short-story-balir-bandh

বালির বাঁধ
হর্ষ দত্ত


করিডর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্রোধ চেপে রাখতে পারল না অভ্রদীপ। চোয়াল শক্ত করে বলল, তোর দ্বারা কিস্যু হবে না। তুই যদি সব জানিস, তা হলে তো মালিক কিছুই জানেন না! তোর কাছ থেকে উনি শিখবেন, নাকি তুই ওঁর থেকে শিখবি? কোনটা… উত্তর দে…

শিবব্রত সহকর্মীর এই রাগের কারণটা ঠিক কী, বুঝতে পারল না। মিটিং-এর শেষে এক কাপ দামি, সুগন্ধী লিকার চা খেতে খেতে, মালিক ওদের সঙ্গে অফিস-বৃত্তের সম্পূর্ণ বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এই যেমন আজকের আলাপচারিতায় মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল, পোস্ত। ভারতে পোস্ত চাষ নিষিদ্ধ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। কেননা পোস্তর নির্যাস থেকে আফিম তৈরি হয়। ওষুধ তৈরির উপকরণের চেয়ে আফিমের কদর ও দাম অনেক বেশি। কয়েক শতাব্দী ধরে, আফিম পৃথিবীর বিরাট অংশ জুড়ে নেশাড়ুদের মাতিয়ে রেখেছে। যেসব নেশার বস্তু চোরাচালান হয় তারমধ্যে আফিম অন্যতম। তাই সরকার কড়া হাতে পোস্তচাষ ঠেকিয়ে রেখেছে। উল্টো দিকে খাদ্যবস্তু হিসেবে এই স্বর্ণশস্যের চাহিদা বিপুল। ফলে কৃষি দপ্তর ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ভারতীয় চাষিদের ভগ্নাংশকে পোস্ত চাষের অনুমতি দেয়। জোগান ও চাহিদার মধ্যে বিরাট ফারাকের জন্যে, পোস্তর দাম অন্য নিত্য ব্যবহার্য বস্তুর থেকে অনেক বেশি।

এইসব টুকটাক আলোচনার মধ্যে মালিক হঠাৎ শিবব্রতকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পোস্তোর বড়া, আলু পোস্ত—এসব তো খেয়েছেন। কিন্তু কখনও ঝিঙে-পোস্ত টেস্ট করেছ? আহা…

ওর অতিচেনা একটা ডেলিকেসি। শিবব্রত প্রায় বাঁধভাঙা সারল্যে হাউমাউ করে উত্তর দিয়েছিল, স্যার, এই গত সপ্তাহে খেয়েছি। ঠাকুমা সুযোগ পেলেই ঝিঙে-পোস্ত করে।…অনবদ্য ডিস।

অভ্রদীপ স্পষ্ট দেখেছিল, মালিকের দুই ভুরুর মাঝখানে ভাঁজ পড়ে গেছিল। মুহূর্তে ভাঁজ মুছে দিয়ে চোখ নাচিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে রান্না করতে হয় জানেন!

সঙ্গে সঙ্গে সোজা না বলবার জন্যে, টেবিলের তলায় সহকর্মীর পায়ে, নিজের পা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে অভ্র। শিবব্রত অন্তত বলতে পারত, এসব তো স্যার রান্নাঘরের ব্যাপার। হাতে হাত রাখা যায়। কিন্তু পায়ের ওপর পা রাখা কি কঠিন? কে জানে! কোনও কথাই যেখানে বলা উচিত নয়, সেখানে শিবব্রত ঝিঙের খোসা ছাড়ানো থেকে শুরু করে, শিল-নোড়ায় বাটা পোস্তর জল কড়াইয়ে দেওয়া পর্যন্ত রান্নার সম্পূর্ণ রামায়ণ হড়হড় করে বলে গেল।

অতএব অভ্রদীপ কিছুই করতে পারল না। পরবর্তী অভিঘাত দেখার জন্যে খানিকটা সিঁটিয়ে বসেছিল। গাল-গল্পে মেতেছিল যে-শিশুসুলভ মুখটা, সেটা যেন সেই মুহূর্তে হয়ে গেছিল অগ্নিগোলক। মালিক মহোদয় গম্ভীর গলায় শিবব্রতকে বলেছিলেন, তুমি তো দেখছি সব বিষয়ে কম্পিটেন্ট!…ওকে, তোমরা এসো।

আরে তুই এমন রাগে ফেটে পড়ছিস কেন! বিস্ময় থেকে শিবব্রত কিছুতেই বেরোতে পারছে না।

ওর পিঠে জোরে কিল মেরে অভ্র ক্রোধে জ্বলতে জ্বলতে বলল, তোকে আগে একদিন বলেছিলাম… তুই বেমালুম ভুলে গেছিস…আজ আবারও বলছি, অফিস সংক্রান্ত কথাবার্তার পর মালিক যখন হালকা মেজাজে কিছু জানতে চাইবেন, তখন আগ বাড়িয়ে উত্তর দিবি না। বরং বোকচন্দরের মতো ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে বলবি, জানি না তো!

জানলেও বলব… জানি না? শিবব্রত অবাক।

ইয়েস। সবসময় এস্টাব্লিশড করতে হবে এই সত্য, মালিকের থেকে তোমার জ্ঞান কম, জানার পরিধি সীমিত। সব বিষয়ে তিনি অভিজ্ঞ, শিক্ষিত ও পারঙ্গম। তুমি তাঁর চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছ। ওঁর কাছ থেকে তুই প্রাতঃকৃত্য থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত জেনে, এই জীবন কী ও কেন— মোটামুটি বুঝতে পারবি। মালিকের এই সবজান্তা ব্যাপারটা আমি মেনে চলি। কখনও আমাকে মুখ খুলতে দেখেছিস? ‘জানতাম না তো’, ‘তাই নাকি’, ‘দারুণ বললেন কিন্তু’, এইসব তৈলাক্ত বাক্য বাতাসে ভাসিয়ে দিই। সরাসরি কোনও উত্তর দিই না দেখে আমাকে আর জিজ্ঞেস করেন না। করলেও তোর মতো বোকা-হাঁদারা উত্তর দেওয়ার জন্যে এরিনাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যত্তো সব!

লিফ্ট আরও একটু দূরে। লম্বা করিডর। শিবব্রত থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল, তাহলে কি আমার নম্বর কাটা গেল অভ্র!

ওকে স্বস্তি দেওয়ার বদলে অভ্রদীপ চমকে দিল, আলবাৎ। ওঁর নেকনজর থেকে আউট হয়ে যাওয়ার মতো করছিলি। আচ্ছা, তুই যে ঝিঙে-পোস্ত সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ, তা কি মালিক তোকে প্রমাণ করতে বলেছিলেন? বলেননি। এখানে তোর কাজ কেবল শোনা। তারপর মালিকের জ্ঞানের বহর দেখে তালি বাজাও কিংবা নিখুঁত অভিনয়ে চমকে চমকে ওঠো।

আমি তো এর একটাও করিনি। তাহলে কী হবে গুরু? শিবব্রত রীতিমতো ভয়ে কেঁপে উঠল।

অভ্রদীপ এবার মৃদু হাসল, এত ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। তুই এই হোম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লিয়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানির সেলস এক্জিকিউটিভ থেকে এরিয়া সেলস ম্যানেজার হয়েছিলি। তারপর উঠেছিস ব্রাঞ্চ সার্ভিস ম্যানেজার পোস্টে। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছিস এবং যাবি। ভেঙে পড়িস না। ডোন্ট ওরি।

কোম্পানির বাঙালি মালিককে নিয়ে আমাদের মাইরি বাইরে গর্ব। কিন্তু ভেতরে দুর্ভোগ। কাউকে এসব কথা বললে বিশ্বাস করবে না। করুণ স্বরে বলল শিবব্রত।

 

 

অ্যাডভারটাইস অ্যান্ড অ্যাপ্লিয়েন্স প্রমোশন ডিপার্টমেন্টের, অনুমিতা ব্যানার্জিকে সারা অফিস চেনে। খুব মিশুকে ও জলি। পোস্টে ও বয়সে বড়রাও যেন ওর বন্ধু। হাসিখুশি যুবতীটি নানা রঙের, নানা ধরনের পোশাক পরতে ভালবাসে। আবার পরোয়া না-করে, চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শোনাতেও ওস্তাদ। ফলে অনেক সহকর্মী ওকে হাই হ্যালো-র গন্ডিতে সীমাবদ্ধ রেখেছে। ওর ওপর, কোম্পানি নিয়মের নিষেধাজ্ঞা চাপাতেই পারে। তবে অফিসের গুমোট ভাব কাটানোর জন্যে এমন দু-এক টুকরো আনন্দ-উপকরণের দরকার। 

অনুমিতা ফড়িং-এর মতো নির্বাধায় উড়ে বেড়ায়, এই সংস্থার সাতটা বিভাগে। কাজের ফাঁক-ফোকরে। যেমন এই মুহূর্তে বেরিয়েছে।

শিবব্রত একমনে ল্যাপটপে কাজ করছিল। ওর টেবিলের ওপর অনু হালকা চাপড় মারল, শিবুদা, একটু বসতে পারি?

করিডরে কার সঙ্গে যেন জোরে জোরে কথা বলছিল অনুমিতা। তখনই শিবব্রত অনুমান করেছিল, মেয়েটি ওদের ডিপার্টমেন্টে ঢুকবে। অদৃশ্য ডানায় ভর দিয়ে এর-তার সঙ্গে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করে হঠাৎই উড়ে চলে যাবে। কিন্তু কারও কাছে না গিয়ে, অনুমিতা যে ওরই কিউবিকলে ঢুকে আসবে, শিবব্রত কল্পনাও করেনি।

ভেতরে ভেতরে খানিকটা হিমশীতল হয়ে গেলেও, কৃত্রিম উষ্ণতায় শিবব্রত বলল, আরে, তোমার আসন সর্বত্র।…কোম্পানির চেয়ারে বসবে, তার জন্যে আমি পারমিশান দেব! বলছ কী! আমার তো চাকরি চলে যাবে।

দূর, আপনি এক একটা যা কথা বলেন না! একটা নিচুতলার কর্মী ছাড়া, এই কোম্পানিতে আমার আর কোনও পরিচয়ই নেই। চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, প্রায় ধপাস করে চেয়ারে বসল অনু। তারপর চোখের ইঙ্গিতে অভ্রদীপের ফাঁকা চেম্বারটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, ওখানে কে আসছে? কার ভাগ্যে শিকে ছিড়ছে!

জানি না। ইয়ারফোন কানে গুঁজতে গুঁজতে শিবব্রত বিরক্তি লুকিয়ে উত্তর দিল।

ম্লান হাসল অনুমিতা, নিচু স্বরে বলল, এই অফিসে স্কিল বা এক্সপেরিয়েন্সের ভিত্তিতে তো আর পদোন্নতি হয় না। মালিকের ইচ্ছের ওপর তা নির্ভর করে। সেই সঙ্গে কারও ফেক সার্টিফিকেট বা গদগদে সুপারিশ এক একজনকে প্রমোশনের চুড়োয় তুলে দেয়। মালিকের ভাবনার সঙ্গে মিলে গেলেই হল, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।…অভ্রদার এই হঠাৎ চেয়ার বদল নিয়ে এখনও অফিসে ফিসফাস আলোচনা চলছেই।…সরি, আপনি ডিস্টার্বড…না, না আমিই আপনাকে অযথা বিরক্ত করলাম।…পার্ডন মি। আসলে ব্রাঞ্চ সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র মোস্ট সন্দীপনদা, একই চেয়ারে আটকে থাকল। এগুলো খুব চোখে লাগে।

অনুমিতা বাজে কথা বলছে না। ওদের এই মালটিপ্লেক্স কোম্পানির এমন অসহ্য নিয়মের পরিবর্তন যে কবে হবে কে জানে! সবাই জানে, প্রাইভেট সংস্থাগুলো চলে তাদের নিজস্ব আইন-কানুনে। কিন্তু কর্মিদের প্রমোশনের ব্যাপারে বরিষ্ঠতা বা প্রাজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। মালিকরা রাম-শ্যাম-যদু-মধুর মধ্যে কাউকে বেছে নেন। কেননা কোম্পানির মূল্যায়নে এই লোকটিই সবচেয়ে ট্রাস্টওয়র্দি অ্যান্ড হাইলি কম্পিট্যান্ট। অবশ্য বাস্তবে অনেকবার দেখা গেছে এর বিপরীত ছবি। বিশ্বস্ত ওস্তাদেরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু অলিখিত নিয়মের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আবার এ নিয়ে কোনও প্রশ্নও তোলা যায় না। কোম্পানি চলে তার নিজের মতে। তোমার পোষালে এই সংস্থায় থাক, না পোষালে অন্যত্র চলে যাও।

মাস ছয়েক আগে প্রমোশনের সংবাদটা পাওয়ার পর, অভ্র অভাবিত আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিল এমন নয়। শিবব্রতর কাছে এসে, চিঠিটা ওর হাতে দিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলেছিল, শিবু, কোম্পানি আমাকে নতুন পোস্টে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে। চিফ ব্রাঞ্চ সার্ভিস ম্যানেজার। তোর চেয়ে একধাপ এগিয়ে গেলাম।

কনগ্র্যাচুলেশন! হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল শিবব্রত। আশ্চর্য, অভ্রর হাতের তালুতে কোনও উষ্ণতা ছিল না। তাহলে কি ও জানত, সিবিএসএম হচ্ছে! প্রশ্নটা এখনও শিবের বুকের ভেতর কাঁটার মতো বিঁধে আছে। মালিকের নেকনজর আর প্রশ্রয় কি ওকে উঁচুতে তুলে দিল! অভ্রর চেম্বার এখন পাঁচ তলায়। ফোনে অফিসিয়াল কথাবার্তা ছাড়া, ওর সঙ্গে শিবব্রতর প্রায় দেখাই হয় না।

আপনি আর অভ্রদা একসঙ্গে চা-সিগারেট খেতে নিচের লাউঞ্জে নামতেন। আপনাদের মধ্যে একটা আলগা ফ্রেন্ডশিপ ছিল। তবে সেটা বন্ধুত্ব নয়।

কথা ঘোরানোর চেষ্টা করার মতো শিবব্রত যেন মরিয়া হয়ে জানতে চাইল, বন্ধুত্ব নয় কেন?

অফিস-কলিগরা বন্ধুর মতো আপন কখনই হতে পারে না। রিটায়ারমেন্টের পর কে কোথায় ছড়িয়ে পড়ে! হারিয়ে যায়। আপনার আর অভ্রদার মধ্যে কতটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে।

শিবব্রত মৃদু হাসল, অনু, তোমার গতিবিধি তো অফিসের সর্বত্র। অভ্রর সঙ্গে দেখা করে এসেছ?

যাব। নতুন পোস্টে অভ্রদা আর একটু পুরনো হোক।… আপনাকে কি বাবু আর মিটিঙে ডাকেন?

তুমি কি এই অফিসের নাড়ি-নক্ষত্র সব জান! শিব প্রথমে বিস্মিত, তারপর গম্ভীর গলায় বলল, চিফ ম্যানেজার পদে তখন কেউ ছিল না। তাই দুজন যেতাম। এখন অভ্র নিযুক্ত হয়েছে। অতএব উনি মিটিঙে ভিড় বাড়াবেন কেন! আর কিছু কি জানতে চাও?

না, না। হাসতে হাসতে জোরে মাথা দোলাল অনুমিতা, ধীরে ধীরে কেটে পড়ছি। হড়কে না যাই!

 

 

যদিও আজ বেলা বারোটার মধ্যে, তিন থেকে চারটে ভার্চুয়াল মিটিং ছাড়া আর কোনও বড় কাজ নেই, তবু অফিসে বেরোতে একটু দেরি হয়ে মেট্রো ঠিকঠাক চললে অবশ্য পৌঁছে যাবে। অভ্র পদাধিকারী হয়ে নতুন গাড়ি পেয়েছে। সিঁথি মোড় থেকে সঠিক সময়ে অফিসে ঢোকার জন্যে ওকে অনেক আগে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। অভ্র অ্যালোটেড গাড়িতে চড়বার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু শিবব্রত স্বচ্ছন্দ হতে পারেনি। ঈর্ষা বা হিংসা নয়, কেন কে জানে ওর ভেতরে সাবলীলতার অভাব যেন দীর্ঘতর হয়ে উঠছে। এমন অস্বাচ্ছন্দ্য সংকীর্ণতার লক্ষণ। শিবব্রত সবসময়ই উদারমনস্ক হতে চায়। অভিনয়-শূন্য, সহজ, প্রবহমান জীবন ও আকাঙ্ক্ষা করে।

শিবব্রতর মোবাইল বেজে উঠল। শ্যু রকে বসে জুতোর ফিতে বাঁধছিল শিব। মোবাইল বুক পকেটে। দোয়েল পাশে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিন যেমন থাকে।  

 

1 thought on “short-story-balir-bandh

  1. গল্পটা ভালো লাগলো। নামকরণটা কতটা স্বার্থক সেটা বুঝে উঠতে পারলাম না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *