যত্র বয় কুরা নদী
(শাহাব আহমেদ)
১
বাকুতে ট্রেনে চড়ে বসি । চারজনের কুপে কিন্তু আমরা দুজন। ট্রেন চলছে আর বাইরের পৃথিবী পপলার গাছের তুলার মত উড়ে-ঘুরে যাচ্ছে পেছনে। গাছ-পালা, বন, নদী, মাঠ, ঘর সবার যেন পাখা গজিয়েছে। এবং সেই পাখায় ক্লান্তির ধীর ঝাপটায় নেমে আসে আঁধার, দূরের মাঠ থেকে কাছে, তারপরে ট্রেনের জানলা দিয়ে এসে বসে আমাদের পাশে। আমার মাথার তালুর পেছনের যেখানটাতে চুলহীন মসৃন, সেখানে হাত বুলিয়ে স্নিগ্ধ সন্ধ্যা প্রশ্ন করে, ‘কেমন আছো ?’
‘কেমন যে আছি কিভাবে বলি, ভালোই তো।’
প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি অভিযোগের জীবন। কত অভিযোগ করি, জীবনকে সুন্দর হতে শাসাই, নেপথ্যের খল-নায়িকাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে দেই, কিন্তু জীবন সুন্দর হয় না।মাকড়শার মত ঘনিয়ে আসা অন্ধকার ছড়া কেটে বলে:
‘বিজ্ঞেরা বর্জ্য-মতি
জীবন কদর্য অতি’
আমি প্রতি পদে পদে টের পাই। জীবন সুন্দর, কিন্তু কদর্যতার কালি মাখা ‘কৃষ্ণকলি’ সৌন্দর্য তার।
বিজ্ঞেরা তর্ক করার জন্যই বাঁচে, তাদের কলম চোখ ফুটো করে দেবার প্যান্থার নখর, দাঁত ভেঙে দেবার মৃন্ময় মুগুর। তারা আদার ব্যাপারি না ‘কাদার’ বেনিয়া বোঝা মুশকিল।
পাশে বসে প্রেমময়ী নারী কুশি কাঁটায় কিছু বুনছে স্থির ও শান্ত মুখে। তার দুই হাতের আঙুলের এনসেম্বলে যেন নাচছে বিশ্ব মহাবিশ্বের মায়ার ইন্দ্রজাল, তার দিকে তর্জনি দেখিয়ে বলি, ‘ওই যে দেখ শান্তি। তার নিবিষ্ট স্থির দুটো চোখে যে আলো সেই আলোতে আমি হাঁটি, আমার ঘর শীতে উষ্ণ, গ্রীষ্মে শীতল।’
বলতে বলতে আমার চোখে তন্দ্রা নেমে আসে। ট্রেনের চাকার তুক তুক, ধুক ধুক, অন্য কুপে থেকে ভেসে আসা কোন শিশুর কান্না, অন্যত্র কোন যুবতির হাসির কোমল টেম্বর ইত্যাদির হিপনোগগিক (hypnagogic) হ্যালুসিনেশনে দুলতে থাকি।
কিন্তু গতির রাত দীর্ঘায়িত হয় না।
ডকুমেন্ট চেক করার জন্য খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগায় আজারবাইজানের বর্ডার গার্ড। তারপরে আসে জর্জিয়ার ওরা। দুই তরফা নিরাপত্তা নিবন্ধন শেষ করতে করতে আঁধার উবে গিয়ে আলো খেলা করে।বাকুর চোখ ধাঁধানো চাকচিক্যের পরে জানালার বাইরের জগতটাকে বেশ দরিদ্র মনে হয়। পাশের অব্যবহৃত রেল লাইনে জং ধরা বগি, ছোট ছোট আস্তর খসা বিল্ডিং, ঘর-বাড়ি, ঝোপ-ঝাড়, নদী, হলুদ ঘাসফুল, দৃষ্টিকটু দেয়াল লিখন ইত্যাদি অতিক্রম করে আমরা তিবিলিসি পৌঁছি। তিবিলিসি জর্জিয়ার রাজধানি।
হোটেলে চেক-ইন করার সময় ২ টায় হলেও ক্যাফেতে বসে নাস্তা সারতে সারতে সকাল ১০ টার মধ্যেই আমরা রুম পেয়ে যাই। Kopala Rikhe হোটেল, ভাইব্র্যান্ট শহরের কাঁচুলির তলে। সামনেই কুরা নদী, জর্জিয়ান নাম মেতক্ভারি ( Mtkvari), খুব সহাস্য রূপসী নয়,যদিও বুকে তার সস্রোত যৌবন মধুময়। বুক মোচড়ানো আষাঢ়ের পদ্মার ঘোলাজলের মত জল তার, কিন্তু পদ্মার বিশাল-বিস্তীর্ণ দেহ তার নেই। তন্বী সে চঞ্চলা, এপ্রিল-মে মাসে ঋতুমতি হয়। দুপাশে বাঁধানো তীর,আর ব্যতিব্যস্ত শহর। বাম পাশে পাহাড়ে একটি গির্জা যার প্রায় সবটাই সংস্কারের জন্য ঢাকা এবং তার পাদদেশে অশ্বারোহী রাজা ভাখতাঙের মূর্তি। মূর্তির পায়ের কাছে কুরা নদীর দুই তীর সংযোগকারি নীচু ব্রিজ। কুরা নদীর জল থেকে একটি শৈলগিরি খাড়া উঠে গেছে উপরে। লুঙি পরে স্নানে নেমে আকাশের দিকে মাথা তুলে মগ্ন দাঁড়িয়ে থাকা বাউলের মত। এই পাহাড়ের বুকে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী দেয়াল দিয়ে ঘেরা একটি প্রাচীন দুর্গ ছিল সম্ভবত ৫ম শতাব্দী থেকে, মেতেখি দুর্গ। তার ভিতরে তৈরি করা হয় মেতেখি গির্জা এবং গির্জা সংলগ্ন বিশাল রাজপ্রাসাদ। বর্তমান গির্জাটি তৈরি করা হয় ১৩শ শতাব্দীতে। মঙ্গোলরা ফড়িংয়ের মেঘের মত গতিপথের সবকিছু ধ্বংস করে যেত। এই রাজপ্রাসাদও রক্ষা পায়নি, মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল। রুগ্ন আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত গির্জাটি দাঁড়িয়েছিল কোনমতে। তিবিলিসির প্রায় প্রতিরাজাই এই মন্দির পুনর্নির্মাণ করেছে, কিন্তু ঘুরেফিরে এসেছে পার্সিয়ানরা, তুর্কিরা, আবার পার্সিয়ানরা। লুট-তরাজ ও সন্ত্রাসের পাশাপাশি খৃষ্টান গির্জাধ্বংসকরাও ছিল তাদের পবিত্র মিশনের অংশ। ১৮১৯ সাল থেকে জার রাশিয়ার অধীনে এই দুর্গটি জেলখানা হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। বিপ্লবের পরে এই জেলখানা নাকি বলশেভিক বধ্যভূমি হিসাবে কাজ করে, যার ভিতরে অবিরত ফায়ারিং স্কোয়াড কার্যকর ছিল। নিরন্তর গুলির শব্দে ভীত প্রতিবেশীরা নাকি এলাকা খালি করে চলে যায়। পরে দুর্গ ও দুর্গের দেয়াল ধ্বংস করে ফেলা হয়। জর্জিয়ার পার্টি নেতা ও সারা সোভিয়েত স্বর্গের দু:খ, লাভরেন্তিয়ি বেরিয়া তিবিলিসির নয়ন বুদ্বুদ এই গির্জাটিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু দিমিত্রিশে ভারনাদজে নামে একজন প্রমেথিউস পুত্র চিত্রকর বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়। জর্জিয়ার জনগণকে আহ্বান করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়াতে। জনগণের দেশ হলেও সে সময়ে জনগণের কথা বলা বা প্রতিবাদ করার অধিকার ছিল না, তা ছিল ‘পবিত্র মার্কসবাদ-লেনিনবাদ’কে পায়ে দলনের মত। সেই চিত্রকরকে অতি শিঘ্রই দেশের শত্রু হিসাবে গ্রেফতার করে ফায়ারিং স্কোয়াডের রামধনু পথে বুদ্ধের নির্বানে পাঠানো হয়। কিন্তু একটি কাজ হয়, দ্বিপদী দানব পিছু হটে, গির্জা রক্ষা পায়। জাতির ৭০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী রক্ষার জন্য একজন মানুষের জীবনদান কিছুই নয়। বিপ্লব তো মানুষের জন্যই। মানুষ হত্যাও, মানুষের জন্যই।
ম্তাত্সমিন্দা পাহাড়ের পেছনে আরও একটি পাহাড় আছে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে গভীর গিরি খাত। নীচে তাকাতে ভয় শির শির করে। একটি ছোট নদী এবং পার্ক, হাঁটার রাস্তা, অনতি উচ্চ জল প্রপাত, যদিও শব্দ তার প্রচুর যা সেই উঁচুতে বসে শোনা যায়। তিবিলিসির বোটানিকাল গার্ডেনও সেখানে। আমরা দুর্গ থেকে পায়ে হেঁটে যাই ‘মা জর্জিয়া’ মূর্তির কাছে।
স্বদেশ সব জাতির জন্যই মা, জর্জিয়ানরা এর ব্যতিক্রম নয়। মা দাঁড়িয়ে আছে টান টান পিঠ, ঋজু ও আত্মবিশ্বাসী; পাহাড়ের চূড়ায়, নারিকালা দুর্গ থেকে একটু নীচুতে। ১৯৫৮ সালে এটি স্থাপিত হয় রাজধানী তিবিলিসির ১৫০০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে। স্থপতি এলগুঝা আমাসুকেলি। প্রথমে কাঠের তৈরী হলেও, ১৯৬৩ সালে আপাদমস্তক অ্যালুমিনিয়ামে পরিবর্তন করা হয়।দূর থেকে বেশ সুন্দর লাগে। কিন্তু বিশালত্ত্বের কারণে কাছ থেকে সম্পূর্ণ দেখা যায় না।
মায়ের ডানহাতে তলোয়ার, উদ্যত নয় বরং কটির একটু নীচে, শ্রোণী বরাবর আড়াআড়ি করে শরীরের সমকোণে ধরা। বামহাতে উঁচু ‘ভিনোর’ পেয়ালা। সে অতিথিকে বরণ করে মনোভাব বুঝে, যদি সে আসে বন্ধুর মত, মা তাকে বরণ করে জর্জিয়ান ‘দ্রাক্ষামৃতে’র পেয়ালা উঁচিয়ে, তার সন্তান, কবি তিতসিয়ান তাবিদজের মত। আর অতিথি যদি আসে যুদ্ধ ও মড়ক নিয়ে মা অনম্বর করে তার মাতঙ্গিনী রূপ। প্রতিহত করে তলোয়ার উঁচিয়ে।
কবি তিতসিয়ান তাবিদজের কথা অন্যত্র বলেছি। ইয়েসিনিন, মায়াকোভস্কি, প্যাস্টারনাক সহ এমন কোন রুশ কবি সাহিত্যিক ছিল না, যে তাঁর ও তার স্ত্রীর উষ্ণ আতিথ্য গ্রহণ করে নি। যৌবনে সে ছিল চালচুলোহীন কবি। প্রেমিকা ছিল তার কবিতার ভক্ত।
সে বলেছিল, বিয়ের রাতে তোমাকে নিয়ে যাবার গৃহ নেই আমার, বিয়ে করবে আমাকে?
গিরিখাতের মত প্রেম, তলাহীন, পরিণতির কিচ্ছু দেখা যায় না, তবু ঝাঁপ দেয় নারী।
ভালোবাসা বলে কথা, কারো আঙিনায় প্রেম বার বার আসে, কারো আসে একবার, আমৃত্যু।
মৃত্যু এগিয়ে এসে সব কিছু সহজ করে দেয়।
কবিতার ভক্ত, নগরপাল খবর পায় এই চাল-চুলোহীন বিয়ের, চাবি দিয়ে বলে, “যাও, তোমাদের জোনাকি সন্ধানের এই রাত হোক এই গৃহে। জানালায় চাঁদ উপুড় করে দিক প্রেমের অমৃত কুম্ভ।”
সেই গৃহে অতিথি ছিল জর্জিয়া ও রাশিয়ার সত্য সুন্দরের সাধকেরা।
“আমি কবিতার স্রষ্টা নই,
বরং গল্প সৃষ্টির মত আমাকেই জন্ম দেয় কবিতারা,
এবং জীবনের পথ তাদেরই পায়ে পায়ে হাঁটে।
কবিতা কী ?
অ্যাভালাঞ্চ। তুষার ধ্বস।
যা ফুঁ দিয়ে তোমাকে জীবন্ত কবর দিতে পারে
কবিতা তাই।”
(প্যাস্টারনাকের রুশ অনুবাদ থেকে বাংলায় ভাষান্তর আমার)
এই কবিতা লেখার দশ বছর পরে, তাঁরই প্রিয় জর্জিয়ার ভাষা, জল ও আবহাওয়ায় বড় হয়ে ওঠা ইওসিফ জুগাশভিলির বিপ্লব-ছিনতাইকারী দানবেরা ইতিহাসের ক্রুরতম জল্লাদের মতই তাকে হত্যা করেছে ১৯৩৭ সালে।
“যা ফুঁ দিয়ে তোমাকে জীবন্ত কবর দিতে পারে,
কবিতা তাই।”
৩
আমরা সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসি পাহাড় থেকে। বোটানিকাল গার্ডেনের গেটের পাশ কাটিয়ে যাই গিরিখাতের সমতলে। এই গিরিখাতের একটি নাম আছে, “ইনঝিরগিরিখাত।” একসময়ে এখানে নাকি প্রচুর “ইনঝির” মানে ফিগ্ বা ডুমুর ফলতো। মিষ্টি, কচকচে, সুস্বাদু একধরণের ডুমুর, বাংলায় বলে যজ্ঞডুমুর। তবে ফিগ্ জিনিসটির রুশী ব্যবহার খুব বেশি ঝাঁঝালো। যেমন তুমি কোন রূপসীর কাছে (সে হতে পারে তোমার প্রেমিকা ) ওষ্ঠচুম্বনের অতিরিক্ত কিছু চাইলে, এবং সে তার ডানহাতের প্রথমা ও মধ্যমার মধ্যে বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে তোমার দিকে উঁচিয়ে বললো, “ফিগ্তিবিয়ে।”
সর্বনাশ ! তুমি যা চাইছো তা তো পাবেই না, খুব বড়জোর একটা ফিগ পেতে পারো। আমি এই ফিগের যন্ত্রণা সয়ে সয়ে অঙ্গার হয়ে বুঝেছি যে, রাশিয়ান ফিগের চেয়ে বাংলার যজ্ঞডুমুর অনেক বেশি সুস্বাদু। অবশ্য কাছে পেলে।
নদী বইছে কুরার দিকে। ছোট পাহাড়ি নদী। যারা সমতলের মানুষ, তারা একে নদী কি, নালাও বলবে না। নালার সাথে নর্দমার এত নিবিড় মাখামাখি যে, এত সুন্দর এই প্রকৃত প্রবাহকে নালা বলতে গা ঘিনঘিন করে। রুশভাষায় ছোট্ট ধারা বা জলস্রোতকে স্নেহ করে বলা হয় ‘‘রুচেই।”
ইংরেজিতে ব্রুক বা স্ট্রিম।
এঁকেবেঁকে গেছে সে সর্পিল নমনীয়তায়। হাঁটার জন্য কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছে তার উপর দিয়ে। আমরা জলপ্রপাতের শাশ্বত সঙ্গীতের মঞ্চের কাছে যাই। আহা কী শব্দ ও সুন্দরের জলঝর্নায় অবগাহন !
ঝর ঝর ঝর ঝরেছেই নিরন্তর। নির্ঝর নির্মল।
একজন জর্জিয়ান দাঁড়িয়েছিল একটি চিল নিয়ে। কয়েকটি ‘লারি’র বিনিময়ে ছবি তুলতে দেয়।
ককেশিয়ার উন্মুক্ত আকাশের তরলতায় পাখা মেলে মহাজীবনের সাধন করেছে যে, সে অর্জন করেছে নতুন জীবন, মানুষের দাসত্ব। মানুষ শুধু নিজেই দাস নয়, দাস-মালিকও।
কত বছর বাঁচে চিল ? বছর তিরিশ ? অথচ কত কিছু দেখে সে উঁচু থেকে।
চিল কি হাসে কখনও, মানুষের দিকে তাকিয়ে ?
প্রশ্নটি করা হয়নি।
এই হামামগুলোর কাছেই রয়েছে সারা জাহানের বিস্ময় তিবিলিসির জুম্মামসজিদ। এখানে শিয়া ও সুন্নিরা একসাথে নামাজ পড়ে, যা অদিব্য এই জগতে প্রায় অসম্ভব ও অবিশ্বাস্য। প্রয়োজনে একজন শিয়া বা একজন সুন্নি সংক্ষিপ্ত লেজের বরাহের সাথে জুম্মা পড়বে কিন্তু একে অন্যের সাথে নয়। ১৭২৩ সালে অটোমানরা এই সুন্নি মসজিদের প্রতিষ্ঠা করে কিন্তু ২০ বছর পরে শিয়া পার্সিয়ান
দখলদারেরা তা ধ্বংস করে দেয়। উনিশ শতকের মাঝামাঝি এর পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন হয়। একই সময়ে তৈরি করা হয় শিয়াদের স্থাপত্য সৌন্দর্যের অপূর্ব নিদর্শন “নীলমসজিদ।” কিন্তু ১৯৫১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ঈশ্বর বিতাড়নের অংশ হিসাবে অর্থ খরচ করে নীলমসজিদ ধ্বংস করা হয়। ফলে শিয়াদের নামাজ পড়ার মসজিদ আর থাকে না এবং জুম্মা মসজিদ তাদের গ্রহণ করে। হাজার বছর ধরে একে অন্যের রক্তপায়ী এই দুই দল বিপরীতমুখী অদ্বয়বাদীকে এক করার কৃতিত্ব যে, ১৯৫১ সালের “প্রায়হালাকু” সম্প্রদায়ের, তা স্বীকার না করে উপায় নেই।
মে-জুন ২০১৯
ভ্রমণ কাহিনি যে সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে লেখক শাহাব আহমেদ তা প্রমাণকরে দিলেন। ভ্রমণ কাহিনি কেবল নয়নাভিরাম ছবি নয়, নয় কেবল ডাটাবেইজ- তা ইতিহাস, সে-যে পুরাণ, তারো অধিক জীবন, জীবনযাপন কথাটি না বললে পুরোটা বয়ান করা হয় না; সর্বোপরি ভ্রমণসাহিত্য খালি জীবন নয়- অন্যরকম অধিক- অনর্গল জীবন সৃষ্টি করার অভয়বাণী!