। 


 

করিন্না থেবানঃ—-কবি করিন্না থেবান ছিলেন প্রাচীন গ্রীক কবিদের একজন। বোয়েটিয়ার তানাগ্রায় জন্ম তার। তিনি ছিলেন একজন গীতিকবি। তার পাঁচটি কবিতার বই। যা বোয়েটিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় রচিত।  ৫১৮ খ্রিষ্টপূর্ব সময়ে করিন্নার রচনাবলির তিনটি খন্ডিত অংশ পাওয়া যায় মিশরীয় প্যাপিরাসে। করিন্নার কবিতায় পৌরাণিক কাহিনীর বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়। তিনি ছিলেন অ্যান্থেডনের সহযাত্রী। আচেলুডোরাস এবং প্রোক্রেটিয়ার কন্যা। তার ডাক নাম মাইয়া। ছিলেন কবি পিন্ডারের সমসাময়িক। তিনি পিন্ডারের সাথে প্রতিযোগীতা করেছিলেন। পিন্ডারের মত করিন্নাও “কোয়াল লিরিক” কবিতা লিখেছিলেন। কবি করিন্নাই প্রথম,  যিনি বোয়েটিয়ান আঞ্চলিক ভাষায় লেখা শুরু করেছিলেন। তার প্রায় চল্লিশটা টুকরো টিকে আছে। করিন্নার কবিতার দুটি টুকরো প্যাপিরাসে সংরক্ষণ করা হয়েছিলো। যা এখনো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাকলার লাইব্রেরীতে একটি প্যাপিরাসে সংরক্ষিত আছে। করিন্না স্পষ্ট ভাষায়, সরল ছন্দ পরিকল্পনায় লিখে যেতেন। তার সব লেখাতেই পৌরাণিক কাহিনীর সংশ্লিষ্টতা থাকতো। চতুর্থ শতাব্দীতে কবি করিন্নার একটি মূর্তি এবং লেখার অংশ রয়েছে। করিনার Daughters of Asopus” এবং “Terpsichore” উল্লেখযোগ্য লেখনী। যাতে বংশ, পৌরাণিক গাঁথা, সরল ভাষায়, সহজ বর্ণনায় তুলে ধরেছেন।

 

 

লোক্রির নসিমঃ– দক্ষিণ ইতালির লোকরিতে ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বে লোক্রির নসিম নিজেকে সাদোর অনুসারী কবি ও প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে দাবি করেন।তিনি ছিলেন প্রেমের কবি। তার বারোটি এপিগ্রাম আজো টিকে আছে। তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি।

 

 

মোয়েরাঃ– প্রায় ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্ধে বাইজেন্টিয়াম কবি মোয়েরা বা মাইরা’র জন্ম। তার কবিতাগুলো অ্যাথেনিয়াসের উদ্বৃতিসহ দুটো এপিগ্রাম টিকে আছে। প্রাচীন কবিদের কবিতায় কবি মোয়েরার কবিতার আলোচনা আছে।

 

 

সালপিসিয়াঃ ১– সম্ভাব্য যুক্তিতে সালপিসিয়া–১৯ খৃষ্টীপূর্বাব্দে রোমে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি একজন প্রাচীন রোমান নারী কবি। তিনি ল্যাটিন ভাষায় লেখালেখি করেন। তার লেখা ছয়টি শোকগাথা মূলক কবিতা পাওয়া যায়। তার সব কবিতাই একজন প্রেমিককে উদ্দেশ্য করে লেখা। তার শোকগাথা লেখাগুলো সেরিন্থাস ছদ্মনামে লিখেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রেমের কবি।

 

 

থিওফিলাঃ–রোমের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র স্পেনে কবি থিওফিলার জন্ম। তবে তার জন্মের সন তারিখ জানা যায়নি। গ্রীক কবি মার্শাল থিওফিলার কবিতাকে কবি স্যাফোর কবিতার সাথে তুলনা করেন। কবি থিওফিলার কাব্যগুলো হারিয়ে যাওয়ায় তার ব্যাপারে বেশি তথ্যাদি পাওয়া যায়নি।

 

 

সালপিসিয়াঃ ২–প্রায় ৯৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের আগেই মারা যান কবি সালপিসিয়া–২। তিনি ছিলেন ক্যালেনাসের স্ত্রী। কবি মার্শালের বর্ণনায় সালপিসিয়া–২ এর কবিতার কথা ফুটে এসেছে। সালপিসিয়া–২ এর কবিতার মাত্র দুটো লাইন টিকে আছে। তিনি ছিলেন যাতনাবোধের ক্লিষ্ট নারী কবি।

 

 

ক্লডিয়া সেভেরাঃ–কবি ক্লডিয়া সেভেরার জন্ম রোমে। প্রায় ১০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তার লেখালেখি। তিনি ছিলেন ইংলেন্ডে অবস্থিত এক রোমান সেনাপতির স্ত্রী। পাতলা কাঠের ফলকে লেখা চিঠির অংশে কাব্যংশ পেয়ে ধারণা করা হয় তা ক্লডিয়া সেভেরার লেখা। সেভেরার লেখা চিঠিগুলো তার স্বামী ও বোনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন। অন্যান্য কবিদের চেয়ে শিক্ষিত লেখিকা ছিলেন। ব্রিটিশ জাদুঘরে ক্লডিয়া সেভেরার লেখাসমূহ রক্ষিত আছে।

 

১০

 

হাইপেশিয়াঃ– কবি হাইপেশিয়ার জন্ম ৩৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্দ্রিয়া শহরে। আরবরা যখন আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে নেয়, তখন কবি হাইপেশিয়ার লেখা গ্রন্থের লাইব্রেরি আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয়। খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে হাইপেশিয়া প্লেটোবাদী দর্শনধারার মূল ব্যাক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন তুখোড় বক্তা। তার বিনয়, গুণ, সৌন্দর্য সবার মন কাড়েন। তার শিক্ষার্থীরা তাকে খুব মান্য করতো ও ভালোবাসতো। হাইপেশিয়ার সাথে তারই শিক্ষার্থী সাইনোসিয়ার সু সম্পর্ক হয়। হাইপেশিয়া সাইনোসিয়াকে অনেকগুলো পত্র লিখেন। চিঠিগুলো আজো রক্ষিত আছে। ৪১০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সাইনেসিয়া টলেমাইস এলাকার বিশপ নির্বাচিত হন। ৪১৫ সালে পিটারের নেতৃত্বে হাইপেশিয়ার গাড়িতে হামলা চালায় এবং হাইপেশিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হাইপেশিয়া একাধারে কবি, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জোর্তিবিদ, উদ্ভাবক ও শিক্ষিকা ছিলেন।


প্রাচীন গ্রীকের নারী কবিরা তাদের সময়কার সমাজ, রাষ্ট্র, মানুষ, আপনজন সবার নিকট থেকেই অবহেলা, নিষ্পেষণ পেয়ে জর্জরিত হয়েছেন বার বার। লিখে গেছেন বুকের দীর্ঘশ্বাসে প্যাপিরাসে, পাথর খন্ডে কিংবা পাতলা কাঠের ফলকে। কাল থেকে মহাকাল, শতাব্দী থেকে শতাব্দী মানুষ তাদের মনে রাখবে, ভালোবাসবে, আগলে রাখবে, স্মৃতি, ভাবনা, লেখনীর মণিকোঠায়। 

 

 



এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *