গঙ্গা দিলাম শান্তনুকে। দিয়ে আমি বেরিয়ে গেলাম থেকে যাওয়া ঠিক হত কী? গঙ্গা হবেন পুত্রবতী; কাবাবে হাড় হলে পরে গল্পে তো আসবে না গতি… থাকবে শুধুই দাঁড়ি, কমা বৎসরান্তে খাতায় জমা কিন্তু খাতাও ফেরাবে হাল ফিরতে ফিরতে যখন কপাল ঝলমলিয়ে হেসে উঠে ভুলিয়ে দেবে, জোয়ার ভাটা দুটোর কোনওটা নয় আমার; আমার শুধু বুকের পাটা ছিল বলে বেরিয়ে এলাম গোমুখ থেকে বারাণসী, পাটনা হয়ে কলকাতাতে লাগেজ কীই বা সংগে নেব, গঙ্গাই শান্তনুর হাতে…
ভয়ংকরের ভিতর থেকে আমায় একটা হাত দেখাও তো আমি এখন বাসে উঠছি, নামব তিনটে স্টপেজ পরে ‘সাবধানে যাও মানিক আমার’ বলত যারা, তারা নাকি চাকার নীচে চেপটে গেছে সকাল – সকাল এই শহরে? বিকেলগুলো জুঁইয়ের মালা টুকরো টুকরো মালাই বরফ বিক্রি হচ্ছে? এখনও হয়? লোকে কেনে? বাজার চাংগা? এদিক-ওদিক তাকিয়ে আমার নজরে কই পড়ল না তো কথায় কাপড় বুনত যারা, কথা দিয়েই করত নাংগা নোনাধরা ইটের দেয়াল-ঘেরা একটা ছোট্ট প্যাসেজ মাকড়সারাও সামিল হচ্ছে সন্ধে এবং অগৌরবে এসব কিছু পেরোলে পর তবে আমার রাতের রুটি কিন্তু আমি নামার আগে, আমার একটা টিকিট হবে
ভাল ৷