binodan-family-man-2

ফ্যামিলি ম্যান ২: কিছু আলোচনা
ফিল্ম রিভিউ
স্বাতী চট্টোপাধ্যায় ভৌমিক



ওয়েব সিরিজ: ফ্যামিলি ম্যান ২ (আমাজন প্রাইম)
পরিচালক: রাজ নিদিমোরু, কৃষ্ণ ডিকে
অভিনয়ে: মনোজ বাজপেয়ী, প্রিয়মণি, শারিব হাশমি, সামান্থা আক্কিনেনি, শাহাব আলী, সানি হিন্দুজা, দেবদর্শিনী, দর্শন কুমার, আসিফ বসরা, উদয় মহেশ, সীমা বিশ্বাস, শরদ কেলকর, অশ্লেষা ঠাকুর, বেদান্ত সিনহা

পর্ব সংখ্যা:

প্রথম সিজনে একটুর জন্য হাত থেকে ফসকে যায় দুই আতঙ্কবাদী, দিল্লীকে বাঁচাতে পারে না শ্রীকান্ত। টাস্ক(TASC) অফিসার শ্রীকান্ত তিওয়ারি। দৈনন্দিন হাজারো সমস্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেও কর্তব্যের সঙ্গে আপোষ না করা সরকারি সিক্রেট এজেন্ট শ্রীকান্ত। একইসঙ্গে পরিবার ও পেশার চাপ সামলে প্রতিদিন তাকে লড়াই করতে হয় জীবনযুদ্ধে। কিন্তু তবু দিল্লীকে গ্যাস দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয় সে। প্রথম সিজন শেষ হয়েছিল সেই ব্যর্থতার রেশ নিয়েই। সাধারণত আতঙ্কবাদী বনাম সিক্রেট এজেন্টের লড়াইয়ে দর্শকের আসনে বসে আমরা সকলেই সত্যের জয় দেখতে চাই। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয় না সবসময়। হয়নি ‘ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের প্রথম সিজনেও। অথচ শুধুমাত্র শক্তিশালী চরিত্রের কারণে দর্শক প্রায় দুবছর ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছে। কী হলো এরপর? শেষের পরেও কি আর কোন শেষ ছিল? দিল্লীকে কি বাঁচাতে পেরেছিল শ্রীকান্ত, জেকে, মিলিন্দ, জোয়ারা? না পারেনি। দ্বিতীয় সিজনের শুরুতেই সে কথা স্পষ্ট হয়ে যায়। পারেনি শ্রীকান্ত তার দক্ষতা দিয়ে মুসা আর সাজিদের যৌথ ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে দিতে। আর তাই ব্যর্থতার দায় নিয়ে সে সরে গেছে টাস্ক থেকে। এখন শ্রীকান্ত এক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে একজিকিউটিভ লেভেলে দশটা ছটার ডিউটি করে আর পরিবারকে সময় দেয়। দ্বিতীয় সিজনের শুরু হয় শ্রীকান্তের এই নতুন অবতারকে দিয়েই। সে অফিসে প্রায় তার হাঁটুর বয়সী বসের কাছে বকুনি খায় আর বাড়িতে ছেলেমেয়েকে সামলাতে গিয়ে প্রতিদিন নাকানিচোবানি খায়। সূচীও চাকরি ছেড়ে দিয়েছে কোন এক অজানা কারণে। কিন্তু যে শ্রীকান্তের বাড়িতে সময় দিতে না পারার জন্য আফসোস ছিল এখন তা দিয়েও সে সকলের মন পায় কি? কোথায় যেন সমানে তাল কাটতে থাকে। টাস্কে থাকাকালীন প্রতিদিন ঘরে বাইরে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে মারাত্মক টেনশনের মধ্যেও শ্রীকান্তের জীবনে যে তৃপ্তি ছিল বর্তমানে তার আপাত শান্তির জীবনে সেই তৃপ্তি উধাও হয়ে গেছে। কিন্তু কতদিন? জেকের মুখে একটার পর একটা অপারেশনের ঘটনা শুনে ভেতরে ভেতরে ফুটতে থাকে শ্রীকান্ত। ছটফট করতে থাকে তার পুরোনো জীবনে ফিরে যাবার জন্য। অবশেষে একটা সময় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে সে। তাকে এখন টাস্কের প্রয়োজন। এরপর শুরু হয় একটার পর একটা চমকে দেবার মত অপারেশন আর একটু একটু করে মূল অপরাধীর দিকে শ্রীকান্তের এগিয়ে যাওয়া।

জুন মাসে যে সিরিজ এসে গেছে তা প্রায় সমস্ত ডিজিটাল দর্শকই এতদিনে দেখে ফেলেছেন। তাই গল্পের বিস্তারিত বিবরণ নিষ্প্রয়োজন। ভূমিকা ছেড়ে বরং আলোচনায় আসা যাক। ভারতীয় সিরিজের মধ্যে দর্শকের বিচারে অন্যতম সফল সিরিজ ‘ফ্যামিলি ম্যান’। ফিল্মফেয়ারের পক্ষ থেকে সেরা অভিনেতা(মনোজ) অভিনেত্রী(প্রিয়মণি) ও পরিচালকদ্বয়ের ক্রিটিক এওয়ার্ডও মিলেছে। দ্বিতীয় সিজনে তার সেরা হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে প্রচুর প্লাস পয়েন্ট ও কিছু মাইনাস পয়েন্ট নিয়ে আলোচনায় আসা যাক।

দ্বিতীয় সিজনে টাস্ক তথা দেশের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কার জঙ্গি সংগঠন এলটিটিইকে তুলে আনা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। যদিও কোথাওই আসল সংগঠনের নাম নেওয়া হয়নি তবু দর্শকের বুঝতে অসুবিধা হয় না কাদের কথা বলা হচ্ছে। এ দেশের রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তিদের মদতেই তাদের বেড়ে ওঠা এবং পরে চিরাচরিত বিশ্বাসভঙ্গের খেলায় ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে একসময় প্রতিশোধ নেওয়ার যে কাহিনী তা এর আগে কোন সিনেমা সিরিজে এত স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে বলে মনে পড়ে না। এছাড়াও দেশের শত্রু মানেই যে শুধু পাকিস্তান নয় সেটা ভারতীয় দর্শকের সামনে বহু আগেই উঠে আসা উচিত ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয় বলেই হয়তো গড়পড়তা পরিচালক ওর বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না। এখানেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই পরিচালক। এক কাল্পনিক কাহিনীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী পিএম বাসুকে দক্ষিণী গেরিলাদের টার্গেট হিসেবে দেখিয়ে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে করুণ ও ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছেন তারা।

এরপর আসি কাহিনীর মূল অ্যান্টাগনিস্ট চরিত্র হিসেবে রাজলক্ষ্মী বা রাজির কথায়। এলটিটিই জমানায় আমরা দেখেছি মহিলা জঙ্গিরা কতটা ভয়ঙ্কর ও নির্দয় হতে পারে। রাজি তেমনই একটি মেয়ে। যে তার ওপরে হওয়া অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে পারে যে কোন মূল্যে। থালাইভা বা লিডারের নির্দেশ মতো অপারেশনে সাফল্য আনতে প্রয়োজনে সে নিজেকে শূলে চড়াতেও দ্বিধা করে না। এমনকি নিষ্ঠুরতা ও দক্ষতায় সে যেন সাজিদকেও পিছনে ফেলে দেয়। অনেকে মনে করেন অভিনয়ের ক্ষেত্রে সংলাপই চরিত্রকে উজ্জ্বল করে তোলে। রাজির চরিত্রটি ঠিক এর উল্টো। নামমাত্র সংলাপ নিয়েও শুধু শারীরিক ক্ষিপ্রতা ও দৃষ্টি দিয়েই রাজি এই সিরিজের উজ্জ্বলতম চরিত্র হয়ে উঠেছে। আর রাজির সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছেন সামান্থা। প্রবল ধারালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক গেরিলা জঙ্গির চরিত্রে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আক্ষরিকভাবেই। যাঁরা দক্ষিণী ছবি দেখেন তাঁরা জানেন সামান্থাকে আগে কখনো এমন ভয়ঙ্কর চরিত্রে দেখা যায়নি। সম্ভবত এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনিও।

প্রথম সিজনে কিছুটা খটকা ছিল সিরিজের নামকরণ নিয়ে। যে কোন সিক্রেট এজেন্টেরই পারিবারিক জীবনে থাকে, আর তা সবসময় নিস্তরঙ্গ হবে এমন কোন কথা নেই। তাহলে এই বিশাল কর্মকান্ড নিয়ে তৈরি সিরিজের এমন ছাপোষা নাম কেন? দ্বিতীয় সিজন বলা বাহুল্য সেই খটকাকে সমূলে বিনাশ করেছে। শ্রীকান্ত সত্যিই সব অর্থে একজন ফ্যামিলি ম্যান। নাহলে সিক্রেট অপারেশনের মাঝপথে পরিবারের সমস্যায় মাথা ঘামাতে পারতো না সে। আবার সমস্যা আয়ত্বে চলে আসতেই ব্যক্তিগত আবেগকে সরিয়ে রেখে পেশাগত ব্যস্ততায় তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে দর্শক গর্বিত হয়, সিনেমাহল হলে নির্ঘাত হাততালি পড়তো।

সিরিজ দেখে অনেকেই বলেছেন আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারে অকারণেই দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে গল্পের প্লট। তবে গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রদের মুখে তামিল সংলাপ এই সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ বলে আমার মনে হয়। যেখানে কাহিনীর মূল কুশীলব ভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ তখন তারা নিজেদের মধ্যে কেন হিন্দী বলবে? যদিও চিরাচরিত বলিউডি ধারা মেনে ভারতীয় নায়ক নায়িকারা আইসল্যান্ড থেকে আফ্রিকা সর্বত্রই হিন্দী বলে থাকেন, এবং বাকিদের দিয়েও বলিয়ে নেন বটে, তবে তা এই ২০২১ এ বসে হজম করা রীতিমতো কঠিন। চরিত্রের প্রয়োজনে অজানা ভাষা আসতেই পারে, সাবটাইটেল অনুসরণ করে সিনেমা সিরিজ দেখা আজ আর কোন নতুন ব্যাপার নয়। সারা বিশ্ব এখন প্রযুক্তির কল্যাণে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিনদেশের সিনেমা সিরিজ দেখতে অভ্যস্ত। এমনকি মধ্যবিত্ত বাঙালিও, আজ স্প্যানিশ কাল জার্মান তো পরশু কোরিয়ান বা মধ্যপ্রাচ্যের কোন ভাষার সিরিজ দেখছেন সাবটাইটেলের সাহায্যে। সেখানে তামিল তো ভারতীয় ভাষা। বরং তামিলের ব্যবহার সিরিজকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

সূচী, শ্রীকান্তের স্ত্রী, যেমনই হোন (চরিত্রটির প্রতি প্রচুর মানুষের মনে ঘৃণা তৈরি হয়েছে) তিনিই কিন্তু এই সিরিজের ব্যালেন্সকে ধরে রেখেছেন। সূচীর চরিত্রটি ছাড়া শ্রীকান্তের মহান হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল না। আর এমনও নয় যে স্বামী সিক্রেট এজেন্ট বলেই স্ত্রীকে সারাক্ষণ সব মানিয়ে গুছিয়ে নিয়ে চলতে হবে। বরং সূচির জীবনে অন্য পুরুষ আসার কারণ হিসেবেও শ্রীকান্তের ব্যস্ততা ও স্ত্রীকে বুঝতে না পারাই অনেকখানি দায়ী। বাকি রইল সন্তানদের প্রতি অবহেলা, সেটা কিছু জায়গায় অবাক করেছে নিঃসন্দেহে। ভারতীয় মায়েরা সাধারণত এতটা নির্লিপ্ত হন না। তবে ব্যতিক্রম তো থাকেই। দুটি সিজন মিলিয়ে প্রিয়মণি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সূচীকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর সংযমী অভিনয় এই সিরিজের সম্পদ।

শেষ করার আগে ছোটখাটো কিছু অসঙ্গতির কথা বলি। এক, পুলিশে চাকরি করলে ফরম্যালিনের গন্ধ না চেনার কথা নয়। অথচ মহিলা অফিসার সেই গন্ধ পেয়েও বুঝলেন না কিছুই। আর প্রমাণ নষ্টের জন্য রাজি বিভিন্ন জায়গায় লাশের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিল। এত কম সময়ে সবকটি টুকরো খুঁজে পেয়ে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে সবটা বুঝে ফেলা বেশ অস্বাভাবিক লাগে। সামান্য মিসিং কেসে পুলিশ এত তৎপর হলে দেশে ক্রাইম বলে কিছু থাকতই না এতদিনে।

দুই, গল্পের মাঝে যখন তখন দেবদূতের মতো চেল্লামের আবির্ভাব একটু অস্বাভাবিক লাগে। যা টাস্কের ইন্টালিজেন্স এত ডেটা অ্যানালিসিস করেও খুঁজে বার করতে পারে না তাই চেল্লাম জানেন বাজার করতে করতেও! অতিমানবীয় হবার একটা সীমা থাকা দরকার।

তিন, জেকে চরিত্রটির সঙ্গে পরিচালকরা কিছুটা অবিচারই করেছেন বলে আমার মনে হয়েছে। শ্রীকান্তের পরে টাস্কের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অফিসার সে। অথচ আগাগোড়া চরিত্রটিকে দুর্বল ও ভীতু হিসেবে দেখানো হলো। সিক্রেট এজেন্ট হতে গেলে যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা লাগে তা না থাকলে তো জেকে আজ এই জায়গায় থাকতোই না। এমনকি জেকের সঙ্গে মহিলা অফিসারের রোমান্টিক অ্যাঙ্গেল দেখাতে গিয়েও যথেষ্ট কার্পণ্য করেছেন নির্মাতারা। জেকের চরিত্রে শারিবের অভিনয় দুই সিজনেই মুগ্ধ করেছে।

এছাড়া চার, অরবিন্দ চরিত্রে শরদের মতো অভিনেতাকে আনার কী প্রয়োজন ছিল তা বোধগম্য হয়নি। এর চেয়ে অনেক বড় চরিত্র করার যোগ্যতা শরদের রয়েছে এ কথা সকলেই মানবেন।

তবে সামান্য কিছু দুর্বলতা থাকলেও সেগুলোকে আপাতত সরিয়ে রাখাই ভালো। এত বড় একটা সিরিজে টুকটাক কিছু দুর্বলতা থাকবে না এমন তো হতে পারে না। তবে যা নিয়ে কোথাওই অভিযোগ চলে না তা হলো সমগ্র সিরিজে সকলের অভিনয়। প্রবীণ প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে সীমার থেকে শুরু করে ছোট্ট অথর্বরূপে বেদান্ত ও কিশোরী ধৃতির চরিত্রে অশ্লেষা প্রত্যেকেই হুবহু চরিত্র হয়ে উঠেছেন যেন। আর সকলের ওপরে অবশ্যই থাকবেন মনোজ। তাঁর তুখোড় দৃষ্টি ও সহজ স্বাভাবিক অভিব্যক্তি শ্রীকান্ত চরিত্রটিকে ভারতীয় সিরিজের জগতে অচিরেই অমর করে তুলবে। সেই ১৯৯৪ তে ‘দ্রোহকাল’ দিয়ে শুরু করে দীর্ঘ সাতাশ বছর ধরে প্রতিটি চরিত্রে নিজের দক্ষতা বার বার প্রমাণ করেছেন মনোজ। তবু আজও হিন্দী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সেভাবে ব্যবহারই করলো না। ‘ফ্যামিলি ম্যান’ নিঃসন্দেহে অভিনেতার ভেতরে জমে থাকা সেই খিদে মিটিয়ে দিয়েছে। মনোবিদের চরিত্রে জীবনের শেষ অভিনয়েও ছাপ রেখে গেছেন অভিজ্ঞ চরিত্রাভিনেতা আসিফ বসরা।

গল্প, স্ক্রিপ্ট, অভিনয় ছাড়া টেকনিক্যাল দিক থেকেও ‘ফ্যামিলি ম্যান ২’ কৃতিত্বের দাবিদার। প্রায় সমস্ত দৃশ্যই রিয়েল লোকেশনে শুট হওয়ার কারণে বাস্তবের একটুকরো ছবিই উঠে এসেছে সিনেমাটোগ্রাফারের হাত ধরে। নটি এপিসোড ধরে টানটান গল্পের গতি বলে দেয় সম্পাদনায় কোন ফাঁক রাখা হয়নি। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরও সিরিজের সঙ্গে মানানসই। শেষ এপিসোডে আগামী সিজনের আভাস দিয়ে দর্শকদের আবারও ভাবনার খোরাক দিয়েছেন পরিচালকরা। উত্তর পূর্ব ভারতের উগ্রবাদী কার্যকলাপ নিয়ে যদি আগামী সিজন আসে তাহলে সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূমিকা থাকবেই বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই পরবর্তী সিজনের জন্য প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা দুই-ই রইল।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *