গিরীশ গৈরিক

গিরীশ গৈরিক
+বানিয়াশান্তা


গতরাতে পশুর নদী গোটা গ্রাম গিলে ফেলেছে
কোনো বিষধর সাপের মতো ব্যাঙ গিলে ফেলার গল্প এটা নয়।
গল্পটি হল পাখির মতো খুঁটে খাওয়া মানুষের
যাদের প্রেমের ভগ্নাংশ জমা থাকে মৌচাকে
আর সেখানে তোমরা দাবানল লাগিয়ে মধু শিকার করো।
যাদের রক্তের ভেতর প্রতি মুহূর্তে চাবুকের আঘাত শুনতে পাওয়া যায়
যারা ঘর ভাড়া দিতে না পেরে শরীর ভাড়া দেয়
যারা প্রতিরাতে প্রতিমা বিসর্জনের মতো নিজেকে সমর্পণ করে
যাদের মৃতদেহের সৎকারের কোনো বিধান নেই তথাকথিত কোনো ধর্মে
আমি সেই কোনো এক মায়ের গর্ভজাত সন্তান।

আমি আমার প্রিয়তম জননীর জরায়ুর দিব্যি দিয়ে বলতে পারি–
ঢোলেপড়া সূর্যালোকে তোমাদের মতো আমার ছায়াও দীর্ঘায়িত হয়
সবুজ বাতাসে।

+সিসিতিস্


সঙ্গমহীন প্রেম অভিশাপ হয়ে যায়
জেনেও সূর্যের হাত ছুঁতে পারিনি।
অ্যালার্ম ঘড়ির তৃতীয় চোখের সাক্ষ্য না বুঝে
কবন্ধচোখে খেয়েছি মানুষের মাংস,
ঘুম থেকে জেগে দেখি রক্তাক্ত ওষ্ঠের আহাজারি।

মাকে হত্যা করে যারা ওরেস্তেস কিংবা পরশুরাম হতে চায়
তারা গণতান্ত্রিক বনবিবির আশীর্বাদ পেতে পারে
কবিতার খাতায় তারা নির্বাচিত জল্লাদ।
অথচ তারাই একদিন সুচের গুহা চেটে আদ্রেঁইস হতে চেয়েছিল
তারা এখন মাকড়সাজালে বন্ধি।

কাক কণ্ঠের ঠুমরি
ঠাকুরমার ঘুম ভাঙাতে পারে–
সঙ্গত কারণে ঝাঁটার দৃশ্য গৌণ নয়।

+খুন্তি


তাদের হাত বৈদ্যুতিক বাল্ব চিবিয়ে খায়
যেমন করে টিকটিকির লেজের আঘাতে অন্ধঘড়ির ঘাড় মটকে যায়।
তার পাশে যূথচারী কয়েকটি উটপাখি রাশি রাশি
পেট্রোল খেয়ে উড়াল দেয় নিঝুম কুয়াশায়।
যেখানে পোষা ফুলের ছোবলে ঘুমিয়ে পড়ে অ্যানাকোন্ডা
যারা একদিন শীৎকার সাঁতার কেটেছিল পাথরগলা জলে।
সুতরাং জলের হৃদয় প্রসঙ্গ আসলেই
সমকামী বেদের এপিটাফে ভেসে যায় ময়ূরপঙ্খী।
সেই সকল ময়ূরপঙ্খী চড়ে আমাদের গাঁয়ে আসে পরপুরুষের পাঁচালি,
তখন আমাদের মাতাগণ হ্যাজাক জ্বেলে জরায়ুতে নিয়েছে হাঁড়িচাঁচা গীত।

তাই আমি এখন সেই জারজ–যার পাঁজরে হাঁটে লাল কাঁকড়া।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *