Prabandho – Sulekha Sanyal

 

সুলেখা সান্যাল ও তাঁর নারী ভুবন

(পূরবী বসু)

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশে নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠা ও সমঅধিকারের আন্দোলণে যে দু’টি উপাদান সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে তা হলো ১) স্ত্রী-শিক্ষা ও ২) বাম ও স্বদেশী রাজনৈতিক আন্দোলণে নারীর সম্পৃক্ততা। এই দুই উপকরণ আত্মস্থ করার মধ্য দিয়েই সুলেখা সান্যালের মতো সাহসী নারীরা ঘর থেকে বাইরের পৃথিবীতে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন এবং এক-ই সঙ্গে উপার্জনক্ষম, আত্মপ্রত্যয়ী ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাঁদের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ-ও শুরু হয় এই সময় থেকেই।

এই তো মাত্র কয়েক মাস আগেই সুলেখা সান্যালের ৯০তম জন্মবার্ষিকী হয়ে গেল। যে প্রতিভাবিকাশ লগ্নের শুরুতেই ঝরে পড়ে, তাকে কতদিন-ই বা মনে রাখে মানুষ। সুলেখা সান্যালের সংক্ষিপ্ত আট বছরের সাহিত্যসাধনার জীবন গত হয়েছে প্রায় ছয় দশক আগে। তবু আজ অর্ধ শতাব্দীর-ও দীর্ঘতর নিদ্রার পর জেগে উঠেছে বাঙালি সুলেখা সান্যালের নব-মূল্যায়ণে।

ফরিদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক গ্রাম কোড়কোদি। সেখানে পড়ন্ত এক জমিদার পরিবারে সুলেখা সান্যালের জন্ম হয় ১৯২৮ সালের ১৫ জুন। শৈশবের বেশির ভাগ সময় কেটেছিল মাসির বাড়ি চট্টগ্রামে। কিন্তু ১৯৪২ সালে সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে তাকে নিজ গ্রাম কোড়কোদিতে নিয়ে আসা হয়। রক্ষণশীলতার জন্যে স্কুলের বদলে পারিবারিক বৈঠকখানায় বসে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হয়েছিল সুলেখার ১৯৪৪ সালে। তখন থেকেই প্রগতিশীল বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাঁর। এই সালেই তাঁর প্রথম গল্প “পঙ্ক তিলক” অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে আইএ পাশ করে পারিবারিক বাধা অমান্য করে বিএ পড়ার জন্যে কলকাতার ভিক্টোরিয়াতে ভর্তি হন। কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষার আগেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্যে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় যথাসময়ে পরীক্ষা দেয়া হয় না। তবে পরে জেলে বসেই বিএ পাশ করেন তিনি। আর সে সময়েই তিনি তাঁর স্বল্পদীর্ঘ (১৯৪৮-১৯৫৫) বিবাহিত জীবন শুরু করেন পছন্দের এক সহযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে। তাঁদের একটি মৃত সন্তানের জন্ম-ও হয় এই সময়ে। বিবাহ-বিচ্ছেদের পর স্কুলে শিক্ষকতা করেন সুলেখা। আর মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৬২ সালের ৪ ডিসেম্বর লিউকোমিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন।

চিত্ত-সুলেখার সংসারে দারিদ্রের কারনে তাঁরা তাঁদের বাসার একখানা ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন, যা ‘পরিচয়” পত্রিকার অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন আরেক গুণী অথচ বিস্মৃত প্রায় লেখক ননী ভৌমিক যিনি গল্পগ্রন্থ ধানকানা (১৯৫৬) ও উপন্যাস “ধুলোমাটি” (১৯৫৬)-র রচয়িতা। বাম ধারার লেখক ননী ভৌমিক “পরিচয়” পত্রিকার সম্পাদনা করতেন।

সুলেখা সান্যাল “পরিচয়” গ্রুপের লেখক হিসেবে চারিদিকে পরিচিত তখন। কথিত আছে, প্রায় ভেঙ্গে পড়া সুলেখার বিবাহিত জীবন তাঁকে ধীরে ধীরে ননী ভৌমিকের কাছাকাছি এনে দেয়। কিন্তু তাঁদের নৈকট্যের এক পর্যায়ে, ১৯৫৫ সালে, ননী ভৌমিক প্রগতি প্রকাশনার কাছ থেকে রাশিয়ার সাহিত্য বাংলায় অনুবাদের একটি চাকরী নিয়ে মস্কো চলে আসেন। ঠিক সেই সময়েই সুলেখা-চিত্তের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আর ১৯৫৭ সালে ধরা পড়ে সুলেখার ক্যানসার। সুচিকিৎসার জন্যে সুলেখা মস্কো গেলে ননী ভোমিক বিমানবন্দর থেকে নিজে সুলেখাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু পরে ননী ভৌমিকের জীবনে অন্য নারীর উপস্থিতি টের পান সুলেখা। সুদর্শনা সেই বিদেশী নারীর সাক্ষাৎলাভও করেন তিনি। আর তখন ভগ্ন হৃদয় ও প্রচন্ড হতাশা নিয়ে চিকিৎসা শেষ না করেই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন সুলেখা ১৯৫৯ সালে। দেশে ফিরে এসে সকল সামাজিকতা ও যোগাযোগ পরিত্যাগ করে জাগ্রত মুহুর্তের সবটাই নিজেকে পরিপূর্ণভাবে ঢেলে দেন সৃজনশীল কর্মকান্ডে। আসলে দুরারোগ্য ব্যাধির কথা জানার পর থেকেই তিনি বাকি দিন গুলো উৎসর্গ করেছিলেন সাহিত্য রচনায়। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। বিষন্ন, হতাশ, মৃত্যুভয়ে কম্পমান সুলেখা তখন জীবনের বাকি সময়টা নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে মেয়েদের জন্যে প্রচুর লিখে যেতে চান। তাঁর লেখার কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রধানত নারী ও তার পারিবারিক-সামাজিক ঘাত-প্রতিঘাত-বিষন্নতা। তাঁর নির্মিত নারী তার নিকটজনদের বিশ্বাসহীনতায় হতাশ ও ক্লান্ত। তবু জীবনকে যতটা সম্ভব নৈর্ব্যক্তিক চোখে, তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিতে সবসময় দেখতে চেয়েছেন তিনি। কোন অভিযোগ, দোষারূপ, তিক্ততা নয়। নির্মোহভাবে ঘটনা ও চরিত্র চিত্রণ করে গিয়েছেন শুধু। এর-ই ভেতর নারীর সঙ্কট ও সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত অনেক গল্প ও তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসটি লেখেন তিনি। এতো পরিশ্রম ও ক্রমশ ভেঙ্গে পড়া নাজুক শারীরিক অবস্থা সত্বেও তিনি এই সময় স্পেশাল অনার্স ও বিটি পরীক্ষায় পাশ করেন উন্নততর শিক্ষক হবার প্রত্যয় নিয়ে।

সুলেখার সাহিত্যকর্মের ভেতর , আগেই বলেছি, প্রথম গল্প “পঙ্কতিলক”। প্রথম গল্পগ্রন্থ “সিঁদূরে মেঘ।“ সুলেখা রচিত গল্প “সিঁদূরে মেঘ” নিয়ে ১৯৬৪ সালে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছোট বোন সুজাতা সান্যাল তার অগ্রন্থিত ১৮টি গল্প নিয়ে “সুলেখা সান্যালের গল্পসংগ্রহ” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। তাঁর প্রথম ও প্রধান উপন্যাস “নবাঙ্কুর” থেকে শুরু করে তিরিশটি ছোটগল্প নিয়ে প্রকাশিত “সিঁদূরে মেঘ” ও পরে আরেক খানা গল্প সঙ্কলন “গল্পসংগ্রহ” ও দ্বিতীয় উপন্যাস, “দেওয়াল পদ্ম”, – অর্থাৎ তাঁর সামগ্রিক কথাসাহিত্যের মূল বিষয় ও প্র্ধাণ চরিত্র-ই বিড়ম্বিত নারী এবং তার বহু ধরনের জাগতিক সমস্যা ও জটিলতা। সেই হিসেবে তাঁকে বাংলার অন্যতম প্রাথমিক ও মৌলিক নারীবাদী লেখক বলে শনাক্ত করা যায়। তিনি একজন নারীর চোখ দিয়ে নারীর বাস্তব সমস্যাগুলোকে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য জীবন ঘনিষ্ঠতা। তাঁর বাস্তবতার গল্পে, জীবনমুখী কথাসাহিত্যে যা তিনি আপন অভিজ্ঞতা বা অনুভূতিতে লালন করেননি, যা নিজের চোক্ষে অবলোকন করেন নি, তা নিয়ে কখনো লেখার চেষ্টা করেননি। প্রথম উপন্যাস ‘নবাঙ্কুর’ আসলে একটি আত্মজৈবনিক গাথা। পুস্তক আকারে অপ্রকাশিত তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘নবাঙ্কুর ‘(২য় খণ্ড), ‘হৃদয়ের রং’ এবং ‘ মুকুরের মুখ’’ (সুব্রত কুমার দাশঃ “বিস্মৃত নারীবাদী উপন্যাস নবাঙ্কুর’ , ‘দৈনিক সংবাদ’ সাহিত্য সাময়িকী, ১৫ জুন ২০০৪)।

সুলেখা সান্যালের শেষ জীবন নিয়ে তাঁর ছোটবোন সুজাতা সান্যাল (চট্টোপাধ্যায়) লিখেছেন (সুজাতা সান্যাল রচিত “বড়দিদি সুলেখা সান্যালের জীবনী”), “১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি যেন জীবনকে ছেনে ছেনে নতুন নতুন মূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। জীবনের কাছ থেকে পাওয়া তিক্ততা, বিশ্বাসহীনতা, নিঃসঙ্গতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছে অদ্ভুত এক নৈর্ব্যক্তিক শূন্যতাবোধের মধ্যে। এই সময় আমরা তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাগুলি পাই। নারীজীবনে ব্যর্থতা, সবকিছু পাবার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও না পাবার যন্ত্রণা, অবসিত যৌবনের হতাশা, রোগের দুঃসহ ক্লেশ– সবকিছু রেখে গেছেন তাঁর এই সময়ের লেখার মধ্যে।“ সুজাতা সান্যাল প্রকাশিত সুলেখার মৃত্যুর পরে মুদ্রিত “গল্প সংগ্রহ”-এর ভূমিকায় সুজাতা লিখেছেন, “তাঁর অনেক কাহিনীর কেন্দ্রেই আছেন তিনি স্বয়ং।“‘

‘নবাঙ্কুর’ ’সুলেখা সান্যালের ছাব্বিশ বছর বয়সে লেখা একটি পরিণত উপন্যাস যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘ছবি’র সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে ওঠার বাস্তব কাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বইটির আরো দুটি সংস্করন পরে প্রকাশিত হলেও আত্মজৈবনিক এই মহাসৃষ্টির কোন বিশদ আলোচনা কোথাও প্রকাশিত না হও্য়ায় সুলেখা সান্যাল ও তার সৃষ্টিকে তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় চার দশক ধরে ধীরে ধীরে ভুলতে বসেছিল মানুষ । কিন্তু পরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘পরিকথা’ লিটল ম্যাগাজিন মে ২০০০ সংখ্যায় ‘‘বিংশ শতাব্দির সমাজ বিবর্তনঃ বাংলা উপন্যাস’ “ এই বিষয়ের ওপর যে বত্রিশটি উপন্যাসের আলোচনা করা হয়েছে তাতে ‘নবাঙ্কুর’-এর অন্তর্ভুক্তি বিজ্ঞজনের টনক নাড়িয়ে দেয়। এরপর ফেব্রুয়ারি ২০০১-সালে শ্যামলী গুপ্তের সম্পাদনায় ‘শতবর্ষের কৃতী বঙ্গনারী”’তে সুলেখা সান্যালের নামের সংযোজনে নতুন করে সুলেখা সান্যালের মূল্যায়ণ শুরু হয়। আর এই ২০০১ সালেই গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের করা নবাঙ্কুরের ইংরেজি অনুবাদ ‘Nabankur : The Seedling’s Tale’ প্রকাশিত হলে সুলেখার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে এবং সমালোচকগণ নারীবাদী উপন্যাস হিসাবে গ্রন্থটির অবস্থান কতোখানি উঁচূতে সে সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা শুরু করেন। সুলেখা সান্যালকেও একজন গুরুত্বপূর্ণ নারীবাদী লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

সুলেখা সান্যালের গল্পে নারীর জীবনে ব্যক্তি সম্পর্কের অপূর্ণতা, ক্ষোভ, হতাশা, বিশ্বাসঘাতকতা, পুরুষের লেলিহান চাহিদা, জীবন ধারণের পদে পদে নারীর নিদারুণ অসহায়ত্ব, নিরাপত্তার অভাব ঘুরে ফিরে আসে। আরেকটি উপাদান তাঁর অনেক গল্পেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে উপস্থিত, আর সেটা হলো নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সাতচল্লিশের দেশভাগ যে বিপন্নতা ও দুঃখ-দুর্দশা-দারিদ্র্য-হতাশা ডেকে এনেছিল দেশত্যাগী ছিন্নমূল সাধারণ মানুষের জীবনে, তার গভীর অবলোকন ও বাস্তব বর্ণনা। উদাহরণ ‘ফল্গু’, ‘জন্মাষ্টমী’, ‘গাজন-সন্ন্যাসী, ঘেন্না গল্পগুলো।

সুলেখা সান্যালের সংঘাতময় বিগত জীবনের ৯০ বছর পূর্তিতে তাঁর অসাধারন দুটো উপন্যাস, নবাঙ্কুর ও দেয়াল পদ্ম, এবং তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক অগ্রগামী সব ছোটগল্প যেমন, পদ্মতিলক, সিঁদূরে মেঘ, সংঘাত, কীট, ছোটমাসী, পরস্পর, খোলাচিঠি, একটা মামুলি গল্প, উলুখড়, ঘেন্না, ফল্গু, জন্মাষ্টমী, গাজন সন্যাসী, কিশোরী, খেলনা, জীবনায়ন, বিবর্তন ইত্যাদির কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন তাঁর ভক্তকুল।

সুলেখা সান্যাল সম্পর্কে আমার আজকের সংক্ষিপ্ত রচনা শেষ করছি দূর্বা দেবের একটি মূল্যবান উদ্ধৃতি (দূর্বা দেব, সাহিত্যে নারীঃ নির্মাণ ও নৈপুণ্যে, পৃষ্ঠা ৬৩, ২০১৭) দিয়ে, যার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। “সুলেখা সান্যালের রচনার পরিধি সীমিত কিন্তু উদ্দেশ্য বিস্তৃত। তাঁর অন্বিষ্ট ছিল নারীর প্রকৃত স্বরূপ এবং অবস্থানকে তুলে ধরা। পুরুষের দৃষ্টিতে নারীকে সচরাচর যেভাবে আমরা দেখে এসেছি, সেখানে নারীকে কখনো দাসী, কখনো মহিয়সী করে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সুলেখা পুরুষের দৃষ্টি দিয়ে নয়, নারীর দৃষ্টি দিয়ে, নারীর একান্ত নিজস্ব উপলব্ধি, অনুভূতি দিয়ে নারীকে দেখতে চেয়েছেন, – আর এ বার্তা নিঃশব্দে তিনি আমাদের কাছে পোঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। বলা বাহুল্য, নারীর প্রকৃত বাস্তব পুনরুদ্ধারে তিনি সফল-ও হয়েছেন, আর এখানেই সুলেখা সান্যাল সার্থক। “

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *