রম্যরচনা
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়
পূষন যোগবিয়োগ শিখেছিল তাড়াতাড়ি। গুণ বেশ কঠিন লেগেছিল তার। আর গুণের চাইতে ভাগ শেখাতে গিয়ে পূষনের মায়ের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হয়েছিল। সেই পূষন এখন মস্ত অফিসার। মায়ের জন্য যোগ-শিক্ষক রেখেই ছাড়বে সে। মা সুস্থ থাকলে পূষন শান্তিতে সংসার করতে পারবে। কিন্তু মা থাকেন এক জায়গায়। পূষন অন্যরাজ্যের অন্য শহরে থাকে। যোগব্যায়ামের মাস্টারমশাই বাড়িতে এলে অসুবিধা হয় মায়ের। সময়মত আসেন না তিনি। টিভি সিরিয়াল, পুজো করা, গীতাপাঠ-চন্ডী চর্চায় ব্যাঘাত ঘটে… সেইসঙ্গে কাজের লোক, রান্নার লোক… সবেতেই বিস্তর ঝামেলা হয় মায়ের।
অতঃপর অনলাইন শরীরচর্চার ব্যবস্থা করেছে পূষন। ইন্সটাগ্রামে খোঁজ পেয়েছে সে। বয়স্কদের শরীরচর্চা করায় অনলাইন। নিয়মিত হালকা পুলকা ব্যায়াম, যোগাসনে মা ভালো থাকবেই। সেই আশায়।
নয়ত আজ এখানে ব্যথা, কাল ওখানে ফিক লাগা, পরশু সেখানে কনকন… লেগেই আছে।
– আমার সর্বাঙ্গে ঘা, ওষুধ দিবি কোথা?… এই বলে মা অনেক নিরস্ত করার চেষ্টা করলেও পূষন নারাজ সে যাত্রায় ।
হোয়াটস্যাপে মা বেশ সিদ্ধহস্ত এখন। ডুয়ো, ভুয়ো মায় সিগন্যাল…সবেতেই আছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি এই অনলাইন যোগব্যায়ামের ক্লাস শুরু হতেই পূষনের মা যেন অস্থির হলেন। রসসাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় কপি করে বললেন
– ওরে পচা ছানায় কী আর সন্দেশ হয়? বৃথা চেষ্টা করিস নে আর।
পূষন বলল, এইজন্য কারোর ভালো করতে নেই। বুঝলে?
মা বললেন, আমার আর কী ভালো হবে এসব করে?
এই যোগ নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর হল মা-ছেলের। যোগের কথা পাড়লেই মা বিয়োগ দিয়ে রণে ভঙ্গ দেন। ছেলেও নাছোড়। অতঃপর যোগ কে জীবন থেকে বিয়োগ না করে ছেলের কাছে হার মেনেই নিলেন। মা সম্মত হলেন।
– ভিডিও কলে আলাপ পর্ব হল মায়ের সঙ্গে যোগ শিক্ষক ভাস্করের।
– মা, ধর একদিন হোয়াটস্যাপের ভিডিও আটকে গেল। তখন ডুও। ডুও ভোগে গেলে সিগন্যালে। বুঝেছো? কিন্তু যোগব্যায়াম তোমাকে করতেই হবে। নয়ত ফিট না থাকলে আমার কাছে আসবে কেমন করে? ট্রেনে চেপে, প্লেনে করে?
মা বুক বেঁধে রইলেন।
ভোর হতেই ভাস্করের ভিডিও কল করার কথা।
ছেলের আধ পুরনো পায়জামা আর একটা টিশার্ট পরে রেডি থাকেন মা। পুজোপাঠ লাটে উঠল। সেইসঙ্গে গীতাপাঠ, চণ্ডীচিন্তাও।
স্মার্টফোন কে স্ট্যান্ডে রাখতে অভ্যস্ত তিনি। কারণ ছেলের সঙ্গে ভিডিও কল করেন অবলীলায়। পাঁপড় ভাজতে ভাজতে কিম্বা পাউরুটি টোস্ট করতে করতেই।
ভিডিও কল শুরু হতেই ওপাশ থেকে
– গুড মর্নিং মাসীমা। ভাস্কর হাসিমুখে ওয়েলকাম করে নতুন ছাত্রী কে।
মুখ ভেংচে গুড মর্নিংয়ের লৌকিকতা করেই মাসীমা শশব্যস্ত হয়ে পড়লেন ভিডিও কলে।
– আরেকটু ডানদিকে যান। সামান্য বাঁদিকে মাসীমা। ফোনটা আরেকটু উঁচুতে রাখুন। ব্যাস। এবার দুটো হাত ওপরে তুলুন। নীচে নামান। দশবার। ওয়ান, টু, থ্রি… চলতেই থাকে।
– এবার সাইডে। ফোর, ফাইভ, সিক্স… চলতেই থাকে।
– এবার সামনে। সেভেন, এইট, নাইন…
ওদিকে পাখির কিচিরমিচির। সুমধুর স্বরে গলা সাধছে। আহা! এ আমার গ্রাম বাংলা। ভাবেন মাসীমা। এর নাম ভোর। দু’কানে সেই ভোর ভরতে থাকেন ।
– এবার ডিপ ব্রিদিং… টেন, ইলেভেন, টুয়েলভ… শ্বাস নিয়ে শ্বাস ছাড়ুন মাসীমা। জোরে জোরে।
গোরু ডাকছে গোয়ালে। মনে পড়ে যায় নিজের সবুজ গ্রামের কথা।
– এবার স্ট্যাটিক নেক। চাপ দিন মাসীমা সমস্ত শক্তি দিয়ে। দু’গালের দু পাশে, মাথার সামনে, পেছনে, ওপরে, নীচে… মেরুদণ্ড ভালো থাকবে মাসীমা। থার্টিন, ফোরটিন, ফিফটিন… চলতেই থাকে…
– আচ্ছা আমার স্পন্ডেলোসিস ভালো হবে এতে?
হ্যাঁ। পূষনস্যার বলে দিয়েছেন তো। সেইজন্যেই তো বলছি। ভাস্কর বলে
একদম কথা বলবেন না ব্যায়ামের সময়। মন দিয়ে ব্যায়াম করুন মাসীমা।
আবারও কুটুম পাখি ডাক দিয়ে গেল। মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে মায়ের। ভোরবেলা কোথায় এসব শুনবেন তা না, ছেলের আদেশ। ব্যায়াম করতেই হবে। কী যে দরকার এসবের।
– তোমাদের ওখানে হনুমানও আছে না কী? ঐ তো হুপ হাপ শব্দ করছে।
– হ্যাঁ মাসীমা। ওরা খুব ফ্রেন্ডলি। কিচ্ছু করেনা। আপনি এবার নেক্সট ব্যায়ামে যান।
– ক্লক ওয়াইজ শোল্ডার রোলিং এই দেখুন এভাবে… সিক্সটিন, সেভেন্টিন, এইটিন…
– আবার অ্যান্টি ক্লক ওয়াইজ। নাইন্টিন, টোয়েন্টি, টোয়েন্টিওয়ান…
– এবার লিফটিং অফ আর্মস। দেখুন এই ভাবে। টোয়েন্টিওয়ান, টু, থ্রি… চলতেই থাকে দশবার।
এবার রোলিং অফ শোল্ডার প্লেটস মাসীমা… প্রথমে ক্লক ওয়াইজ, তারপরে অ্যান্টিক্লকওয়াইজ… আগের মত। দশবার করে।
– ওবাবা! বউকথা কও ডাকে যে। আহা কতদিন বাদে শুনলাম। একটু যে প্রাণ ভরে পাখির ডাক শুনবেন তার জো নেই। নিকুচি করেছে ব্যায়ামের।
– শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে এবং নিজেকে স্ট্রেশ মুক্ত রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে আধঘণ্টা আমার ক্লাস করলেই হবে।
– এবার পেট ফোলান এভাবে।
– পেট ভেতরে ঢোকান। এবার বুক। এগুলি করলে শরীরে অক্সিজেন ইনটেক বাড়ে আর কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমে। কাজ করার সময় শরীরে এনার্জি আসে।
– ক্যারক্যাটা পাখি ডেকে গেল। আজ তবে বৃষ্টি হবে।
– এবার নিন মাসীমা। সাইড বেন্ডিং।
উফ! আহ! আউচ! মাসীমার মনে পড়ল টেলিভিশনের অ্যাড।
– কোমরে ব্যাথা মাসীমা?
– নাহ! আসলে বহুদিনের অব্যবহারে মরচে ধরে গেছে যে।
– ঐজন্যেই তো আমি আছি এখন। নিন এবার ব্যাক বেন্ডিং, হ্যাঙ অন ওয়েস্ট। এই দেখুন আমি কেমন করে করছি। দুটো হাত পেছন দিকে দিয়ে ব্যাকে ঝুলে থাকবেন।
– ওরে বাবা! এ বয়েসে বাদুড়ের মত ঝুলতে হবে?
– মেরুদণ্ড যত সামনে, পিছনে বেঁকাবেন ততই ভালো বয়েস বাড়লে। নয়ত কুঁজো হয়ে যাবেন যে। কারো কাছে মাথা না ঝোঁকালেই হল। নীচু হবেন না।
কোকিল ডাকছে তো ডাকছেই… অবিশ্রান্ত।
– এখন তো বর্ষাকাল। ওখানে কোকিল কী করছে এখন?
মা চঞ্চলা। বসন্ত – বর্ষার সমীকরণ মেলেনা।
কোকিল একনাগাড়ে ডেকেই চলেছে।
– হ্যাঁ, মাসীমা। এখন বাসা ভাঙছে ওরা। নয়ত ঘর ভিজে যাবে যে। আবার ঘর বাঁধবে নতুন বসন্ত এলে। কাকের বাসায় ডিম পাড়বে।
– নিন এবার আপনি শুরু করুন আবার। দেওয়াল ধরে কোমরে হাত রেখে একটা করে পা ঘোরান। মানে সারকেলিং … ওয়ান, টু, থ্রি…
– আবার অন্য পা। ফোর, ফাইভ, সিক্স…
– আমার ফ্রোজেন শোল্ডারের জন্য কিছু রেমিডি নেই বাবা?
-আছেই তো। এগুলো করুন। সব হবে ধীরে ধীরে।
– টেনিস এলবোও আছে বাবা। বড় ব্যাথা। হাত নাড়তে পারিনা।
– সব দেব মাসীমা। একসঙ্গে অতকিছু করলে বদ হজম হয়ে যাবে। চাউমিন, বিরিয়ানি একসঙ্গে কেউ খায় মাসীমা?
– এবার চেয়ারে বসে দুটো পা একসঙ্গে এবং আলাদা করে টান করে সোজা রাখুন। ৫ সেকেন্ড করে ১০ বার করুন।
– আর গোড়ালি ব্যাথায় কী করব?
– দেওয়াল ধরে আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে গোড়ালি ওঠানো–নামানো। সেইসঙ্গে চেয়ারে বসে দুটো পা জুড়ে সোজা রেখে দশবার পায়ের পাতা ও গোড়ালি ওপর–নীচ করুন আর ঘোরান।
ভাস্করের ইন্সট্রাকশন মত এভাবেই ওয়ান, টু, থ্রি ফোর… চলতেই থাকে। এর নাম যোগের ধারাপাত।
– এবার উল্টে শুয়ে পড়ুন। হাতদুটো সামনের দিকে রেখে হাতের ওপর ভর করে মাথা তুলুন দুকিনি।
– ও ভুজঙ্গাসন? সাপের মত? ইশকুলে শিখেছিলাম পি টি ক্লাসে। খুব পারতাম। হলাসনও পারতাম জানো?
– তাই? খুব ভালো পারছেন তো আপনি। এই বয়েসে আপনি অনেকের চাইতে ফিট মাসীমা।
আধঘণ্টা এভাবে নানান ফ্রিহ্যান্ড আর বজ্রাসন, ভুজঙ্গাসন, অর্ধশলভাসন, পবনমুক্তাসন পেরুতে পেরুতে মাসীমা হাজির হন ধ্যানের আবহে।
চুপচাপ চেয়ারে বসে অনুলোম, বিলোম, প্রাণায়াম।
– ডান নাক বন্ধ রেখে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়া আবার বাঁ নাক বন্ধ করে ডান নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়া তো? ওগুলো রোজ করি আমি সিরিয়াল দেখতে দেখতে।
– ওভাবে হবেনা মাসীমা। টিভি চালিয়ে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে।
তার আগে কপালভাতি দেখিয়ে দেন যোগশিক্ষক।
– আচ্ছা কথাটা আসলে কী গো? কপালভারতী? বিদ্যাভারতী আমাদের বেহালার ইশকুল। দিব্যাভারতী বলিউডের এক অভিনেত্রী ছিল। অকালেই চলে গেছে মেয়েটা। কেশব ভারতীর কাছে চৈতন্যদেব দীক্ষা নেন। সুব্রহ্মণ্য ভারতী ছিলেন একজন কবি, লেখক, সাংবাদিক। কিন্তু কপালভারতী? জন্মে শুনিনি বাবা। এর মানে কী বাবা? জানো তুমি?
যোগশিক্ষক ভিডিও কলে হেসে কুটিপাটি।
– সব জানাচ্ছি। তার আগে বলি, আপনার সেন্স অফ হিউমার অসাধারণ মাসীমা। আমি অনেক বয়স্ক মানুষ কে যোগ শেখাই। আপনি কিন্তু দারুণ। সবার চাইতে আলাদা। এ পর্যন্ত আমার দেখা বেস্ট স্টুডেন্ট আপনি। টিচারের এহেন ভূয়সী প্রশংসায় পূষনের মা অনেক দিন বাদে উদ্বেলিত হন।
– কপালভাতি হল শ্বাস-প্রশ্বাসের এক ধরনের প্রাণায়াম। ঠিক পদ্ধতিতে করতে পারলে এর মাধ্যমে শরীর ও মন সচল হয়। ‘কপাল’ মানে ফোরহেড আর ‘ভাতি’ মানে উজ্জ্বল বা চকচকে। কপালভাতির অর্থ হল ‘উজ্জ্বল কপাল’, যা নিয়মিত করলে আপনার শরীর সুস্থ আর উজ্জ্বল হবে।
কপালভাতি চলল এবার। ফোঁস ফোঁস করে। ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর… চলতেই থাকল।
– মাসীমা এবার দেখুন ভ্রষ্টিকা। জোরে জোরে ফুঁ দিন। এভাবে। ফুসফুস ভালো থাকবে। দম বাড়বে আপনার।
– এবার স্ট্রেশমুক্ত হতে দুটি কান তর্জনী দিয়ে চেপে বন্ধ করে দশবার ও-উ-ম ধ্বনি বের করুন পেটের ভেতর থেকে। ভ্রামরীর মত।
হ্যাঁ, ওটাও করি। টিভি দেখে শিখেছি। আমার গুরুদেবও শিখিয়েছেন। পুজো করার সময়ও করি।
– এখন থেকে পুজো কম করবেন। বসে থেকে আরও বাতে ধরবে কিন্তু। রিলিজিয়াসলি যোগব্যায়াম করুন। এটাই হল বুড়ো বয়েসের প্রধান পুজো।
– ঠিক আছে বাবা। তাই হবে।
– শুধু ব্যায়াম করলেই হবেনা কিন্তু। পরিমিত খাওয়াদাওয়া, জলপান, ঘুমও চাই এর সঙ্গে। আপনি আমার কথাগুলো মাথায় রাখুন। আপনার ভালো হবে।
এখন পূষনের মা কিন্তু আগের মত আর হাঁফিয়ে যাচ্ছেন না একটুও। বরং বেশ লাগছে রোজ এমন করে ভোরবেলা যোগের ক্লাস করতে। নিয়মিত টিচারের সঙ্গে ভিডিওকলে সাক্ষাত হলেই মন ভালো হয়ে যায়। জীবনের একটা অন্য মানে খুঁজে পেয়েছেন অশীতিপর এই বৃদ্ধা। কাজের মেয়েকে দিয়ে নতুন থ্রি কোয়ার্টার গোলাপি পায়জামা আর নীল টিশার্ট আনিয়েছেন হকারস কর্নার থেকে।
আগে কাঁধে, ঘাড়ে ব্যথা হলে পূষন কে অস্থির করতেন। এখন শ্বাস নিয়ে ঘাড় পিছনে ও সামনে আনা নেওয়া করা, গলা বাঁদিকে–ডানদিকে ঘোরানো, ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীত বরাবর কাঁধ ঘোরানো এসব করে দিব্য আছেন। সব ব্যথার বাতিক উধাও শরীর থেকে।
পূষন সেদিন অফিসের মিটিঙয়ের ফাঁকে ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখে চমকে উঠল।
জিও! আঙুল উঁচিয়ে পূষন মনে মনে বলে ওঠে “মিশন অ্যাকমপ্লিশড”।
পূষন ফ্লাইট টিকিট বুক করে ফেলে মনের আনন্দে। মা তবে তার কাছে এলেও অনলাইন যোগব্যায়ামের ক্লাস করতে পারবে আরামসে। বাইরে বেড়াতে গেলেও অনলাইন ক্লাসে অসুবিধে হবেনা।
মা আমার আজ সেলিব্রিটি! এ যে তারই ওয়ান অ্যান্ড ওনলি মা। কী সুন্দর করে কপালভাতি করছে মা! শরীরচর্চায় মায়ের রূপ যেন উথলে উঠছে। সেদিন ছিল আন্তর্জাতিক যোগদিবস। ভিডিও টি পরম যত্নে শেয়ার করেছে তার মায়ের যোগ শিক্ষক ওয়ান অ্যান্ড ওনলি ভাস্কর পোড়েল। ইন্সটা হ্যান্ডেলে যার নাম যোগভাস্কর। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা “মাই ওল্ডেস্ট স্টুডেন্ট উইথ হার ব্রাইট ফোরহেড”।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
খুব ভালো লাগলো। অনেকদিন পরে একটা ভালো গল্পঃ পড়লাম।
দারুণ, গল্পের মাধ্যমে কত কিছু শিখে গেলাম