short-story-pagol-manusher-golpo

পাগল মানুষের গল্প
জয়দীপ চক্রবর্তী


পাগলটা সাধারণত বুড়ো বটগাছটার নিচে বসে শুয়ে থাকে সারাদিন। গায়ে একটা ময়লা জামা, আর পরনে ছেঁড়া ফুলপ্যান্ট। মাথার কাঁচা পাকা মেশানো চুল এলোমেলো, জট পড়া। মুখে দাড়ি গোঁফের জঙ্গল। লোকটার পায়ে জুতোটুতোর বালাই নেই। সম্পত্তি বলতে আছে তার একখানা ঝোলা ব্যাগ। ব্যস, আর কিছু নয়। ব্যাগটা একসময় বাহারি সুতোর কাজ করা ছিল। হস্তশিল্প মেলাটেলায় যেমন সব ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়, তেমনই আর কী। এখন ব্যাগটা কালো, তেলচিটে মার্কা হয়ে গেছে। এমনিতে লোকটা তেমন হুজ্জোতি কিছু করে না, কিন্তু চুপচাপ থাকতে থাকতে হঠাৎ হঠাৎই আকাশের দিকে চেয়ে সে তীব্র চিৎকার করে ওঠে তারপর হাতের মুঠো শক্ত করে পাকিয়ে ধরে কোন এক অজানা শত্রুকে শাপশাপান্ত করে বিড়বিড় করে। কার উপরে তার এমন তীব্র আক্রোশ আর কী-ই বা এই কারণ, কে জানে!

আগে আমাদের এই এলাকাটা ফাঁকা ছিল। ছড়ানো ছিটনো কয়েকটা বাড়ি। সামনে কাঁচা রাস্তা, কাঁচা নর্দমা। আর চতুর্দিকে বড় বড় ঝাঁকড়া গাছ, সবুজ সবুজ ঝোপ-জঙ্গল, বাগান, খেলার মাঠ। আমাদের বাড়ির আশেপাশেই নয় নয় করে খান তিনেক পুকুরও ছিল। এখন সব গেছে। গত বিশ পঁচিশ বছরে আমাদের পুরো এলাকাটারই খোলনলচে বদলে গেছে। রাত্রিবেলা অফিস থেকে ফেরার সময় মাঝে মাঝেই মনে হয়, আমি বোধহয় ভুল রাস্তায় চলে এসেছি। ফাঁকা মাঠ একটাও নেই। অনেক দিন আগেই সে মাঠগুলোর অধিকাংশই ছোট ছোট প্লটে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এখন সেখানে বাড়িঘরের জঙ্গল। কত বাহারি সে সব বাড়ি, কতো বিচিত্র সে সব বাড়ির মালিকেরা। আমি এইসব বাড়ির মানুষজনকে দেখে চিনতে পারি না। মাঝে মাঝে নিজেকেই পরবাসী মনে হয় আজকাল।

পুরনো মাঠগুলোর দু’একটাই মাত্র অবশিষ্ট ছিল তার পরেও। পাড়ার ছেলেপুলেরা স্কুল থেকে ফিরে সে সব মাঠে দাপিয়ে খেলত। কয়েক বছর আগে থেকে মাঠে ছেলেদের খেলতে আসতে দেখতাম না। ছুটির দিনে বিকেলবেলা আগাছা জন্মানো মাঠে একা দাঁড়িয়ে ভাবতাম, ওরা কোথায় গেল? কোথায় খেলে এখন?

অমনই এক দিন মাঠে একা দাঁড়িয়ে আছি, কে যেন পিছন থেকে এসে ঘাড়ে হাত রাখল। চমকে ফিরে দেখি, অমলদা। অমলদা আমাদের থেকে অনেকটাই সিনিয়র। মানুষটা আপাদমস্তক ফুটবল পাগল। একসময় কলকাতা মাঠে ফুটবল খেলত। ফার্স্ট ডিভিশন লিগে নামও করেছিল মিডফিল্ডার হিসেবে। বড় ক্লাবে ডাক পেয়েছিল খেলার জন্য। কিন্তু ভাগ্য বিট্রে করল অমলদার সঙ্গে। সই করার কয়েক দিন আগেই কড়া ট্যাকলে বিশ্রীভাবে পা ভাঙল কোথায় একটা খেপ খেলতে গিয়ে। সেই জখম সারিয়ে উঠে পেশাদার ময়দানে আর ফেরা হল না তার। তারপর থেকে এই এলাকাতেই ফুটবল কোচিং করাতো অমলদা। ফুটবল নিয়ে তার খ্যাপামির অন্ত ছিল না। বিকেল হলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেদের মাঠে ধরে নিয়ে আসত অমলদা। আর দু’ কোমরে দু’হাত রেখে বার বার বলত, ‘আমি পারিনি তো কী হয়েছে, আমাদের মাধবপুর থেকেই একদিন ছেলে-মেয়েরা কলকাতার মাঠ কাঁপাবে দেখে নিস।’

এক পাল ছেলে জুটে গিয়েছিল অমলদার কোচিং-এ। মাধবপুর ইউনিয়ন সত্যি সত্যিই দুর্দান্ত একটা ফুটবল টিম বানিয়ে ফেলেছিল কয়েক বছরের মধ্যে। আমি নিজেও অমলদার কোচিং-এ ভিড়ে গিয়েছিলাম। ভিড়েছিলাম যতখানি না ফুটবলকে ভালোবেসে, তার চেয়েও ঢের বেশি অমলদার প্রতি আকর্ষণে। আমাদের মাধবপুরে অমলদা সত্যি সত্যিই হিরো তখন। পাড়ার কত দিদিই যে তখন অমলদার প্রেমে হাবুডুবু!

কিন্তু বছর কয়েক হল, সে মাঠগুলোতেও বহুতল আবাসন গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে। চারদিকে অসভ্যের মতো আলো। আড়াল আবডাল নেই এতটুকু। রাস্তার পাশের বাহারি গাছগুলোয় মাঝেমধ্যে মাঝরাতেই ভোর হয়ে গেছে মনে করে পাখিরা জেগে উঠে হাঁকডাক শুরু করে দেয় ভুল করে।

এই একটাই মাঠ অবশিষ্ট আছে এখন। তার একদিক আগাছারা দখল করতে শুরু করেছে। সন্ধে নামার পর এখনও এই দিকটাই খানিক অন্ধকার। আমি সেই চাঁদের আলো মাখা ফিকে ফিকে অন্ধকারে এসে দাঁড়াই। আমার ভালো লাগে। আমার মনের মধ্যেও তখন ফিকে ফিকে কত ছবি এসে ভিড় করে। সেই ছবিদের ভিড় থেকে সুনন্দাও উঁকি মেরে দেখতে থাকে আমায়…

আমি চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে বলি, ‘অমলদা, তুমি! এমন অন্ধকারে, এই ফাঁকা মাঠে!’

‘আমি তো মাঠ ছাড়া আর কিছু চিনতে চাইনি এ জীবনে’, অমলদা ক্লান্ত গলায় বলে, ‘এ গ্রাম থেকে কতো মানুষই তো শহরে চলে গেল। আমি যাইনি কেবল এ গ্রামের মাঠগুলোর কথা ভেবে। এই মাঠগুলো আমার পা টেনে রেখে দিল চিরকাল। আমার কোথাও চলে যাওয়া হল না।’

আমি চুপ করে রইলাম। অমলদা রয়েছে বলে আমার মনের মধ্যে ছবিগুলো তৈরি হচ্ছিল না। সুনন্দাও সেই ছবির মধ্যে থেকে আমার কাছে আসতে পারছিল না কিছুতেই…

আমি নরম গলায় বললাম, ‘অমলদা, তোমার বয়েস হয়েছে। শরীরও ভালো নেই তেমন। তুমি বরং বাড়ি ফিরে যাও। সন্ধ্যা নেমে গেছে। একা অতটা পথ যাবে পায়ে হেঁটে…’

‘চলে যাব?’ অমলদার কথায় কেমন যেন অদ্ভুত একটা বিষাদ ঝরে পড়ল।

‘আপনার শরীর তো তেমন ভালো নেই। মাস কয়েক আগে একটা অ্যাটাক হয়ে গেল…’

‘তখন না বাঁচলেই ভালো হতো জানিস?’ অমলদা আগাছায় মোড়া মাঠের দিকে মায়াময় চোখে তাকিয়ে বলল, ‘এই মাঠটাও আর থাকবে না, শুনেছিস তো?’

‘এই মাঠটা থাকবে না মানে?’ আমি চমকে উঠে বলি, ‘এ মাঠটা আবার কার নজরে পড়ল?’

‘প্রোমোটাররা যে চিল শকুনের মতো ফাঁকা জমির দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে আছে সর্বক্ষণ’, অমলদা উত্তেজনায় হাঁপাচ্ছিল, ‘এ জমিটা কি সে নজরের বাইরে থাকতে পারে বেশিদিন?’

‘কিন্তু এ জমিটা তো শুনেছিলাম ভেস্টেড ল্যান্ড…’

‘জমির মালিকানা যারই হোক, কাগজপত্তর নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে আজকাল কি অসুবিধে হয় রে ভাই? সঠিক জায়গামতো টাকা ঢালতে পারলে দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে ফেলতে কতক্ষণ?’

আমার মাথার মধ্যে সব কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। ‘এই মাঠটাও থাকবে না আর? তা হলে সুনন্দার সঙ্গে আমার দেখা হবে কেমন করে?’ নিজের মনেই বিড়বিড় করে উঠি আমি।

‘একটা কিছু করা যায় না?’ অমলদা আমার হাতদুটো চেপে ধরল শক্ত করে।

‘কী করবে বলো তো’, আমি অসহায় কণ্ঠে বলি, ‘ওদের হাত কত লম্বা হতে পারে সে তো আমরা সবাই জানি…’

‘সবাই মিলে যদি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি?’

‘সবাই?’ আমি ম্লান হেসে বলি, ‘এই বাংলায় কোন ভালো কাজেই বা আমরা এক হতে পেরেছি বলো অমলদা?’

অমলদা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, ‘আমার বয়েস গেছে, নইলে একাই দাঁড়িয়ে পড়তাম মাঠের মাঝখানে। বলতাম, আমার মৃতদেহের উপর দিয়েই শুধু এই মাঠের ওপর ইমারত তৈরি হতে পারে…’

আমার বুকের মধ্যে চাপ চাপ কষ্ট জমছে। অমলদার মতো আমারও মনে হচ্ছে প্রতিবাদে ফেটে পড়ি। কিন্তু আমি চিরকালের ভীতু, নির্বিবাদী। কেউ আমার সামনে দুটো জোরে কথা বললেও হাত পা কাঁপতে থাকে আমার।

অমলদা আমার দিকে চেয়েছিল এক দৃষ্টে। হঠাৎই বলে উঠল, ‘নীলু, তোর নন্দার কথা মনে পড়ে এখনও?’




সুনন্দা আমার সঙ্গে শ্রীকান্তদার ব্যাচে পড়ত একসঙ্গে। আমরা তখন ক্লাস ইলেভেন। মাধ্যমিক পাশ করার পর কেমন যেন হঠাৎ করেই নিজেদের বড় মনে হতে শুরু করেছে। সুনন্দা আমাকে পছন্দ করত আগে থেকেই। আমি যে ওকে ভালোবাসি, সে কথাটা মর্মে মর্মে বুঝেছিলাম ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে। শ্রীকান্তদার ব্যাচ থেকে পড়ে ফেরার সময় আমরা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে এসে বসতাম এই মাঠের পাশটিতে। তখনও মাঠে ছেলেরা নিয়মিত খেলতে আসত। অমলদা ফুটবল প্র্যাকটিস করাতো তাদের। আমি আর সুনন্দা গল্প করতে করতে তাদের খেলা দেখতাম। অমলদা আমাদের প্রশ্রয়ই দিত। মাঝে মাঝে কাছে এসে বলত, ‘খুব যে ভাব-ভালোবাসা হয়েছে দুটিতে, অ্যাঁ? বাড়িতে বলে দেব নাকি?’ বলেই হো হো করে হেসে উঠত মানুষটা।

আমাদের সম্পর্কের কথাটা দু’বাড়িতেই জানত। আমাদের বাড়ি থেকে কেন কে জানে, এই মেলামেশায় তেমন বাধা দেয়নি কেউ। সেই সুনন্দাই একদিন বলা নেই কওয়া নেই, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ল। আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তখন মাত্র চার মাস বাকি। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছিল, সে প্রেগন্যান্ট। মাস দু’ আড়াইয়ের। পাড়ার লোকেরা আমার দিকে খুব ক’দিন বাঁকা চোখে চাইত। আমার মা একদিনই শুধু আমাকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তুই?’

‘না’, বলে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলাম আমি।

সুনন্দা আমাকে একবার বলার চেষ্টা করেছিল। আমি বুঝতে পারিনি। সে বয়েসে কতটুকুই বা বুঝি আমি! কাল্টুদা সম্পর্কে সুনন্দার কেমন একটা যেন মামা হতো সম্পর্কে। প্রায়ই ওদের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল লোকটার। মাঝে মাঝে কয়েকদিন করে ও বাড়িতে থেকেও যেত। লোকটাকে পছন্দ করত না সুনন্দা। কিন্তু ওর মায়ের জন্যে…

আমি আমার মা-কে কাল্টুদার কথা বলেছিলাম। মা দাঁতে দাঁত চেপে বলেছিল, ‘শয়তান। মা মেয়ে কাউকে ছাড়তে পারিস না, এমনই লালসা তোর…’ ব্যস, ওইটুকুই। মা সুনন্দার বিষয়ে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আর একটি কথাও বলেনি আমাকে।

সুনন্দার বাড়ি থেকে ওর মৃত্যুর ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করেনি বিশেষ। কিছুদিন পরে এখান থেকে অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। কাল্টুদাই ওই বাড়ির মালিক এখন। তখন থেকেই পার্টি করত। এখন দল বদলে রুলিং পার্টির নেতা। জমি মাফিয়াও একজন। নামে বেনামে কতো যে সম্পত্তি করেছে লোকটা! এই মাঠটাও কাল্টুদাই দখল করেছে খবর পেলাম।

অমলদার কথাটা মাথার মধ্যে পাক খাচ্ছিল। মাঠটাকে হারিয়ে যেতে দেব? কিচ্ছুইটি কি করার নেই আমাদের কারও? সত্যি সত্যিই? কাল্টুদা বার বার এমনি করেই প্রতিরোধহীন আমাদের সবকিছু কেড়ে নেবে?

পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম। প্রায় সকলেই বলল, ‘খামোখা ঝুটঝামেলায় গিয়ে কী লাভ ভাই? দেশের হালচাল তো চোখের সামনেই দেখছ। ক্ষমতা যখন দুর্বৃত্তের হাতে গিয়ে পড়ে, পাঁচটা ছা-পোষা ভদ্দরলোক রুখে দাঁড়িয়ে কিছুই করতে পারে না হে। কাজেই যা হচ্ছে, হতে দাও…’

মানুষকে বলে বলে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম আমি, কিন্তু কারও কাছ থেকেই ভরসা জুটল না একটুও। মনে মনে ক্রমশই নিঃস্ব হয়ে পড়ছি আমি। সুনন্দাকে এতদিনেও হারিয়ে যেতে দিইনি আমি। কিন্তু আর বোধহয় তাকে আমি নিজের কাছে ধরে রাখতে পারব না।

রাত্রিবেলা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছি, দেখি পাগলটা গাছতলায় তেমনিই চুপটি করে বসে আছে। কালই আমার সঙ্গে কাল্টুদার লোক দেখা করে গেছে। নরমে গরমে শাসিয়ে গেছে খানিক। আজ অফিস যাবার পথে দেখলাম অমলদা রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। আমাকে দেখে হতাশ গলায় বলল, ‘কিস্যু হবে না বুঝলি রে, নীলু, এ পোড়া দেশে কিছুই হবে না আর…’

আমি মুখ নীচু করে চায়ের দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়ে অটোতে উঠে পড়েছিলাম। এখনও পাগলটার পাশ দিয়ে অমনই মুখ নীচু করে চলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎই আমাকে চমকে দিয়ে পাগলটা মাথার উপর মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে তুমুল আক্রোশে চিৎকার করে উঠল, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস–’

আমি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দীর্ঘশ্বাস ঠেলে বেরিয়ে এল বুকের মধ্যে থেকে। চিরটাকাল মানুষ ন্যায়বিচার চেয়ে এল। ভগবানের কাছে, আর পাঁচটা কাছের দূরের মানুষের কাছে, এমনকী তার নিজের কাছেও। কিন্তু জাস্টিস সে পেল কি?

আমিও কিছুই পাব না হয়ত, জানি। তবু আজ কেন কে জানে, জীবনে প্রথমবার চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল আমার। হাতের মুঠি দৃঢ় হল।

মনে হল, মুষ্টিবদ্ধ হাতের দৃশ্য বড় সংক্রামক। হতেও তো পারে, ওই পাগলের থেকে আমি, আমার থেকে অমলদা– এমন আরও অনেক ক্লান্ত অবসন্ন মানুষের চেত্তা খেয়ে লটকে পড়া শিথিল হাত ক্রমশ মুঠো পাকিয়ে মাথার উপরে উঠবে হয়তো কাল থেকে…



এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

1 thought on “short-story-pagol-manusher-golpo

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *