উম্মে মুসলিমা
সেরকম বিশ্বস্ত মানুষ তো আজকাল পাওয়াই যায় না যার ভরসায় বাচ্চাটাকে রেখে তনিমা নিশ্চিন্তে অফিস করতে পারবে। চারমাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ফুরিয়ে আসছে। সকালেই শাশুড়ি টেলিফোনে আবার জানালেন,
‘সাতটা মানুষ করেছি মা। বুড়ো হাড়ে আর জোর নেই। বরং দিয়ে যাও গ্রামে আমার কাছে ঠিক মানুষ করে দেব। তবে নিজের বাড়ি ছেড়ে আমি কোত্থাও যাব না। তোমরা খালি চাকরিই করো’
‘কিন্তু দুজনের রোজগার না হলে তো মা আজকাল চলা যায় না’।
‘তোমার শ্বশুরের একা রোজগারে সাত সাতটা মানুষ করেছি, আর একটা নিয়েই তোমরা খাবি খাচ্ছ’।
কাঁধ উঁচু করে মোবাইল কানে ঠেকিয়ে তনিমা দু’হাতের সাহায্যে একটা স্তন থেকে আরেকটায় অঙ্গনের মুখ বদলিয়ে দেয়। বদলাতে বদলাতেই দুধের ধারা ফিনকি দিয়ে উঠে ঘুমন্ত আসিফের চোখে গিয়ে ঝাপটা মারে। আসিফ ‘এহে’ করে চোখের ওপর হাত দিয়ে উঠে বসে। শাশুড়ি ওদিকে অনর্গল বলেই চলেছেন।
‘সে একবার কী হলো তোমাকে বলি। আসিফ তখন কেবল আড়াই। আমার পেটে নাফিস…’
আসিফ চোখ খুলে তনিমার স্তনদান দেখছে আর নিজের চোখের ওপর আঙুল বুলিয়ে সে আঙুল জিবে লাগাচ্ছে।
‘এহ্, এমন আঁশটে গন্ধ ওই শালা খায় কী করে?’
‘আহা, এই যেন প্রথম এটার স্বাদ পাচ্ছ?’, মোবাইলের স্পিকার চেপে ধরে তনিমা ফিসফিসিয়ে ঝাড়ি দেয়।
‘কামে আর ঘামে তখন সবই সুধারে বউ’
‘আস্তে! মা ওদিকে। অঙ্গনকে ধর দরকারি কথা সেরে নিই’।
মূল কথায় আসতে চায় তনিমা। অঙ্গনকে দেখাশোনার একটা ভালো মেয়ে না পেলে ওকে বোধহয় চাকরিই ছেড়ে দিতে হবে। অনেক কথা বলার পর আসিফের মা সামনে সপ্তাহে একটা ব্যবস্থা করবেন বলে জানালেন। তনিমা আনন্দে ঘুমন্ত অঙ্গনের মুখে টকাশ করে চুমো খেয়ে বোতাম খোলা বুকে আসিফের মুখ চেপে ধরলো। কারণ তনিমা জানে তার জাঁদরেল শাশুড়ি ব্যবস্থা করবেন বলেছেন যখন তখন এক সপ্তাহের মধ্যেই কেল্লা ফতে।
জোবেদা ওর নাম। তনিমার মায়ের নামও জোবেদা বলে ওর নতুন নাম দেয়া হলো জাবিন। পনের-ষোল বছর বয়স হতেই পারে। কিন্তু হাড়-চামড়া আর অসাধারণ দুটো চোখ ছাড়া ওর শরীরে আর উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই।
‘এতো নাজায় মানুষের কাছে বাবুকে রেখে স্বস্তি পাওয়া যাবে?’
আসিফ তার কথাবার্তার মাঝে নিজের অঞ্চলের ভাষা ব্যবহার করে। বলে ভাষাগুলোকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নাজায় মানে হচ্ছে দুর্বল, তনিমা জানে। অফিসে জয়েন করার আগে আগে তনিমা কদিন ধরেই সব পাখিপড়া করে বুঝিয়ে যাচ্ছে জাবিনকে। কতখানি ভারি হলে ডায়পার পাল্টাতে হবে, কতক্ষণ ধরে ফিডার ফুটাতে হবে, ওয়াইপ দিয়ে কত আস্তে পাছা মোছাতে হবে, কতখানি এঙ্গেলে রেখে বাবুকে ফিডার খাওয়াতে হবে এমনকি টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করার কায়দাও শেখাতে ভুললো না যাতে অঙ্গনকে কোলে বসিয়ে জাবিনের সময় আনন্দে কাটে। রান্নাবান্না, কাচাকুচো, ঝাড়পোছ কোনকিছু জাবিনকে করতে হবে না। সে শুধুই অঙ্গনকে নিয়ে থাকবে। ডিম-বিস্কুট-চানাচুর যখন ইচ্ছে খাবে বলে অফিসে বেরোলো আসিফ আর তনিমা। প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত অফিস করে বলে কয়ে তনিমা বাসায় ছুটে এলো পাগলের মতো। জাবিন হেসে দরজা খুলে দিল। ওর হাসি দেখেই প্রাণ জুড়িয়ে গেল।সে হাসি দেখলে কারো মনে হবে না এ মেয়ে প্রতারণা জানে। কিন্তু তনিমার স্তন করে টনটন। দুধের ভারে তনিমার দুটো স্তন যেন দুটো থান ইট। ঘন্টা দুয়েক আগে থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে টপটপ করে দুধের ধারা পড়তে পড়তে ব্রা-ট্রা ভিজে একাকার। ভেজা তোয়ালে দিয়ে বুক মুছে অঙ্গনকে টেনে নিল তনিমা। অঙ্গন ডুকুডুকু খায় আর জাবিনের দিকে তাকিয়ে হাসে। তনিমার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো।
জাবিনের কাছে অঙ্গন দিব্যি হেসেখেলে থাকে। সেই রোগাপটকা বাচ্ছাটাকে জাবিন মনের মাধুরী মিশিয়ে বড় করছে। সুন্দর নাদুস নুদুস দেখতে হয়েছে ছেলেটা। তনিমা অফিস থেকে ফিরলে ছুটে বুকে আসে ঠিকই কিন্তু তার খেলাধুলা সবকিছু জাবিনের সাথে। একইসাথে জাবিনের চেহারাটাও ফিরেছে। স্বাস্থ্য ভালো হওয়াতে জাবিনকে লাবন্যময়ী স্নিগ্ধ দেখায়।
আসিফ বলে, ‘জাবিন থাকতে থাকতে চলো একটা কন্যা ট্রাই করি’
‘উঃ শখ কতো! জাবিনের ওপর ছেড়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছি। ওকে যে কত কষ্ট করতে হয়, তুমি কী বুঝবে?’
‘কিন্তু ঝুঁটিবাঁধা, ফ্রক পরা, টোল ফেলা একটা মেয়ে যে আমার চাই-ই’
‘চাইলে আর একটা বিয়ে করে তার পেট থেকে নাও’
‘সত্যি? হুররে… ’
‘নেয়াচ্ছি’ বলে তনিমা আসিফের গোঁফ মুচড়ে দিলে আসিফও তার প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয়।
অঙ্গনের তিন বছরের জন্মদিন পার হলো। জাবিন এখন রীতিমত সুন্দরী। তনিমার শাশুড়ি ওর বিয়ে দিতে হবে বলে টেলিফোনে মনে করিয়ে দেয়। আসিফ বলে,
‘এত আকাবাকির কী আছে। অঙ্গন পাঁচে পড়ুক। ওকে স্কুলে ডে-কেয়ারে দিয়ে টিয়ে তখন দেখা যাবে’। আকাবাকি মানে হচ্ছে গিয়ে তাড়াহুড়ো। তনিমা এ শব্দে অভ্যস্ত। বিছানায় আসিফের আচরণে আকাবাকি সবচে উপযুক্ত শব্দ।
‘কিন্তু গ্রামের মেয়েদের উনিশ-কুড়ি বছর কম না। আজকাল মোবাইলে কার সাথে যেন অনেক কথা বলে’, তনিমা জানায়।
‘বলুক। ঐটুকু বিনোদন না পেলে…ওরও তো উঠতি বয়স’।
তনিমা শাশুড়ির উপদেশে অস্থির। দু’এক মাসের মধ্যে ওকে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। কিন্তু অঙ্গনকে কে দেখবে? আর দুটো বছর গেলে জাবিন কী এমন বুড়ি হয়ে যেত? ওর বিকল্প না পেয়ে ওকে ছাড়ি কী করে? এমাসে মাসিক হয়নি তনিমার। মানে কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। এ মুহূর্তে জাবিন চলে গেলে ও তো সাগরে পড়বে।
‘শোন জাবিন, গ্রামে পাঠিয়ে দেব তোকে। তোর চাচা তোর বিয়ে ঠিক করেছে। যাবি?’
‘হঅঅঅঅয়। গিরামের দুয়াজবাইরি ছাতিসারার সাতে বি করতি আমার পা কাঁইদিচে’
‘কিন্তু তোর চাচা তো রোজ ফোন করে’
‘উর বি করার খাইসলোত আচে, ও করুক। আমার চিন্তা আমার’।
এর দশদিন পর জাবিনের চাচার তিন নম্বর বউ এসে হাজির। চোখের নিচে কালশিটে। পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন। কেন ছেলে জন্ম না দিয়ে মেয়ে জন্ম দিয়েছে তার জন্যেই এ নির্যাতন। একবছরের মেয়েকে মায়ের জিম্মায় রেখে প্রাণ বাঁচাতে বউটা পালিয়ে তনিমার শাশুড়ির কাছে গেলে তিনি লোক দিয়ে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কারণও অস্পষ্ট নয়। জাবিনের বিয়ে হলে এ বউটা আসিফের বাসায় থাকতে পারবে। বউটা তার মেয়ের জন্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখ মোছে। জাবিন বলে,‘ও ছোট্মা, তুই কান্দিসনি। আল্লাই তোকে দ্যাকপেনে’।
‘গরিবীর কি আল্লা আচেরে সুনা?’
জাবিনকে অঙ্গন ডাকে ‘দাবি’। দাবির কাছেই ওর যত দাবি। ছুটির দিনে তনিমা বাসায় থাকলেও দুপুরের ঘুম জাবিনের কোল ঘেষেই এ তিন বছর ঘুমিয়ে আসছে অঙ্গন। জাবিনের ওড়নার এক কোণ আঙুলে পেঁচিয়ে ঘুমানো অঙ্গনের সেই ছোট্টবেলার অভ্যাস। ও ঘুমিয়ে কাদা হলে পর জাবিন ওর আঙুলে সাবধানে ওর মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে দিয়ে তবেই উঠে এসে অন্য কাজ সারে। জেদ উঠলে তনিমা ওকে সামলাতে পারে না। জাবিন যেন কীভাবে ওকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ঠিক শান্ত করে। কিন্তু সেদিন সকালে অফিসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই জাবিনের পরিবর্তে ছোটমার ফোন তনিমার অফিসে। ওপাশে অঙ্গনের গগনবিদারী কান্নায় কোন কথাই শোনা যাচ্ছে না।
‘জাবিনকে দাও ছোটমা’, গলা ফাটিয়ে বলে তনিমা। ওর বুক ধড়ফড় করে।
‘জাবিনকিই উটকাচ্চি, উক্ পাচ্চিনি, তুমরা ঝপ্ কইরি আইসু। ছেইলি কানতি কানতি আকাটা ধইরি যাচ্ছে’।
আসিফকে ওর অফিস থেকে তুলে নিয়ে তনিমা পাগলের মতো বাসায় ছুটলো। আসিফ তনিমার ওপর রেগেমেগে একই কথা বারবার বলল,
‘নিষেধ করেছিলাম ওকে একা একা বাইরে পাঠিও না। ওর যে বাইরটান হয়েছে তা আমি আগেই বুঝেছি’। বাইরটান মানে ‘উচাটন মন ঘরে রয়না’ জাতীয়, তা তনিমা ঐ অস্থিরতার মধ্যেও মনে মনে নির্ভুল বিশ্লেষণ করে খুশী হয়।
‘দাবি দাবো, দাবি দাবো’ করে অঙ্গন তখনও সমানে চেঁচাচ্ছে। আসিফ কোলে তুলে নিয়ে বাইরে গেলে তনিমা যা শুনলো তা হলো সকাল সাড়ে নটার দিকে অঙ্গনকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে জাবিন নাকি বলল,
‘ছোট্ মা শোনেক, আমি মুবাইলে ফেলেস্কি কইরি এক মুত্তুরি চইলি আইসপো। তুই বাবুর ঠিন বইসি থাকপি বোলে । হাগতি মুততিও যাবিনি’।
ঘন্টা পার হয়ে গেলেও জাবিন ফিরে আসে না। অঙ্গন ঘুম থেকে উঠেই তার দাবিকে না দেখে চেঁচামেচি কান্নাকাটি। কাঁদতে কাঁদতে গলা শুকিয়ে গেছে ভেবে ওকে পানি খাওয়াতে গেলে গ্লাস ছুড়ে ফেলে দেয়। সামলাতে না পেরেই বাধ্য হয়ে ছোট্মার ফোন।
সম্ভাব্য এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আসিফ জাবিনের খোঁজ করেনি। ও কি স্বেচ্ছায় কারো সাথে পালালো না কেউ ধরে নিয়ে গেল তা কোনদিনও জানা গেল না। আসিফ থানায় ডায়েরি করেছে। তনিমা রোজ খবরের কাগজ দেখেছে ‘তরুণীর পচা-গলা লাশ উদ্ধার’ জাতীয় কোন খবরও দেখেনি। ভাগ্যিস ওর চাচা জানে যে তার নির্যাতিতা বউটি এখানে আশ্রয় পেয়েছে, সেও ভয়ে ভায়ের মেয়ের কোন খোঁজখবর করেনি। কিন্তু অঙ্গনকে সামলানো প্রথম প্রথম খুবই কষ্টকর হয়েছিল আসিফ তনিমার।ওরা ছুটি নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিল। নতুন নতুন খেলনা কিনে দিয়েছিল। কিন্তু জাবিন চলে যাওয়ার ছমাসের মধ্যে অঙ্গন শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। কেবল স্কুলে যাতায়াত শুরু করার পর থেকে আস্তে আস্তে দাবির জন্য কোন দাবিই বাহ্যিকভাবে অঙ্গন আর প্রকাশ করতো না। কিন্তু ছোটবেলায় অঙ্গন যেমন চটপটে, বাকপটু, বুদ্ধিদীপ্ত ছিল বড় হতে হতে তা অনেকটাই পাল্টে গেল। কেমন যেন চুপচাপ ঘরকুনো কম্পিউটারমুখো হয়ে থাকাতেই পছন্দ ওর। তনিমা ডাক্তারের সাথে কথাও বলেছে। ডাক্তার বলেছে কোন অস্বাভাবিকত্ব নেই। পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কোথাও বেড়াতে পাঠালে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আসিফ তনিমা অঙ্গনকে নিয়ে যতটা চিন্তিত মেয়ে উন্নিতাকে নিয়ে তার সিকিভাগও না। মেয়ে স্কুলের বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হৈ হৈ করে দিন কাটাচ্ছে। অঙ্গনের যে একেবারে বন্ধু-বান্ধব নেই তা নয়। কিন্তু বাসায় ডেকে এনে বোনের মত হুল্লোড় করার ইচ্ছে ওর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তনিমার পীড়াপীড়িতে বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার পাঠাতে রাজি করাতে পারলো। যেন তাকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে এমন মুখের ভাব নিয়ে তিন বন্ধুর সাথে অঙ্গন রওনা দিল।
চট্টগ্রামে একরাত থেকে ওরা পরদিন সকালে কক্সবাজার যাবে। হোটেলে ব্যাগ-বোঁচকা রেখে ওরা রাতের খাবার খেয়ে খানিক এদিক ওদিক ঘুরলো। সাইমন বললো অঙ্গনকে,
‘তুই এখনও ছোটবাবুটিই রয়ে গেছিস। আজ রাতে তোকে বড় বানিয়ে দেব চল’
‘কোথায়? জিমে?’
‘তোর মাথায়’।
শহর থেকে বেশ দূরে মাঝারিমাপের বাজারের শেষ মাথায় ল্যাম্পপোস্টের টিমটিমে আলোয় সারিবদ্ধ কতগুলো বন্ধ দরজার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ওরা। তখন মাঝরাত। ঝাঁপ ফেলে দেয়া দোকানের বাইরে ময়লার স্তূপের ওপর মিষ্টির খালি প্যাকেট আঁচড়াচ্ছে একটা নেড়ি কুকুর। ঝিঁঝিঁরা পুরো এলাকা পাহারা দিচ্ছে। অনড় অঙ্গনের মাথার ওপর মশাদের নেতাহীন জনসভা। সাইমন ভেতরে গিয়ে কার সাথে যেন কথা বলে এলো। তারপর একটা ভেজানো দরজা ঠেলা দিয়ে খুলে অঙ্গনকে সেই অন্ধকার করে মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে সরে গেল সাইমন।
পরদিন ভোরে সাইমন যে অঙ্গনকে পেল তার মুখ কান্তিহীন। উদ্ভাসিত। যেন টানা একযুগ প্রশান্তির ঘুম থেকে উঠে আসা নিষ্পাপ এক শিশুর মুখ। অঙ্গন আকাশে ছুঁড়ে দিল তার উচ্ছাস,
‘আহ্! দাবি দাবি দাবি!’