short-story-matro-60-second-e

মাত্র ৬০ সেকেন্ডে
ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়


নিউ ওয়ার্ল্ড হোটেল৷ তার তেতলার নেপচুন নাইট ক্লাবে খানাপিনা, ফুর্তির আসর বেশ জমে উঠেছে৷ শুক্রবারের রাত৷ সামনে পাক্কা দুদিন সপ্তাহশেষের ছুটি৷ হুল্লোড় সেজন্যেই আজ আরও বেশি৷ তিলধারণের জায়গা নেই৷ বিরাট হলঘর কানায় কানায় ভর্তি৷ অতিথিদের মধ্যে যেমন ভ্রমণার্থীরা আছে, আছে বড় বড় ব্যবসায়ী টাইকুনরাও৷ সারারাত চলবে তাদের এই বিনোদন৷ কারণ একটাই৷ আকারে খুব ছোট হলেও এই দ্বীপভূমি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অবাধ বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি৷

সিঙ্গাপুর৷ নামটা শুনলেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন… এইসব দেশগুলোর জিভে জল চলে আসে৷ কোনও ট্যাক্স ছাড়াই নিজেদের মাল কেনাবেচার চমৎকার জায়গা৷ উত্তরে মূল ভূখণ্ড মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়া থাকা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুর কারও সঙ্গেই যুক্ত নয়৷ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র রাষ্ট্র৷ চিন উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে মাত্র ৫৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি দ্বীপ৷ আয়তনে টোকিও বা নিউইয়র্ক শহরের চেয়েও রাষ্ট্রটা আয়তনে ছোট৷

মঞ্চে গান গাইছে একদল গায়ক, সঙ্গে উচ্চগ্রামের বাজনা৷ ক্রমেই উদ্দাম হয়ে উঠেছে মিউজিক৷ গানের তালে তালে শরীর দুলিয়ে বিচিত্র নৃত্য প্রদর্শন করছে তরুণী মেয়েরা৷

হঠাৎ লিড সিঙ্গার চিন ঊ ভ্রু কুঁচকে গান থামিয়ে দিল৷ কর্ণভেদী ড্রাম পেটানোর শব্দ ছাপিয়ে তার কানে প্রবেশ করেছে অন্য শব্দ!

গুম্‌…গুম্‌…গুম্‌…!

বড় বড় থামগুলো কেঁপে উঠল না থরথর করে? নাকি নেশা বা চোখের ভুল?

কয়েক মুহূর্ত থেমে গিয়ে আবার নতুন উদ্যমে বাজনায় গলা মেলাল চিন ঊ৷

চিন ঊ ওই শব্দের কথা ভুলেই গেল৷

শনিবার সকাল সাড়ে দশটা৷ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের দুই মহিলা কর্মী ক্রিস্টিয়ানা ফুয়া আর বো জি চেং একতলায় গাড়ি রাখতে গিয়ে দেখল, বড় বড় পিলারগুলোতে ফাটলের চিহ্ন৷ কর্তৃপক্ষকে এখনই ব্যাপারটা জানাতে হবে, এইসব আলোচনা কথা বলতে বলতে পা বাড়াল তারা ব্যাঙ্কের দিকে৷ পরমুহূর্তে ক্রিস্টিয়ানা ভয়ানক আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল৷

গোটা অট্টালিকাটা ভয়ানক কাঁপছে, দুলছে!

ওরা একপাও এগোতে পারল না! চোখের নিমেষে মাথার ওপর থেকে বড় বড় কংক্রিট স্ল্যাবের চাংড়া ভেঙে পড়তে লাগল৷ ধড়াস ধড়াস করে শুয়ে পড়তে লাগল স্তম্ভগুলো৷ রাবিশ-বালিতে ঢাকা পড়ার আগে দুজনে শেষ চেষ্টা করল উপুড় হয়ে পড়তে৷

ওই একইসময় ছয়তলায় হোটেলের মহিলা কর্মীদের স্টাফরুমে বসে কফি পান করছিল ইয়াপ স্যুবি৷ কিছুক্ষণ আগের অভিজ্ঞতার কথা ভেবে একটু খটকা লাগছিল তার৷ ৫১০ নম্বর ঘরের বিছানার চাদর, তোয়ালে এইসব পাল্টে সে যখন ঘর থেকে দরজা বন্ধ করতে যাবে, কিছুতেই তখন আটকাল না দরজাটা৷ কেমন যেন বেঁকে গেছে! কফিটা খেয়েই… য্‌-যা…এ কী! এ কী হচ্ছে!

স্যুবির হাত থেকে কফির কাপ ছিটকে পড়ে৷ হতভম্ব স্যুবি অনুভব করে ও ‘শোঁ শোঁ’ বেগে নীচে নেমে যাচ্ছে৷ সামনের টেবিল ও চেয়ারসহ গোটা ঘরটাই ঝরঝর করে ধ্বসে পড়ছে৷ দুচোখ বিস্ফারিত স্যুরির, কিছুই বুঝতে পারছে না৷ শুধু কানে ভেসে আসছে উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন! বোম! নিশ্চয়ই কেউ অ্যাটম বোম ফেলেছে! মাঝে মাঝে দু’ধারে ধাক্কা খাচ্ছে ওর চেয়ারটা!… আবার নেমে যাচ্ছে…পাক খেতে খেতে… স্যুবি নিঃসীম ভয়ে চোখ বুজে ফেলল…।

কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই স্যুবি এসে পড়ল বিরাট এক রাবিশের গাদার মধ্যে৷ আহ্‌! অসহ্য যন্ত্রণা! পরক্ষণেই চোখ খুলে দেখল, ধ্বংসস্তূপের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে সিঙ্গাপুরের রাস্তা, পথচলতি মানুষজন!

কোনও ঝড়-ঝঞ্ঝা নয়, কোনও ভূমিকম্প বা বিস্ফোরণও নয়, সিঙ্গাপুর শহরের এই বহুতল অট্টালিকা আপনাআপনি তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল৷

ধবংসস্তূপে পরিণত হতে বাড়িটির সময় লেগে ছিল ৬০ সেকেন্ডেরও কম!

অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব ঘটনা!

একটাই রক্ষে, অট্টালিকাটি সোজাসুজি ভেঙে পড়ে৷ কারণ ঘিঞ্জি ‘লিট্‌ল ইন্ডিয়া’ এলাকার এই বহুতল বাড়ি যদি কোনওদিকে কাত হয়ে ভাঙত, তবে অন্তত খান দশেক বাড়ি ও তাদের বাসিন্দারাও মারা যেত৷

ভয়াল এই দুর্ঘটনা ঘটার আধঘণ্টার মধ্যে দমকল, পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী ছুটে এল অকুস্থলে৷ এদের মধ্যে বিমা কোম্পানির একাধিক খ্যাতনামা ইঞ্জিনিয়ারও ছিলেন৷

এঁদের একজন ভেনিস বলোউ৷ জাতে আমেরিকান৷ বিস্ময়বিহ্বল দৃষ্টিতে ধবংসস্তূপ দেখতে দেখতে অস্ফুটস্বরে তিনি বলে ওঠেন, “সিঙ্গাপুরে বাড়ি কেবল আকাশ ছোঁয় বলে তো এতকাল জেনেছি৷ মাটিতে মেশা…মাত্র একমিনিটের মধ্যে… অদ্ভুত! অবিশ্বাস্য!”

পুলিশ কর্তার নির্দেশে আকাশচুম্বী ক্রেন লাগিয়ে দ্রুত শুরু হয়ে গেল ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ৷ ক্রেনের সাহায্যে ভাঙাচোরা বিভিন্ন পিলারে বসানো হল অত্যন্ত শক্তিশালী সব মাইক্রোফোন৷ এই মাইক্রোফোনগুলো কোনও শব্দকে হাজার গুণ বাড়িয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে৷ যতই মৃদু হোক্‌, যে কোনও আর্তস্বর এতে ধরা পড়বে৷ আর সেইসঙ্গে লাউডস্পিকারে শুরু হল অবিরাম ঘোষণা:

‘যারা যেখানে আটকে পড়েছেন, দয়া করে সাড়া দিন! সাড়া দিন৷’

এদিকে চলেছে কংক্রিটের স্ল্যাব এবং পিলার সরানোর কাজ! কিন্তু এভাবে কতদিনে সাফ করা যাবে ধবংসস্তূপ? পুলিশের বড়কর্তার কপালে ভাঁজ পড়ে৷ কাজের অগ্রগতি বেশ মন্থর৷

চটপট নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলালেন কর্তাব্যক্তিরা৷ আলোচনার পর ঠিক হল, রাবিশের জঙ্গল পরেও পরিষ্কার করা যাবে৷ সবার আগে দরকার অসহায় আর্ত মানুষদের বের করে আনা৷ যাঁরা এখনও ওর মধ্যে আটকে আছে, জীবিত৷

সুতরাং এবার অন্য পদ্ধতি৷ অত্যাধুনিক গাঁইতি, শাবল, টর্চ শরীরে ঝুলিয়ে উদ্ধারকারী বাহিনি স্তূপ বেয়ে উঠতে শুরু করে৷ একজনের সঙ্গে অন্যের দেহ শিকলের মতো দড়িতে বাঁধা ৷

দু’ভাগে ভাগ হয়ে রেসকিউ বাহিনি শুরু করে সুড়ঙ্গ খুঁড়তে৷ সুড়ঙ্গ খোঁড়া আর চিৎকার সমানে চলছে, ‘কেউ আছেন? সাড়া দিন! সাড়া দিন!’

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের তখন কী অবস্থা?

ব্যাঙ্কের সেই দুই কর্মী ক্রিস্টিয়ানা ফুয়া এবং বো জি চেং তখনও উপুড় হয়ে পড়ে নীচের তলায়৷ ওদের ওপরে নীচে সর্বত্র রাবিশের জঞ্জাল আর কংক্রিটের ছোটবড় চাংড়া পড়ে নড়াচড়া বন্ধ।

সময় পার হয়ে যাচ্ছে৷ ওরা শুনতে পাচ্ছে লাউডস্পিকারের ঘোষণা! কিন্তু উত্তর দেবার ক্ষমতা নেই! ফুসফুসও বন্ধ হয়ে আসছে৷ তবে কি মৃত্যু?

ক্রিস্টিয়ানা মনকে শক্ত করে, এত সহজে হার মানবে না৷ একবার বজ্রাহত হয়েও ও বেঁচে গেছিল, দ্বিতীয়বার মুখোমুখি গাড়ির সংঘর্ষ হওয়া সত্ত্বেও লড়াই করে ও বেঁচে উঠেছে৷

অতিকষ্টে ঘাড় তুলে অস্ফুটে ক্রিস্টিয়ানা ডাকে, “বো! শুনতে পাচ্ছ?”

“হ্যাঁ৷” জবাব আসে৷

“আমাদের বাঁচতেই হবে৷ মনকে শক্ত করো৷”

“পেট্রলের গ্যাসে নিঃশ্বাস যে বন্ধ হয়ে আসছে৷ ওরা কোথায়…কোথায়?”

“আসবে…নিশ্চয়ই আসবে৷ আর একটু দ্যাখো।”

আরেকজন বোয়ে, ব্যাঙ্কের করণিক৷ যে মুহূর্তে পুরো অট্টালিকা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল, ভল্টের লৌহকপাট সজোরে এসে ধাক্কা মারল রক্ষী সাহবুদ্দিনকে৷ সাহাবুদ্দিন আছড়ে এসে পড়েছিল বোয়ে-র গায়ে৷

একটু আগেও নিবিড় অন্ধকারের মধ্যে সাহাবুদ্দিনের অস্ফুট কণ্ঠস্বর ভেসে, “ইয়া আল্লা! ইয়া আল্লা!”

কিন্তু ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে এসেছে সে কণ্ঠস্বর! এখন শব্দহীন৷

বোয়ে হাতড়ে হাতড়ে স্পর্শ করে সাহাবুদ্দিনকে৷ হায় ভগবান! বরফের মতো ঠান্ডা সাহাবুদ্দিনের শরীর৷

স্যুবির কী খবর?

চেয়ার এবং টেবিলসুদ্ধু ছয়তলা থেকে একতলায় রাবিশের স্তূপে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চতুর্দিক থেকে হুড়মুড় করে কাঠের, লোহার, কংক্রিটের টুকরো এসে ওকে চেপে দিল! মুহূর্তের মধ্যে স্যুবির চেতনা লুপ্ত৷ জ্ঞান ফিরতে সে পিচঢালা অন্ধকারের মধ্যে চাইল৷ একটা ঘোষণা, “সাড়া দিন… সাড়া দিন!”

তার মানে…তার মানে… উদ্ধারকারী বাহিনি এসে গেছে! নতুন আশায় চলকে উঠল বুক৷

হাত নাড়ানোর চেষ্টা করল স্যুবি৷ উহ্! কি ভারী রাবিশ!

এটা কী? এটা কী? হাতড়াতে হাতড়াতে শিউরে উঠল স্যুবি- এক শরীর!

বাঁ হাত দিয়ে কয়েকবার নাড়াল মানুষটাকে। কোনও সাড়া নেই। লাশ হয়ে গেছে!

দম-আটকানো আতঙ্কে নিথর হয়ে গেল স্যুবি৷



পূর্ণোদ্যমে সুড়ঙ্গ কাটা চলেছে৷ শনিবার রাত পেরিয়ে রবিবারের সকাল৷ এখনও অবধি ৫ জনকে উদ্ধার করা গেছে৷ আরও অনেক অনেক মানুষ এখনও ভিতরে! জীবিত অথবা মৃত৷

আর সময় নেই৷ নতুন দল সুড়ঙ্গ কাটা শুরু করল! এখনও যারা বেঁচে আছেন, তাঁরাও অক্সিজেনের অভাবে মারা পড়বেন৷

রবিবার রাত ন’টা৷

তৃতীয় বাহিনি একতলার ফোকর কেটে বের করে নিয়ে এল ক্রিস্টিয়ানা আর বো-কে৷

রাত বারোটা দশ।

ব্যাঙ্ককর্মী বোয়ে এবং সাহাবুদ্দিনের দেহকে বাইরে নিয়ে আসা হল৷

বাইরে মুক্ত হাওয়ায় আসামাত্র প্রত্যেকেই জ্ঞান হারালেন৷

সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হল৷

সুড়ঙ্গ খোঁড়া চলেছে এখনও, অবিরাম৷

প্রধান মুশকিল হয়েছে, একতলার গাড়িগুলো গুঁড়িয়ে গিয়ে পেট্রলের বাষ্প আটকে পড়েছে বন্ধ জায়গায়৷ সেই ভয়ে ব্লো-টর্চ ব্যবহার করা যাচ্ছে না৷ ব্লো-টর্চে যেমন তীব্র আলো তেমনি এর লেসার রশ্মি দিয়ে মুহূর্তে কেটেও ফেলা যায় যে কোনও বাধা৷ কিন্তু পেট্রল থাকলে যে আগুন ধরে যাবে৷ বন্দীরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা পড়বে৷

ফলে সময় অনেক বেশি লাগছে! গাঁইতি শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে সুড়ঙ্গ কাটতে হচ্ছে৷

সোমবার ভোর চারটে৷

স্যুবির অচেতন দেহ নিয়ে আসা হল বাইরে৷

সোমবার দুপুর অবধি মোটামুটিভাবে শেষ হল উদ্ধার অভিযান৷ মোট ৯৭ জন মানুষ আবার পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পেলেন৷ বাকি ৩৩ জনের কেবল ক্ষতবিক্ষত শরীর পাওয়া গেল৷

এত বিশাল অট্টালিকায় মাত্র এই ক’জন বাসিন্দা? পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা অত্যন্ত অবাক৷ নিশ্চয়ই আরো বহু মানুষ এখনও ভিতরে বন্দী৷

না না, অবশেষে বোঝা গেল, এই সংখ্যাটা ঠিকই আছে৷ প্রথমদিকে উদ্ধার পাওয়া একজন জানালেন এই হোটেলে বেশির ভাগ মানুষই আসেন রাত্রিবেলায়৷ সকালে উঠেই কাজে বেরিয়ে যান৷ বেরিয়ে যায় নাইট ক্লাবের গায়ক গায়িকা, পরিচারিকারাও৷ ফলে দিনের বেলায় ‘নিউ ওয়ার্ল্ড’ থাকে সুনসান, ফাঁকা৷ যত সন্ধে ঘনায়, ততই ভরে ওঠে লোকসমাগমে৷ উদ্ধারকারী বাহিনী ও পুলিশের কর্তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন৷ ইতিহাসে প্রথম এমন অবিশ্বাস্য দ্রুত অট্টালিকা ভেঙে পড়ার খবর ততক্ষণে সারা পৃথিবী জেনে গিয়েছে৷

কিন্তু ভাঙল কেন বাড়িটা? এ তো মামুলি স্থপতির কর্ম নয়৷ তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে জানা গেল, কাজ সংক্ষেপ করার জন্যে স্থপতি যে প্ল্যান এঁকেছিলেন, তাতেই রয়ে গেছিল গুরুতর ত্রুটি৷ যেসব কংক্রিটের পিলারের ওপর দাঁড়িয়েছিল বহুতল অট্টালিকা, তাদের মালমশলাও ছিল বেশ নিচুমানের৷

সুতরাং খোঁজ খোঁজ! পুলিশবাহিনী উর্ধশ্বাসে ধাওয়া করল স্থপতির বাড়ি৷

তাকে কি আর পাওয়া যায়? পাখি ততক্ষণে ফুড়ুৎ! এয়ারপোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যেদিন দুর্ঘটনা ঘটে, সেদিনই সমনামের একব্যক্তি সিঙ্গাপুর ছেড়ে বিদেশের বিমান ধরেছে৷

মর্মান্তিক এই অট্টালিকা দু্‌র্ঘটনা ঘটেছিল ১৫ মার্চ, ১৯৮৬৷

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *