bibidho-oli-goli-choli-ram

অলি গলি চলি রাম…
মুক্ত গদ্য
সুপ্রিয় চৌধুরী

সেই কবে লিখেছিলেন মহাকবি সুকুমার রায়। সত্যি এ কলকাতার কতশত যে অলিগলি। প্রত্যেকটা গলির আলাদা আলাদা গন্ধ। আলাদা চরিত্র। মির্জাপুর স্ট্রিট, হালফিলে নাম পাল্টে সূর্য সেন স্ট্রিট ধরে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডের দিকে হেঁটে আসতে হাতের বাঁ-ফুটে বেজায় সরু গলি। নাম ছকু খানসামা লেন। সুট করে সেঁধিয়ে গিয়ে ঠিক তিনটে বাঁকের মুখেই আরো তস্য সরু গলিটা। ক্ষয়া ক্ষয়া লাল ইটের দাঁত বের করা দেয়াল। এতটাই সরু যে দুজন মানুষ পাশাপাশি হেঁটে যেতে পারবে না। আক্ষরিক অর্থেই।

‘আকাশের গায়ে নাকি টকটক গন্ধ’ এরকমটাও লিখেছিলেন মহাকবি সুকুমার। সেই কবিতার সীতানাথ বন্দো আকাশের গায়ে সত্যি সত্যি ওই টোকো গন্ধটা পেত কিনা জানা নেই তবে ছকু খানসামা বাই লেনের ওই বেজায় চাপা, সরুস্য সরু গলিটায় ঢুকলেই নাকে ঝাপটা মারতো পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা, পলাচারেক সর্ষের তেল ঢেলে গরগরে করে কষিয়ে শুঁটকি মাছ রাঁধার গন্ধ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, যে কোন সময়ই ঢুকি না কেন। পিসির বাড়ি ওই গলিটা থেকে একটু দুরেই, খানপাঁচেক বাড়ি আগে। পিসতুতো ভাই বাবু। ওকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম কথাটা। স্কট লেনের ফুটপাত বাজারে বেলা বারোটাতেও না বিকোনো বাসি তেলাপিয়ার মত মুখ ভেটকে উত্তর দিয়েছিল, ‘ভাগ! আমি বলে হরেদরে পোত্যেকদিন বারছয়েক যাই আসি ও গলি দিয়ে, আমি কোনওদিন পেলাম না আর তুই ন’মাসে ছ’মাসে এক-আধবার এসেই পেয়ে গেলি!’

অদ্ভুত যুক্তি! যেন ও এ পাড়ায় থাকে বলেই ওর গন্ধ না পাওয়ার অধিকারটা নিপাতনে সিদ্ধ, বার্থরাইট। আর আমি মাঝেমধ্যে আসি বলে গন্ধটা পাওয়ার ন্যূনতম অধিকারটুকুও আমার নেই।
ছকু খানসামা লেনের ওই পুরোনো ভাড়াবাড়ি ছেড়ে খড়দায় নিজের বাড়ি করে বহুদিন হল চলে গেছেন পিসেমশাই। কালেদিনে না ফেরার দেশে। একটু একটু করে অভিভাবকহীন হয়েছি আমরা সবাই। একে একে মাথার ওপর থেকে ক্রমাগত সরে সরে গেছে ছাদগুলো। তুতো ভাইবোনদের মধ্যে যোগাযোগ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে হতে তম। কালেভদ্রে স্মার্টফোনে। কাউন্টারের পেছনে নাকের ডগায় চশমা, গোমড়াথেরিয়াম ক্লার্কবাবুর হাতে লিখে আপ-ডেট করা পাসবুক থেকে ঝাঁ চকচকে এটিএম কাউন্টার। মোড়ের মাথায় গোপালের তেলেভাজাও এখন সুইগি আর জোমাটো। বহুকাল ঢোকা হয়নি ছকু খানসামা লেনে। ফলে জানা নেই, পলাকয়েক সর্ষের তেল, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কায় কষিয়ে রাঁধার ওই গরগরে গন্ধটা আজো ঘুরে বেড়ায় কিনা বেজায় চাপা, বড়জোর ফুটদেড়েক চওড়া, ক্ষয়া ক্ষয়া লাল ইটের দাঁত বের করা গলিটায়।

‘গন্ধটা খুব সন্দেহজনক’ লিখেছিলেন শীর্ষেন্দু মুকুজ্যে মশাই। আমার কাছে গন্ধ কিন্তু সন্দেহজনক নয়, বরং বেশ খানিকটা রহস্যময়ই বলা চলে। আজও মনে আছে সেটা ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়া ছেলেবেলা। এ্যানুয়াল পরীক্ষা শেষ। মার সাথে বেহালায় মামাবাড়ি। বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টপেজ থেকে ছাড়বে ১৪ নম্বর বাস। সুকিয়া স্ট্রিটের স্টপেজে এসে দাঁড়াতে দাঁড়াতে নটা সাড়ে নটা। সিটে ‘লেডিজ’-এর পাশে লেখা ‘এ্যান্ড চিলড্রেন’। জানলার ধারে সিট। বুকে কাঠবেড়ালি আঁকা গোলগলা লাল পুলওভার। সকালের নরম মিঠে রোদ। মাঝ শীতের শিরশিরেনি হাওয়া। পাশে মা। থেকে থেকে সতর্ক বার্তা জারি, ‘জানলার বাইরে হাত দিবি না!’ রবীন্দ্র সদন পেরিয়ে হরিশ মুখার্জি রোডে ঢুকে স্টপেজখানেক বাদে বিজয় বসু রোডের মোড়। বাঁ-ফুটের গলিটার দিক থেকে অবধারিতভাবে ভেসে আসা মর্টন কোম্পানির পাতিলেবু লজেন্সের গন্ধ! উৎসটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু আসছে। সেই থ্রি-ফোর সময়ে মামাবাড়ি যাবার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিজয় বসু রোডের মোড়ে ওই গন্ধটা।

পরবর্তীতে বহুবার গেছি ওই এলাকায়। এখনও যাই। আর কখনও পাইনি গন্ধটা। ‘কাছেপিঠে কোথাও লজেন্সের কারখানা ছিলো কি?’ স্হানীয় অনেককে করেছি প্রশ্নটা। উত্তর এসেছে ‘সাতজম্মেও না।’ বয়েস বেড়ে যাওয়া নাকে কি পাতিলেবু লজেন্সের গন্ধ ঢোকে না?

কাকভোরে সোনাগাছি গেছেন কখনও? বিশেষ করে শীতকালে? যখন চাপ চাপ কুয়াশার ঘেরাটোপ ঠেলে বেশি দূর উঠতে পারে না গন্ধটা। ভেসে বেড়ায় এলাকার গলিগলতায়। মদ, বাসি বিরিয়ানি, চাট, বেলফুল আর পারফিউমের মেলানোমেশানো একটা গন্ধ। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ভোরের সোনাগাছির গায়ে। একটু বাদেই এর সঙ্গে যোগ হবে জবজবে মাথায় তেল, ইশকুল ব্যাগ, বইখাতা, বোরোলীন, এলাচ আর ফুটন্ত ঘন দুধের গন্ধ। নিজের এলাকা টপকে ভদ্রলোকেদের পাড়ার ইশকুলে পড়তে যাচ্ছে জবালার সন্তান কুচোকাঁচাগুলো। নীলমণি মিত্র স্ট্রিটের মোড়ে ফুটের দোকানে অ্যালুমিনিয়ামের সসপ্যানে চা চড়িয়েছেন পান্ডেজী। আপনারা সেসব গন্ধ পেয়েছেন কি? না পাননি। কারণ আপনারা কেউ ভোরবেলা সোনাগাছি যাননি।

দারিদ্র্য। ছোট একটা শব্দ। কিন্তু এর অভিঘাত বিশাল। শিল্পে, সাহিত্যে, মুখের ভাষায় কত অযুতকোটিবার যে ব্যবহৃত হয়েছে শব্দটা। কিন্তু দারিদ্র্যের গন্ধ? সেটা কি কেউ পেয়েছেন কখনো? আর কেউ পেয়েছেন কিনা জানিনা, আমি কিন্তু পেয়েছি। মানে এখনও পাই। গলি গড়পারে তিনুদের শার্সি ভাঙা জানলাটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে। উত্তর কোলকাতার বনেদী পাড়ার বেজায় পুরোনো তিনতলা বাড়ি। একতলার এককোনে শার্সিভাঙা জানলাটার ওপারে ঘোর অন্ধকার। চামসে গন্ধ। আরশোলা আর ইঁদুরের শশব্যস্ত পদচারণা ছোট্ট খুপড়ি ঘরটা জুড়ে। অন্ধকারটার পেছনে কিন্তু একটুকরো অতীত। সেটা বেশ ঝলমলে। তিনু। পড়তো বাড়ির দশ কদম দুরে ওই সেই লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ুর এ্যাথেনিয়াম ইনস্টিটিউশনে। পাড়ায় বাকিরাও প্রায় সবাই-ই যেমন পড়তো। তিনুর বাবা। যামিনী জ্যাঠা। সরকারি আপিসের চাকুরে। তিনুরা তিন ভাইবোন। সবাই-ই একটু অন্যরকম। ওই আজকের লব্জে যাকে ‘স্প্যাসটিক’, ‘মেন্টালি অর ফিজিক্যালি চ্যালেন্জড’, ‘স্পেশাল চাইল্ড’ এইসব গালভরা নামে ডাকা হয় আর কি। তখনকার সময়ে কিন্তু ‘পাগলা’, ‘গাঁট’, ‘হুব্বা’, ‘ক্যালানে’, ‘তারকাটা’ ইত্যাদি সম্ভাষণে সম্ভাষিত করা হতো। আর প্রতিটি বিশেষনের পেছনেই কমন দুটো অক্ষর যে অবধারিতভাবে যোগ হয়ে যেত, সে কথা বলাই বাহুল্য। তিনুর বেলাতেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঘটেনি ওর ছোট ভাই পিনুর ক্ষেত্রেও। পড়তো পিনুর চেয়ে এক ক্লাস নীচে। ওই এ্যাথেনিয়ামেই।

ক্লাসে স্যারদের নিত্যনতু্ন অসাধারণ সব উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় রগড়ানি, অন্যদিকে পাড়ায় আর স্কুলে সহপাঠীদের হাতে নিত্যরোজ ট্যাংরাখোঁচা হওয়া। ফলে এইসব ‘স্পেশাল চাইল্ড’-দের প্রায় কারোরই পড়াশুনো তখনকার দিনে বেশিদুর এগোতো না। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনু-পিনুরও এগোয়নি। বছর দু-তিনের মধ্যেই গ্রিক সরস্বতী এ্যাথেনাকে চিরতরে আলবিদা জানিয়ে দিল দুজন। ইশকুলে স্যারদের রগড়ানি থেকে ছুটকারা মিললেও পাড়ায় হেনস্তাটা রয়েই গেল। ওদের ওপরে দিদি। কৈলাস বোস স্ট্রিটের মহাকালী পাঠশালা থেকে নাম কাটা গিয়েছিল অনেক আগেই। খুব একটা কিছু এসে যায়নি তাতে কারো। তিনুদের বাড়িরও। হাবাগোবাদের, পাগলাছাগলাদের লেখাপড়াটরা ওসব হয় না, সবই কপাল, এই ধ্রুবসত্যটা মেনে নিয়েছিল সবাই।

কিন্তু ধ্রুব নামক সত্যটা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠলো বছরকয়েক বাদে। খুর কমদিনের ব্যাবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরপর চলে গেলেন যামিনীবাবু ও তাঁর স্ত্রী। উড়ে এসে সপরিবারে বাড়িতে জুড়ে বসলেন যামিনীবাবুর এক তুতো বোন। তাকে নাকি ওয়ারিশন করে দিয়ে গেছেন দাদা। সেসব কাগজপত্তরও নাকি রয়েছে তাদের কাছে।

একটু একটু করে যেমন ময়ালের গ্রাসে ঢুকে যায় খরগোশ ছানা, ঠিক সেভাবেই পুরো বাড়িটা চলে গেল সেই পিসির দখলে। তিন ভাইবোনের জায়গা হল একতলার অন্ধকার খুপরি ঘরটায়। তারপর তো এই এতগুলো বছর! হালফিলের কিস্যাটা শুনবেন? ইঁদুর, আরশোলা আর বিছের অভয়ারণ্য ওই ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘর। বিদ্যুৎহীন। ঘরে তিন ভাইবোন। পার ডে পিসির তরফে তিনজনের খাইখরচা গুনেগেঁথে তিরিশ টাকা। পার হেড টেন ওনলি। সকাল থেকে রাত অবধি, জলখাবার থেকে দুবেলার খোরাক, সবকিছু ওর মধ্যে। আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক, অন্তত ২০২০ সাল পর্যন্ত তো সেটাই ছিল।

তবে হ্যাঁ, উত্তর কোলকাতার পুরোনো পাড়া। ‘স্প্যাসটিক’, ‘স্পেশাল’ ওসব সফি সফি বুলি বলতে না শিখলেও ‘পাগলাখ্যাঁচা’ তিনুদের জন্য কিছু ব্যবস্হা আছে। শ্রাদ্ধ থেকে বিয়ে হয়ে জন্মদিন, মুখেভাত, দু-ভাইয়ের খাওয়া আর দিদির জন্য একটা প্যাকেটের বন্দোবস্ত একেবারে পাকা। এছাড়াও টুকটাক এরতার জিনিসপত্র এনে, মাসকাবারির কেরোসিন বা রেশনটা তুলে দিয়ে, ইলেকট্রিক বিল জমা করে পার ডে এবং মান্হলি কিছু ইনকামের ব্যবস্হা। অথবা ধরা যাক পাড়ায় কোন ডাক্তারবাবু বা মাস্টারমশাই চেম্বার বা কোচিং সেন্টার খুললেন। পাড়ার ছেলেরা গিয়ে ধরলো, জল এনে দেয়া, ছোটখাটো ফাইফরমাশ খাটার কাজগুলো দুই ভাই করবে। এভাবেই তিনটি প্রাণীর ‘সংসার’ নামক প্রায় নিভন্ত চুল্লিটাতে আঁচ জুগিয়ে কোনক্রমে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। আর তিনুরাও তো অকৃতজ্ঞ নয়, রাতেবিরেতে যে কারো প্রয়োজনে ‘অলওয়েজ এ্যাট ইয়োর সার্ভিস’। ওদের ফোন নেই। তাই শার্শি ভাঙা জানলাটার সামনে গিয়ে একবার “তিনুপিনু!” বলে হাঁক দেয়ার ওয়াস্তা শুধু।

অনেকদিন হলো যাওয়া হয়নি ওদিকটায়। ফলে জানা হয়নি শার্সি ভাঙা জানলাটার ভেতরে দমচাপা দারিদ্র্যের ভ্যাপসা কটু গন্ধটা আজো একইরকম উৎকট আর তীব্র রয়েছে কিনা।

গন্ধটা পাই আমি। সোঁদা ঝাঁঝালো রক্ত আর খালি কার্তুজের খোলের গায়ে পুড়ে যাওয়া বারুদ আর কার্বনের গন্ধ। রাত দশটার পর কলেজ স্ট্রিট মোড়ে গেলে। প্রেসিডেন্সির ফুটে বইপাড়ার ঝাঁপ বন্ধ। কফিহাউসের ইনফিউশন বিপ্লবীরা ঘরমুখো অনেকক্ষণ। বইপাড়ার গা ঘেঁষে ভবানী দত্ত লেন। ৭০ দশক। এলাকার ছেলে বিধুদা। একটা এ্যাকশনে মারাত্মক জখম হয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাজির ডিডি আর এ্যান্টি নক্সালাইট স্কোয়াডের বাছা বাছা ঘাতকরা। জিজ্ঞাসাবাদের নামে অক্সিজেনের নল খুলে, ব্যান্ডেজ ছিঁড়ে ক্ষতস্থান খুঁচিয়ে দিয়ে চিরকালের মত বুজিয়ে দিয়েছিল স্বপ্নদর্শী চোখদুটোকে!

পাড়ায় বিধুদার ‘থ্রি কমরেডস’। অজয়দা, অনুপদা, শঙ্কুদা। খবরটা জানা ছিল না ওদের। পরদিন হাসপাতালে বিধুদাকে দেখতে এসেছিল তিনজন। অনেক আগে থেকেই গোটা হাসপাতাল চত্বর ঘিরে বসেছিল সাদা পোশাকের বিশাল ঘাতক বাহিনী। ঢোকামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়ে ভবানী দত্ত লেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনজনকে। দীর্ঘক্ষণ অত্যাচার চালিয়েও কারো মুখ থেকে একটিও কথা বার করতে না পেরে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছিল দেয়ালে। ‘থ্রাড!’ ‘থ্রাড!’ ছুটে আসা ঘাতকের বুলেট, ছিটকে যাওয়া খুলির টুকরো, রক্তে ভেসে যাওয়া ফুটপাত… ঘটনার পর কেটে গেছে আধ শতকেরও বেশি। রাত দশটার পর ভবানী দত্ত লেনের গলিটার মোড়ে গিয়ে দাঁড়ালে আজও গন্ধটা পাই আমি!

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

2 thoughts on “bibidho-oli-goli-choli-ram

  1. অসাধারণ। গন্ধগুলো যেন নাকে এসে ছুঁল। কলমে ছবি আঁকা যায়, গন্ধও বিতরণ করা সম্ভব, প্রমাণ পেলাম।
    নির্মাল্য কুমার মুখোপাধ্যায়

  2. অসামান্য কলম গন্ধ দিয়ে হৃদয় ছুঁলো ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *