ঝর্না রহমান
ভিটেটাকে মনে হয় একটা কুষ্ঠ রোগী। গা ভরতি দগদগে ঘা নিয়ে বসে আছে।
এরকম ভাবতেই পাশের রঙ্গিলা বাড়িটা জাঁকাল জন্তুর মত খ্যাক খ্যাক করে হেসে ওঠে।
গা-লাগোয়া উঠোন ঘেঁসেই বাড়িটা। বাড়িটা মানে এ বাড়িরই আর একটি ঘর। লাল সিমেন্টের উঁচু ভিটেয় রেলগাড়ির মতো এল প্যাটার্নের লম্বা ঘর। ঘরটাকে দেখে মনে হয় সে নিজেই একটা বাড়ি। এই বাড়ির বাড়ি! অন্য কিছু না, এই ঘরটাকেই দেখ! দেখ এর গায়ের বর্ণ, কক্ষ, জানালা আর দরজার নকশা! পাকা ভিটেতে পোঁচ দেওয়া হয়েছে পাঁঠা বলির রক্তের মতো টাটকা রঙ! আগের জরাজীর্ণ ঘরখানা নেই। কোন চেরাগের দৈত্য এসে এমন একখানা ঝকোমকো বাড়ি বানিয়ে দিল? আয়েশা খাতুনের চোখে ধাঁধা লাগে।
এল-এর লম্বা ডাণ্ডাটা টিনের চৌচালা, দেখে মনে হচ্ছে লম্বা জাহাজ আর সমকোণে বাঁকানো ছোট ডাণ্ডাটুকু দুই কক্ষের পাকা দালান। আচ্ছা, পাকা দালানের এ জায়গাটা উঠোনের চালতাতলা ছিল না? চালতা গাছটা কাটা পড়েছে! ওটা লাগিয়েছিলেন যিনি, তিনি কবে চলে গেছেন মাটির তলে, মাটি ওপরের এ গাছের ছায়া দিয়ে আর কী হবে! তিনি অবশ্য চালতাতলায় চেয়ার পেতে বসতেন। তখন তাঁকে খবরের কাগজ পড়ে শোনাতেন পুত্রবধূ আয়েশা। চোখে ভালো দেখতে পেতেন না। ছায়াতলের সেই পাঠশালা ফুঁড়ে কেমন করে উঠল ওদের দরদালান! দালানের ছাদের ওপর আবার লাল রঙা চিলেকোঠা! চৌচালায় নামকরা স্টিলমিলের টিন, তাতে ঢেউতোলা হলুদ রঙ। হলুদের ওপর গাছপালার কালো কালো টুকরো ছায়া। এ কারণে পুরো বাড়িটাকে দেখাচ্ছে থাবা মেলে বসে থাকা একটা বাঘের মতো। বাঘটা সামনের ভিটে থেকে কয়েক থাবা মাংস তুলে খেয়েছে। এ জন্যই সে খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠেছিল!
এই শূন্য ভিটের ওপর যে ঘরটা ছ’ মাস আগেও ছিল, আদি ঘর, পঞ্চাশ বছরের পুরোনো সেই ঘরটা উধাও! কোথায় গেল! বাঘের পেটে! বাঘ কই? ঘরের পিছে। ঘর কই? ওই তো!
কিন্তু এখানে ঘর নেই! পাকা ভিত ছিল। ঘরটা ভেঙে তুলে নেওয়ার পরে ভিতের নানান জায়গায় ভাঙাচোরা মেঝেয় খুঁড়ে তোলা গর্ত দেখা যাচ্ছে। ইটের খোয়া বেরিয়ে এসেছে। ওগুলোকে গেঁজে পচে ওঠা ঘায়ের মতো দেখাচ্ছে। একটু মাটি পেয়ে ভাঙা জায়গার ওপর জন্ম নিয়েছে আগাছার জঙ্গল। শুকনো ডালপালা আর রাজ্যের ফেলনা জিনিসের স্তূপ রাখার জায়গা হয়েছে ওটা। এসব আবর্জনা ভিটেটাকে আরও বন্য করে তুলেছে। সুযোগ বুঝেই বাঘ আবার থাবা বসাবে। ভিটেটা পুরোপুরি পেটে ঢুকে গেলে একটা ঢেকুর তুলে লেঙুর দুলিয়ে সারা বাড়ি হাঁটবে।
উঠোনের এক কোণে একটা প্লাস্টিক চেয়ারে বসে শ্বশুরবাড়ির এই দৃশ্যকল্প তৈরি করছেন আয়েশা খাতুন। আয়েশা এ বাড়ির বড় বউ। তিনি এখন প্রৌঢ়ত্বের সিঁড়িতে পা রেখেছেন। কিন্তু যখন এ বাড়িতে বউ হয়ে এলেন তখন তিনি কিশোরী। ষোল বছর বয়স। আয়েশার বাবা-মা পাত্র হিসেবে আসাদুল ইসলামকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন। দু’-চারটা কথা বলেই তারা বুঝেছিলেন, ছেলে ভালো। সহজসরল, ভোলাভালা, প্যাঁচঘোঁচ নাই।
আয়েশার বিয়ের বছর বাড়িটাও ছিল তার মতোই কিশোরী। আসাদুলরা নদী শিকস্তি মানুষ। পদ্মাপাড়ে ওদের গ্রাম ছিল। নদী সেই গ্রাম গ্রাস করলে ওরা শহরের দিকে এগিয়ে নাবাল জমি কিনে বাড়ি করে। আসাদুলের বাপচাচারা তিন ভাই উঠে এলেন নতুন বাড়িতে। তিন ভাইয়ের মধ্যে আসাদুলের বাবা আমানুল বড়। তিনি রেলওয়েতে চাকরি করেন। মেজো জন রশিদুল। ডাক্তার। তবে ছোট ভাইটি অকর্মা। হামিদুল। না লেখাপড়া, না কাজকর্ম— কিছুই হয়নি তার। ভাইরা এদিক ওদিক ঠেকনা দিয়ে তার সংসার খাড়া রাখে। বাজারে একটা মনোহারি দোকান দিয়ে দেয়। সেটাকেও ঠিকমতো চালাবার বুদ্ধিসুদ্ধি নেই। নতুন বাড়ির জন্য জমি কেনা হল বড় আর মেজোর টাকায়। দরদী ভাইয়েরা বলল, এখন মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই করে সবাই উঠে যাই, যা টাকাপয়সা লাগে আমরা দুজনই দেব। ছোট যখন পারে, টাকা দিবে। আপাতত ওর সংসার বাঁচুক। ছেলেপুলে মিলিয়ে অপোগণ্ড তো কম নয়! ছয়জন।
বড় ভাই নতুন বাড়িতে একটা লম্বা করে ঘর তুলে ছোটকে বললেন, নে, এই ঘরের আধখানাতে তুই থাক আধখানাতে আমি থাকি। একটু কষ্ট হবে। কী আর করা, যার যখন টাকা পয়সা হবে সে তখন বাড়িটার উন্নতি করলেই হবে। উঠোনের নতুন মাটিতে বেগুন আর কুমড়ো চারা লাগিয়ে বললেন, নে, এখানে সিজন মতো ঢেঁড়স-টেঁড়শ লাগিয়ে খা, কে লাগাল, কার উঠোন, এসব না ভাবলেও চলবে! একসাথে মিলেমিশে থাকাটাই আসল।
মিলেমিশে থাকা চলতে থাকে। বাড়িও এদিকে দু’ খাবলা মাটি, ওদিকে দুটো ইট-গাঁথা নিয়ে ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে উঠতে থাকে। তবে তার পুরোটাই বড়’র চেষ্টায়। বাপের চেষ্টার সাথে সাধ্যমত অর্থ যোগান দেন বড় পুত্র আসাদুল। বড় দেখলেন বাড়ির উন্নতি হতে থাকলেও ছোট’র সংসারের কোনো উন্নতি হয় না। ছোট’র জন্য চিন্তায় ঘুম হয় না তাঁর। ওর মাথাটাও সাইজে ছোট, তার ভেতরে মগজও কম। আধা ডজন অপোগণ্ড জন্ম দিয়ে সে ক’টার মুখের ভাত জোটাতেই তার দিন কাবার। ভবিষ্যৎ কী ওর? ওদিকে মেজো রশিদুল একসময় তাঁর জমির অংশটুকু আলাদা করে দেয়াল ঘিরে নিয়েছেন। কয়েক বছরের মাথায় সেখানে দালানও উঠল। সে দালান এনজিওর কাছে ভাড়া দিয়ে মেজো রইলেন শহরে পড়ে। সেখানে তাঁর ডাক্তারির ভালো পসার। বাড়িভাড়ার টাকার খানিকটা ছোটকে দেন। ছোট বড়’র তুলে দেওয়া ঘরে ঘর-সংসার করে আর মেজোর পাঠানো টাকায় দোকানের মালসামান কেনে। ভাইপো ভাইঝিরাও তাদের আয়রোজগার থেকে সাধ্যমত ‘আহা রে-গরিব’ চাচাকে সহায়তা দেয়। বিয়ের পর থেকে আয়েশা খাতুন এ নিয়মই দেখেছেন বছরের পর বছর।
হামিদুলের অপোগণ্ডগুলোর সবকটার মাথায় গোবর। ইশকুল বেটে খাইয়েও কোনোটার লেখাপড়া হল না। মেধার অভাবে সবক’টার সুরতও হল বোকা বোকা। ছোটর দেহের দৈর্ঘ্য এমনিতেই কম, অবস্থাগুণে সে দিনে দিনে কুঁজো হয়ে কুঁকড়ে যেতে লাগল। বড়’র দয়ার দেহ। নিজের ছেলেমেয়েদের বলে দিলেন বাপের সহোদর এই চাচাটিকে যেন কোনোদিন কেউ অবহেলা না করে। তার সুখদুঃখ যেন ওরা সবাই ভাগ করে নেয়। তিনি ছোট’র ইচ্ছামতো লম্বা ঘরটিকে কেটে অর্ধেক করে পাশেই আলাদা ভিটেয় ঘর তুলে দিলেন। ছোটর বউ খুব বুদ্ধিমতি। কী থেকে কী করলে আখেরে লাভ তা জানেন। তিনি একটু একটু করে রাঁধনঘরের সীমানা বাড়ান, উঠোনে কাঁটা মেহেদির বেড়া লাগান, প্রতি বছর সেই বেড়া এক-পা এক-পা হেঁটে ভাসুরের উঠোনের মাঝে গিয়ে দাঁড়াতে থাকে। বোকাসোকা বড় মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় বুদ্ধি মাথায় ঢুকিয়ে জামাতাসহ ভাসুরের পুকুর পাড়ের অংশটাতে বসতি করিয়ে দেন।
বড়’র ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত হল। দেশ ছেড়ে কেউ কেউ বিদেশে স্থায়ী হল। বাকিরা সবাই রাজধানী শহরে। তারা নিয়মিত হামিদুলকে টাকাপয়সা পাঠাতে লাগলেন। এসব দেখে শান্তিতে চোখ বুজেছেন আমানুল। তাঁর জীবনসঙ্গীও চলে গেছেন বহু বছর আগেই। মেজোজনও নিঃসন্তান অবস্থায় অনন্তলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁর জীবনসঙ্গীও। দু’জনের কবর নিয়ে মেজোর দেয়ালঘেরা বাড়িটাও একাই দঁড়িয়ে থাকে। ছোট’র ছেলেটি এতদিনে বিষয়বুদ্ধিতে ভারি দড় হয়ে উঠেছে। মেজোর বাড়ির তদারকিতেও সে বড় তৎপর। আর আমানুলের মৃত্যুর পর এ বাড়ির আদি ঘরটিও কার্যত হামিদুলের একমাত্র পুত্রের আয়ত্তেই চলে যায়। মাঝে মাঝে বড়’র ছেলেমেয়েরা নানা উপলক্ষে শহর থেকে দল বেঁধে বাড়িতে এসেছে। তখন আদি ঘরটি তাদের ছায়া দিয়েছে। মায়া দিয়েছে। মা বাবার হাতের ছোঁয়া লাগা জিনিসপত্র নিয়ে স্মৃতিকাতর হয়েছে মেয়েরা। ছেলেরা ভেবেছে সময় করে বাড়িটার সংস্কার করে নেওয়া যাবে। ছোট’র ছেলে বলে, ‘কী করতে হবে খালি আমাকে বলে দিন। টাকা দিয়ে যান। সব করে দেব।’
ধীরে ধীরে ছোট’র বাড়িটা গাছের মতো বড়’র বাড়ির দিকে শাখাপ্রশাখার হাত বাড়ায়। বড়’র বাড়ির অংশের শাখাপ্রশাখাবহুল গাছগুলো ঢুকে পড়ে ছোট’র সীমানায়। ওগুলো ঘিরে খাটো খাটো আরসিসি পিলার গাঁথা হয়। জমি কেনার সময় তো ভাগের মাপজোক হয়নি! এখন ছোট বেঁচে থাকতে সীমানাগুলো ঠিকঠাকমতো বুঝিয়ে দেওয়া দরকার, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে এই হল যুক্তি।
প্রবাসী মেজো ছেলে জয়নুলের সপরিবারে দেশে ফেরা উপলক্ষে আমানুলের ছেলেমেয়ে নাতিনাতনি পুত্রবধূ জামাতারা দল বেঁধে বাড়িতে এসেছে। বাড়ির উঠোনে ঢুকেই পরিচিত প্রাঙ্গণে অভ্যস্ত পদক্ষেপ করতে গিয়ে এই খুঁটিতে ধাক্কা খেয়েছেন আয়েশা। কী আশ্চর্য! এ উঠোনে খুঁটি কেন? এখানেই তো খেলেধুলে আয়েশা খাতুনের ছেলেরা বড় হয়েছে! এ উঠোনে সীমানা পিলার কেন?
আয়েশার মাথার ওপর জলপাইগাছের কচি ডাল ঝরে পড়ে। জয়তুন শাখা নাকি শান্তির প্রতীক! আয়েশা খাতুন ঘাড় উঁচু করে জলপাই গাছের দিকে নজর করেন। আহা রে, বাহা! গাছ তো মনে হচ্ছে আসমান ফুটো করে চলে যাচ্ছে আরও ওপরে! কত বড় হয়ে গেছে এই ক’ বছরে! আয়েশা কচি শাখাটি চোখের সামনে ধরেন। এই তো, এর চাকচিক্যে জ্বলজ্বল করছে তার বিয়ের গহনার সোনার হারখানা। নতুন বাড়ির পেছনের নীচু জমিটুকুতে মাটি তুলে যে বছর উঠোন বানানো হল, সে বছর বেচে দিতে হল সেই হারখানা। মাটি তোলার পরেও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকল। সে টাকায় নতুন মাটিকে শক্ত করে বসানোর জন্য তার স্বামীধনই কিনে এনেছিল কয়েকটা ফলদ আর বনজ বৃক্ষের চারা। সেই গাছগুলোকে বড় করতে আসাদুলের সাথে আয়েশাও তো যত্ন করেছেন! গাছগুলো এতদিনে সব গগনস্পর্শী। কিন্তু কোন জাদুবলে ওরা সব ঢুকে গেছে বাঘবন্দী সীমানার ভেতরে!
‘ভাবি, ঘরে চলেন, মা ডাকছে! আসার পর থেকে বাইরেই বসে আছেন!’
শহিদুল সামনে। গায়েপায়ে এখন সে মুশকো জোয়ান। মাথায় একটা কালো ক্যাপ। ইন করে পরা শার্ট। কোমরের নীচে নামিয়ে দেয়া জিনস। আয়েশা দেখেন শহিদুলের দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে নেতা নেতা ভাব! এই শহিদুলকে ছোটবেলায় পড়া বোঝাতে ঘাম বের হয়ে যেত আয়েশার। পড়া বলতে বললে বিড়ালের মতো মিউমিউ করে কথা বলত। তার অর্থ হল, মনে নাই।
শ্বশুর বলতেন, ছোট’র কপালই খারাপ। একটা মাত্র ছেলে, সেটাও মানুষ হল না। মাথাভরা গোবর। সেই একটামাত্র ছেলে দাঁড়িয়েছে আয়েশার সামনে। আয়েশা বিড়বিড় করেন, ‘ঘর আছে নাকি, ঘরে যাব!’
‘ও! বুঝছি, ঘরটা ভাঙা হয়েছে তাই মন খারাপ! মন খারাপের কী আছে! আসলে আপনি তো মেয়েমানুষ তাই এসব বুঝবেন না। এখানে অর্ধেকটা আমাদের জায়গা। তাই ঘরটা ভাঙতে হল।’
আয়েশা উঠে দাঁড়ান।
‘কখনও তো শুনিনি এ ঘর তোমাদের জায়গায় তোলা হয়েছে!’
স্বরটা ক্ষোভে ভরা। নিজের কানেই চড়া লাগে।
লাঠিতে ভর দিয়ে হামিদুল এসে দাঁড়ান। কুঁজো হয়ে গেছে পিঠ। মাথাটা বাঁকা করে চোখ কুঁচকে আয়েশাকে দেখেন।
‘তুমি তো পরের বাড়ির মেয়ে, আমাদের ভাইদের বিষয়সম্পত্তির বিষয়ে তুমি জানো না। যতটুকু জমি এই বাড়ির ভেতরে আছে, সেটুকু পুরোটাই আমাদের। আর তোমাদের অংশ ওই নাবাল জমিতে পড়েছে। ভাইস্তারা এখন ওই জায়গা ঠিকঠাক করে নেবে!
হামিদুলের স্ত্রী এসে দাঁড়ান।
‘শোন বউমা, ঘরে চল। আসলে তুমি তো এই ঘরটাতে অনেকদিন সংসার করেছ তাই তোমার খারাপ লাগছে। কিন্তু ঘর তো আর ঘর ছিল না! চালুনের মতো ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। ওটা এমনিতেই ভেঙে পড়ত।’
বিকেলে সবার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় হল।
হামিদুলের স্ত্রী আয়েশার কাঁধে হাত রেখে বলেন, বউমা, আসাদ, তোমরা তো বড়, তোমাদের একটা সৎ পরামর্শ দিই, তোমরা তোমাদের অংশটা সীমানা দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দাও। নইলে কিন্তু এই সব জায়গা দখল হয়ে যাবে। গ্রামের মানুষ কত খারাপ তা তোমরা জানো না!
আয়েশা কিছু বলেন না। বাঘের মতো থাবা মেলে বসা বাড়িটাকেই দেখেন।
আসাদুল মিনমিন করে— ‘আপনারা তো আছেন, কে আর দখল করবে!’
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন