পলি শাহীনা
আমি এখন অব্যবহৃত। আমার দিন কাটে অযথা। যদিও এই অযথাই আমার কাছে শান্তিদায়ী হয়ে উঠেছে। বহু বছর বাদে পায়ের বেড়ি আলগা হওয়ায় ভারি আনন্দ হয়। নিজেকে মনে হয় মহীনের ঘোড়া, ঘুরে বেড়াচ্ছি, চরে বেড়াচ্ছি। আমার হাতে জগৎ-সংসারের আর কোন প্রত্যাশা নেই, আমারও নেই কারো কাছে। ভবিষ্যত যে কী হবে, সেটি শুধু জানে মহাকাল। নির্ভার আমি যখন যেখানে খুশি চলে যাই। ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছি পাথুরে পাহাড় ঘেরা নেভাডা রাজ্যের লাস ভেগাসে। সন্ধ্যা রাত, চোখ ধাঁধানো আলোর বন্যায় ভেসে চলছে শহর। সার্কাস এন্ড সার্কাস হোটেলের চৌত্রিশ তলার ব্যালকনিতে বসে কফিতে চুমুক দিতে দিতে নেশা জাগানিয়া শহরের ঘোরগ্রস্ত সব দৃশ্য দেখছি পাখির চোখে। বাইরের অথৈ আলো এসে মনের শরীরে এক্কাদোক্কা খেলায় মেতে উঠলে, মন পেখম তোলা ময়ুরের মতো নেচে নেচে আমাকে সোনালী আলোর গল্প বলে। লাল-নীল আলোর আঁচ পেয়ে মন অন্য এক আমিতে রূপান্তরিত হতে চাইছে, বুঝতে পারি। পাগলা মনটাকে বাঁধতে পারছি না দেখে কথা না বাড়িয়ে একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে স্নানঘরে গিয়ে ঢুকি।
শাওয়ারের নিচে দাঁড়াতেই জল আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি জলের হাতের উপর হাত রাখতেই দেখি ধীরে ধীরে আমার স্থবির শরীরটি প্রাণ ফিরে পায়। জলের আদরে আমার কী যেন হয়ে যায়! জল আর আমি ; আমাদের পাশ দিয়ে সুন্দর একটি নদী বয়ে যায়। সেই নদীর ওপাড়ে ঢেউ খেলানো পাহাড়। সুদর্শন প্রেমিক পাহাড়ের বুকে নীল শাড়ি পরিহিতা রূপবতী আকাশ শুয়ে আছে নরম আদরে। কুয়াশার মতো শুভ্র পাতলা চাদর নিরিবিলি ওদেরকে ঢেকে রেখেছে। আমি পূর্ণদৃষ্টিতে পাহাড় এবং আকাশের দিকে তাকাই। ওদেরকে চমৎকার মানিয়েছে। আশেপাশে শব্দ সৃষ্টিকারী কোন যানবাহন নেই, কালো ধোঁয়া নেই। ওরা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে তন্ময় হয়ে গল্প করছে, আমি কান পেতে ওদের গল্প শুনছি। ওদের বুকের সিথানে হরেক রঙের পাখি ডাকছে। ওদের গভীর প্রণয় দৃশ্যে ডুবে সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ যুবতীর মতো আমার চোখে তখন খুশির ঝিলিক খেলছে। এতক্ষণ চিবুক ছঁয়ে থাকা জল আমার হাতে আলতো চাপ দিয়ে বলে, ‘বাহ! অনেক হয়েছে আনন্দ! এবার কক্ষে ফিরে চলো!’ আরেকটু থাকি? মায়ায় জড়িয়ে জলকে বলি! জল বলে, ‘ আজ আর নয়!’ জলের কথা শুনে কল বন্ধ করে বেরিয়ে আসি স্নানঘর হতে।
ঠান্ডা জলের আদরে এতটা সময় ধরে আরাম লাগলেও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি চোখজোড়া জবা ফুলের মতো লাল হয়ে গেছে। সুটকেস হতে চাদর বের করে গায়ে জড়িয়ে চট করে রুমের হিটার অন করি। ভ্রমণের ক্লান্তিতে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিই। ঘুম আসে না। স্মৃতি আর আমি, জেগে থাকি অন্ধকারে। মনে পড়ে ফেলে আসা তুমুল ব্যস্ত দিনগুলোর কথা। একসময় খুব ভোরে পাখি জেগে ওঠার আগে জেগে উঠতাম। সময় তখন কীভাবে বয়ে যেতো, টের পেতাম না। ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটার সঙ্গে দৌড়াতাম। এমন একান্নবর্তী ছিলাম একসময়। সময় এখন পাথরের মতো, নড়তে চায় না। কালের নিয়মের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে আনন্দ চিত্তে সবকিছু মেনে নিয়েছি।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগে আই লাইনার, লিপস্টিকের জায়গা দখল করেছে বই। ঘড়ির কাঁটা টিকটিক ছন্দে এগিয়ে চলছে, কিন্তু পড়ায় মন বসছে না দেখে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ি রাতের শহর দেখব বলে। পার্কিং লটের দিকে এগতে দেখি, পর্যটকরা শিং মাছের পোনার মতো দল বেঁধে আমার হোটেলের ভেতর যাচ্ছে। ‘সার্কাস এন্ড সার্কাস’ হোটেলের ভেতর যে এতবড় ক্যাসিনো, কমেডি ক্লাব, সার্কাস, থিম পার্ক, রেস্টুরেন্ট এতকিছু রয়েছে, জানতাম না। ক্যাসিনোতে ফিরে এসে কিছু সময় ফ্রি সার্কাস শো দেখে মন চঞ্চল হয়ে উঠে। লাল-নীল আলোয় কেউ খেলছে, কেউ-বা প্রিয়জনের হাত ধরে হাঁটছে, বাদ্যের তালে নাচছে, কেউ বারে বসে পান করছে। যারা খেলছে তাদের ডেস্কে সবুজ বাতি জ্বলে উঠতেই পুতুলের আদলে সাজ নেয়া ছেলেমেয়েরা ফ্রি ককটেল পরিবেশন করছে। কিছু সময় পায়চারি শেষে বারে বসতেই রিসেপশন এরিয়া থেকে এক সুদর্শন যুবক আমাকে নবাবী কায়দায় স্বাগত জানায়। খালি হাতে বসা যায় না বলে এক গ্লাস রেড ওয়াইন হাতে ক্যাসিনোর জৌলুস দেখতে থাকি। চারদিকের পরিবেশ – পরিস্থিতি বেশ রোমান্টিক। জীবনের সমস্ত হাহাকারের ঘরে তালা মেরে আমি আনন্দের উপত্যকায় ভাসতে থাকি। আমার পাশ ঘেঁষে ঝুমঝুম মল বাজিয়ে প্রজাপতির মতো একটি মেয়ে উড়ে যায় ককটেল হাতে পাশের টেবিলে। ওর চুল বেগুনি ফিতা দিয়ে বাঁধা, চোখজোড়া সরল, টানা টানা। ওর সাজসজ্জা, মুখের আদল দেখে এশিয়ান মনে হয়। কয়েক হাত দূরে ডেস্কে ঘুরে ঘুরে ও ককটেল পরিবেশন করছে। আরো অনেক মেয়ে থাকলেও বারবার আমার চোখ ওর দিকে ঘুরে যায়। আমাদের চোখাচোখি হয়। ওর প্রতি একটা টান অনুভব করি, এই টানের কোন ব্যাখ্যা জানা নেই। জুয়া খেলায় মগ্ন একজন সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ওর হাত ধরতে গেলে মেয়েটি ক্ষেপে যায়। অন্য মেয়েদের হাসিখুশি দেখালেও ওকে গম্ভীর মনে হলো। ওর সঙ্গে কথা বলার প্রবল ইচ্ছে হলেও পারি নি। কারণ, ও পাখির মতো উড়ে উড়ে এক ডেস্ক হতে অন্য ডেস্কে কাজ করছিল। রংচঙে ক্যাসিনো দৃষ্টিতে ধূসর ঠেকলে আমি কক্ষে ফিরে আসি।
এলার্মের টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙে। দেখি, সকাল আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছে। এক-পা দু-পা করে জানালার পর্দা সরিয়ে দেখি, রাতের বর্ণিল শহরের গায়ে ধূসর ধুলি উড়ছে। তবুও হরেক রঙের পাথুরে পাহাড়ের অন্যরকম একটা সৌন্দর্য মনের সরোবরে ঢেউ তোলে। ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে দেখে ফ্রেশ হয়ে চলে যাই ম্যাক ডোনাল্ডসে। রেস্টুরেন্টের ভেতর গিজগিজ করছে লোক। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিয়ে বহু কষ্টে একটা টেবিলে বসার জায়গা পেয়ে স্বস্তি পাই। প্যান কেক, কফি খেতে খেতে মানুষ দেখছি। কয়েক হাত দূরে আমার বাঁ দিকের টেবিলে চোখ আটকে যায়। ক্যাসিনোতে দেখা রাতের সেই মেয়েটির মুখে খাবার তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন ওর মা। ভদ্রমহিলা যে ওর মা নিশ্চিত হোলাম চেহারা দেখে, এছাড়া মা ব্যাতিরেক জগতে অন্য কেউ বোধ হয় এভাবে মুখে তুলে খাওয়ায় না। ওঁদের দিকে তাকিয়ে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। শীতের সকালে খেতে না চাইলে মা তাঁর হাতে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন। মায়ের আদরে মেয়েটিকে দেখে আমার মাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে মনে।
বুঝলাম, রাতভর কাজ করে মেয়েটি ক্লান্ত, কিন্তু মায়ের এত আদর, যত্ন পেয়েও কেন ওর মুখ বেদনায় ঢেকে আছে? মেয়েটিকে যত দেখছি তত ওকে জানার আকাঙ্খা মনে সেঁটে বসছে। মেয়েটি যে আর দশ জনের মতো নয়, ওর মুখ দেখে আমি অনুবাদ করতে পারি। নানান ভাবনা মাথায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত ওর টেবিলে গিয়ে উপস্থিত হই। অবশ্য ওর টেবিলে যাওয়ার আগেই আমাদের বার কয়েক চোখাচোখি হয়, বোধ করি আমরা একে অপরের চোখের ভাষাও বুঝতে পেরেছি, পরিচয় পর্ব শেষে আমার তাই মনে হয়েছে। মেয়েটার নাম চিত্রাক্ষী, মায়ের সঙ্গে থাকে। ওর মা খুব অমায়িক, আমার সঙ্গে প্রথম পরিচয়েই বন্ধুসুলভ কথাবার্তা বলেন। চিত্রাক্ষী ক্লান্ত থাকায় ওর সঙ্গে সেদিন অল্পই কথা হয়।
কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা সত্যিই কঠিন। চিত্রাক্ষীকে প্রথম দেখায় ওর প্রতি আমার অপার মুগ্ধতা তৈরি হয়। একটু একটু করে নয় অনেকটা ঝড়ো গতিতে আমাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। চিত্রাক্ষী এবং ওর মায়ের কাজ শেষে আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিই, রেড রক ক্যানিওন, হুভার ড্যাম সহ বিভিন্ন শপিং মল, ক্যাসিনো, থিম পার্কে বেড়াতে যাই। সবকিছু মিলিয়ে আমার একাকী ছুটির সময়টা ওরা মা- মেয়েতে আনন্দে ভরে তুলেছে।
আমি যেদিন চলে আসব সেদিন ওদের সঙ্গে বসে রোজকার মতো কফি খাচ্ছিলাম, আর কাচের জানালা দিয়ে বাইরে পাহাড় দেখছিলাম। লক্ষ্য করি, অনেকটা সময় ধরে চিত্রাক্ষী ডিক্যাফ হাতে মূর্তির মতো বসে আছে, এক দৃষ্টিতে সামনের দেয়ালে তাকিয়ে আছে। ওর এমন নিষ্পলক চেয়ে থাকা আমার কাছে অস্বাভাবিক ঠেকে। ওর কপালের ফর্সা ত্বক ভেদ করে রগ দেখা যাচ্ছে, দুই হাত মুঠোবন্দী। দেখে মনে হয়, ও খুব রেগে আছে। আমি ওকে নিচু স্বরে নাম ধরে ডাকলাম, ও উত্তর দিল না। আলতো করে আমি ওর গালে হাত রাখতেই ও ঝরঝর করে কেঁদে দিলে আমি শঙ্কিত হয়ে ওর মায়ের দিকে তাকাই। ওর মা শূন্যে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস টেনে একনাগাড়ে বলেন, ‘আমার অতীত, বর্তমান বড় বেদনার। চিত্রাক্ষীর বয়স যখন চৌদ্দ, ওর বাবা মারা যায়। এই শহরে আসার বছর খানেকের মধ্যে দূর সম্পর্কের কাজিন দিলীপকে বিয়ে করে ওর বাসায় উঠি। এক বেড রুমের বাসায় চিত্রাক্ষী লিভিং রুমে ঘুমাতো। মেয়েটা আমার সঙ্গে রাতদিন আঠার মতো আটকে থাকত, দিলীপ এটি পছন্দ করত না। বাসায় এসে চিত্রাক্ষীকে আমার বিছানায় ঘুমাতে দেখলে বিরক্ত হতো, ধমকাতো। চিত্রাক্ষীর বাবা গত হওয়ার পর আমার ধৈর্য যেমন বেড়েছে, তেমনি এড়িয়ে যাওয়া সহ চুপ থাকাও শিখেছি। চিত্রাক্ষী ব্যাপারটি বুঝতে পেরে দিলীপ বাসায় ফেরার শব্দ পেলেই ও নিজের বিছানায় চলে যেত। একদিন কাজ শেষে ঘরে ফিরেই ক্লান্তিতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম ভাঙে চিত্রাক্ষীর মা মা আর্তনাদে। দেখি, চিত্রাক্ষী হামাগুড়ি দিয়ে সোফার পেছনে লুকানোর চেষ্টা করছে, আর আমাকে ডাকছে। আমাকে দেখে চিত্রাক্ষীর বিছানা ছেড়ে বিদ্যুৎ চমকের মতো দিলীপ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। চিত্রাক্ষীর মুখে ঘটনা জেনে বোবা হয়ে যাই। সেদিন থেকেই ভাবছি মেয়েকে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই বাসা ছাড়তে হবে। সমস্যা হলো, নেপাল থেকে আসার সময় আমার সমস্ত সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে যা অর্থ এনেছিলাম সব দিলীপের একাউন্টে গচ্ছিত রেখেছি। এখন ওর কাছে অর্থ চাইলে নানান অজুহাত দেখায়। জানি না কবে আমার এই অন্ধকার কাটবে। চিত্রাক্ষী ভালো ছবি আঁকতো, এখন আর আঁকে না, মনমরা হয়ে থাকে। ওর জন্য বড় কষ্ট হয়, বিবেকের দংশনে পুড়ি, কিন্তু আমি যে নিরুপায়।’
তাঁর কথা শুনে আমি দরদর করে ঘামতে থাকি। ঠান্ডা পানির ঝাপটা চোখেমুখে দিয়েও স্বস্তি পাই না। চিত্রাক্ষীর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা ‘ ছবির নীতার কথা মনে পড়ে। অসহ্য বেদনা বুকে নিয়েও তিনি মেয়েকে নিয়ে বাঁচতে চাইছেন ভালোভাবে, কিন্তু মানুষের নিষ্ঠুরতা তাঁর ভালো থাকা কেড়ে নেয় বারবার। ভাবি, জীবনের পেছনের দরজায় কত অন্ধকার ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে, মুখ দেখে যা সবসময় অনুভব করা যায় না।
হোটেলে ফিরে এসে ছটফট করতে থাকি। কী করতে পারি এই অল্প সময়ে চিত্রাক্ষীর জন্য, ভাবি। ভাবতে ভাবতে বিছানায় চোখ লেগে গিয়েছিল। দরজায় ঠকঠক আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। লুকিং গ্লাসে দেখি চিত্রাক্ষীর মুখ। দরজাটা খুলতেই আকুল নয়নে ও আমার দুই হাত ধরে বলে, ‘আমি আঠারো হয়েছি, আমার সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারব। এই দমবন্ধ পাপের শহর থেকে নিয়ে যাবে? মা’র আপত্তি নেই যদি তুমি রাজি থাকো।’ আমি আর কিছুই ভাবি নি। চিত্রাক্ষীর ক্ষতের কাছে ক্ষণকাল চুপচাপ বসে থেকে উঠেই লাগেজ গোছাতে থাকি। এতো ঘুম, এতো বিষন্নতা, এতো এতো আঁধার পেছনে ফেলে চিত্রাক্ষীর হাত ধরে আমি বেরিয়ে পড়ি। ভেতরে অদ্ভুত এক স্বর্গ অনুভব করি। টের পাই, আহ্লাদী আকাশ আমাদের চলার পথে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে দেয়, বুকখোলা পাহাড় তখন মিটিমিটি হাসছে।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
গল্পকারের ভাষাগত দক্ষতায় মুগ্ধ হলাম। সার্কাস এন্ড সার্কাস প্রাঙ্গনে উপস্থিত মনে করলাম নিজেকে। খুব ভালো লাগল।