জীবিত ও মৃত
অনিতা অগ্নিহোত্রী
আমি যে অসম্মানের একগলা পাঁকে ডুবে আছি
আমি যে সহায় হীন, ভিক্ষার অন্ন রেঁধে খাই
আমাকে জবাবদিহি কেউ করবেনা, আর
মিথ্যাচারে ভরে দেবে ছোট এই কুঠুরীর বায়ু
এসব জানলাম আমি ভোররাতে
সেই মেয়েটির মৃত্যু আমাকে জানালো
আমার উপায় হীন অস্তিত্বের যত গুপ্তকথা
ধর্ষণ ও হত্যার পর হাত কেউ তুলে দিয়েছিল চোখের উপর,
কেউ তার ক্ষতের উপর রেখে গিয়ে ছিল নীল শাল
চোখের জলের মধ্যে তাও তো সবুজ মনে হল,
কে যেন যত্ন করে চুল তার আঁচড়ে দিয়ে ছিল,
কে জানে তাকে কি চুমু খেয়ে ছিল আততায়ী একা বা সদলে।
আমিও তো ওই ভাবে শুয়ে থাকি, মেয়েটি জানালো,
যাতে লাশ মনে করে কেউ না মাড়ায়,
বরং ঘুমন্ত ভেবে বসে থাকে গায়ের চাদর বদলাবে,
ঝুড়ি ভরে বর্জ্য আর মিথ্যে দিয়ে ঢেকে দিয়ে যায়,
আমি ডুবে যাই আর বেঁচে উঠি পরের সকালে।
আমার যে ভিখারীর, নিহতের শস্তা জীবন,
একশো পঁচিশ খানা ক্ষত নিয়ে রোজ সই করি হাজিরা খাতায়,
এসব জানালো এক মৃত্যু বড় ধীর আর সুপরিকল্পিত,
শিয়রে সাজিয়ে রেখে আমারই হাতের লেখা খাতা।
একটি হত্যার কাছে নতজানু হয়ে বসে আজ দেখি,
ঘুম ব’লে, মৃত্যু ব’লে একে সাজাবার কত তাড়া।
শ্মশানের চিতা থেকে পরে নিয়ে ছাইয়ের তিলক,
নগ্ন নাচ, নিজের অজান্তে মরে ভূত হয়ে গেছে জল্লাদ।
লক্ষ লক্ষ উত্তোলিত হাত, মানুষের পদচাপে বাঁকা ব্যারিকেড,
মৃত্যুর অনেক পর, এসব কি তাকে কিছু
শান্তি দেয়, মায়ের হাতের মত দোলনায় দোল?
যে হত্যা আমার মধ্যে রয়ে গেল উপায়হীনের, অক্ষমের,
সে কি পুনরুত্থানের মন্ত্র দেবে?
এসব ভাবলাম আমি আজ ভোর রাতে, নিশ্ছিদ্র ঘরের স্তব্ধতায়।
একটি মেয়ের মৃত্যু, তীব্র ও সুপরিকল্পিত, আমাকে জানালো,
জীবিত ও নিহতের মধ্যবর্তী ভেদরেখা স্পষ্ট নেই আর।।
অনিতা অগ্নিহোত্রী
আমি যে অসম্মানের একগলা পাঁকে ডুবে আছি
আমি যে সহায় হীন, ভিক্ষার অন্ন রেঁধে খাই
আমাকে জবাবদিহি কেউ করবেনা, আর
মিথ্যাচারে ভরে দেবে ছোট এই কুঠুরীর বায়ু
এসব জানলাম আমি ভোররাতে
সেই মেয়েটির মৃত্যু আমাকে জানালো
আমার উপায় হীন অস্তিত্বের যত গুপ্তকথা
ধর্ষণ ও হত্যার পর হাত কেউ তুলে দিয়েছিল চোখের উপর,
কেউ তার ক্ষতের উপর রেখে গিয়ে ছিল নীল শাল
চোখের জলের মধ্যে তাও তো সবুজ মনে হল,
কে যেন যত্ন করে চুল তার আঁচড়ে দিয়ে ছিল,
কে জানে তাকে কি চুমু খেয়ে ছিল আততায়ী একা বা সদলে।
আমিও তো ওই ভাবে শুয়ে থাকি, মেয়েটি জানালো,
যাতে লাশ মনে করে কেউ না মাড়ায়,
বরং ঘুমন্ত ভেবে বসে থাকে গায়ের চাদর বদলাবে,
ঝুড়ি ভরে বর্জ্য আর মিথ্যে দিয়ে ঢেকে দিয়ে যায়,
আমি ডুবে যাই আর বেঁচে উঠি পরের সকালে।
আমার যে ভিখারীর, নিহতের শস্তা জীবন,
একশো পঁচিশ খানা ক্ষত নিয়ে রোজ সই করি হাজিরা খাতায়,
এসব জানালো এক মৃত্যু বড় ধীর আর সুপরিকল্পিত,
শিয়রে সাজিয়ে রেখে আমারই হাতের লেখা খাতা।
একটি হত্যার কাছে নতজানু হয়ে বসে আজ দেখি,
ঘুম ব’লে, মৃত্যু ব’লে একে সাজাবার কত তাড়া।
শ্মশানের চিতা থেকে পরে নিয়ে ছাইয়ের তিলক,
নগ্ন নাচ, নিজের অজান্তে মরে ভূত হয়ে গেছে জল্লাদ।
লক্ষ লক্ষ উত্তোলিত হাত, মানুষের পদচাপে বাঁকা ব্যারিকেড,
মৃত্যুর অনেক পর, এসব কি তাকে কিছু
শান্তি দেয়, মায়ের হাতের মত দোলনায় দোল?
যে হত্যা আমার মধ্যে রয়ে গেল উপায়হীনের, অক্ষমের,
সে কি পুনরুত্থানের মন্ত্র দেবে?
এসব ভাবলাম আমি আজ ভোর রাতে, নিশ্ছিদ্র ঘরের স্তব্ধতায়।
একটি মেয়ের মৃত্যু, তীব্র ও সুপরিকল্পিত, আমাকে জানালো,
জীবিত ও নিহতের মধ্যবর্তী ভেদরেখা স্পষ্ট নেই আর।।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন