binodan-smritir-studiopara-part-12

স্মৃতির স্টুডিওপাড়া — ‘একটাই শর্ত কোনও কিছুতে নাক গলাতে দেব না’
স্টুডিওপাড়া
প্রিয়ব্রত দত্ত

গত পর্বে আশির দশকের সফল পরিচালকদের মধ্যে বীরেশ চ্যাটার্জির নামটা উল্লেখ করিনি। অপারবাংলা তথা স্টুডিও পাড়ার স্মৃতিকথা’র নিয়মিত পাঠকের মধ্যে অনেকেই আমার এই বিস্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আশি ও নব্বইয়ের দশকের অত্যন্ত মননশীল এই পরিচালকের কথা আলাদা করে লিখব বলেই বাকিদের সঙ্গে এক পঙক্তিতে রাখিনি বীরেশদাকে।

হিন্দি সিনেমার প্রখ্যাত পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের একদা সহকারী বাংলায় ছবি করতে শুরু করেন নিজস্ব ঘরানা তৈরি করবেন বলেই, এবং তা গুরু হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। এমন নম্র, ভদ্র, মৃদুভাষী সিনেমা ব্যক্তিত্ব টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ায় বিরল। আমি নিজে এমন মানুষ দ্বিতীয়টি দেখিনি।

একমাথা ঘাড় পর্যন্ত নেমে আসা অবিনস্ত চুল। এক মুখ দাড়ি। চোখে মোটা ফ্রেমের চৌকো চশমা। পরনে সাদা মাটা প্যান্ট-শার্ট। পায়ে চপ্পল। এই হল বাইরের বীরেশদা। যেখানে গ্ল্যামারের ‘গ’ নেই। ভেতরের বীরেশ চ্যাটার্জি ছিলেন স্নেহপ্রবন, অক্লান্ত পড়ুয়া, বিপুল জ্ঞানের ভাণ্ডার অথচ গরিমাহীন এক ব্যক্তিত্ব।

প্রেসিডেন্সির এই প্রাক্তনীর সঙ্গে আমার আলাপ ধারাবাহিক ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’-এর সেটে। ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ নিয়ে তিনি ছবিও করেছিলেন আবার ধারাবাহিকও করেছিলেন। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন অপর্ণা সেন, মৌসুমী চ্যাটার্জি, তাপস পালের মতো তৎকালীন তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ধারাবাহিকটা শুরু করেছিলেন ই টিভি বাংলার জন্য। তবে সেটা অজ্ঞাত কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।

তাঁর কেরিয়ার গ্রাফের দিকে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ‘মোহনার দিকে’তে বীরেশ চ্যাটার্জি যেমন অপর্ণা সেনকে তাঁর পুরনো সাম্রাজ্য ফিরিয়ে দিচ্ছেন, তেমনই ‘নীলিমায় নীল’ ছবিতে ইন্দ্রাণী হালদারকে নিয়ে আসছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। আবার জিৎ- এর জন্ম হচ্ছে বীরেশদার আঁতুড়ঘরেই। আসলে বীরেশদা হলেন অভিনেতা তৈরির কারিগর। ‘একান্ত আপন’, ‘সাথীহারা’, ‘পতি পরম গুরু’ ছবির নামের তালিকা দেখলেই বোঝা যায়, কোনও একটা বিশেষ জনারে বাঁধা পড়তে চাননি উনি।

বিমল মিত্রর কালজয়ী উপন্যাস ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ নিয়ে সিনেমা করার পরও আবার একই উপন্যাস নিয়ে ধারাবাহিক তৈরির উদ্দেশ্য জানতেই বীরেশ চ্যাটার্জির শুটিং ফ্লোরে পা রাখা।

প্রথমদিকে ফ্লোরের মধ্যে ওঁকে তো ঠাহরই করতে পারছিলাম না। এত আটপৌরে একজন মানুষ। মনিটরের সামনে বসে মৃদু কণ্ঠে ‘অ্যাকশন’ বলাতে বুঝতে পারলাম উনিই বীরেশ চ্যাটার্জি। দেখতে নিরিহ বলেই জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনিই বীরেশ চ্যাটার্জি?’

হালকা হেসে বুকের কাছে দুহাত জোড় করে বললেন, ‘এই ব্যাপারে আমার তো কোনও সন্দেহ নেই।‘

বীরেশদার প্রায় প্রতিটি ছবির কাহিনি চিত্রনাট্য ওঁরই লেখা। সেখানে যেমন থাকে মধ্যবিত্ত জীবনের সহজ, সরল সমীকরণ, আবার সামঞ্জস্য রেখে সাহসী ঘটনা ও দৃশ্যের জোর। সহজ ভাষায় গল্প বলেন অনেকটা গুরু হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের মতো।

তবুও বীরেশদার বরাবরের ইচ্ছা বাংলার বিপুল সাহিত্য সম্ভার থেকে সিনেমা তৈরির। ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ তার উজ্জ্বল উদাহরণ। বললেন, ‘সিনেমার পরিসর কম। অত বড় উপন্যাসের অনেক অংশই বাদ দিতে হয়েছিল। প্রতিটি পাতায় নাটকীয়তায় ভরা উপন্যাসটিকে নিয়ে তাই ধারাবাহিক বানানোর পরিকল্পনা করেছি।‘ উত্তরের মধ্যে নতুন কোনও চমক নেই। এটাই স্বাভাবিক।

এখনকার মতো তখন সোম থেকে রবি, সপ্তাহে সাতদিনের এপিসোড জমা দেবার চাপ ছিল না। তবে মেগা সিরিয়াল নামক ‘ডেইলি সোপ’-এর আগমন ঘটে গেছে। ই-টিভিও হায়দরাবাদ ছেড়ে আঞ্চলিক ভাষার সিরিয়াল স্থানীয় অঞ্চলেই শুটিং-এর আয়োজন করতে শুরু করেছে। বোকাবাক্সের সোম থেকে শুক্রবারের সান্ধ্য বিনোদনে বীরেশদা নাম লেখালেও তাঁর এপিসোড তৈরির পুরো প্রসেসটাই ছিল সিনেমার মতো। ক্যামেরাকে খুঁটির মতো পুঁতে তিন সাড়ে তিন মিনিটের লম্বা শট নিতেন না। তাঁর ক্যামেরা ও চরিত্র বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে নাটকীয় দৃশ্য ও মুহূর্ত তৈরি করত। সম্ভবত এত ডিটেলে কাজ করার জন্যই ধারাবাহিক কড়ি দিয়ে কিনলাম ছোটপর্দায় বেশিদিন টানতে পারেনি।


বীরেশ চ্যাটার্জি মানুষটাকে খুব ভালো লেগে গেল। অন্য কাজ না থাকলে ওঁর ফ্লোরে গিয়ে শুটিং দেখতাম। আমাকে দেখতে পেলে একটু মুচকি হাসতেন। ব্যস। ওই পর্যন্তই।

একদিন, লাঞ্চ ব্রেক চলছে। উঁকি দিয়ে দেখি ফ্লোর ফাঁকা। এক কোণে মনিটরের সামনে বীরেশদা এক মনে স্ক্রিপ্টের পাতা ওল্টাচ্ছেন, টুকটাক লিখছেন। পাশে গিয়ে দাঁড়াতে ইশারায় বসতে বললেন।

পাতার দিকে তাকিয়েই প্রশ্ন করলেন, ‘এখন কি পড়ছেন?’ উনি সবাইকে ‘আপনি’ বলেই সম্বোধন করেন। খুব কম অভিনেতা, কলাকুশলীকে বীরেশদাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করতে শুনেছি। যাইহোক, আচমকা এমন প্রশ্নে হকচকিয়ে গেলাম। ‘মানে… আমি তো এখন কিছু পড়ছি না। কলেজ, ইউনিভার্সিটি তো… ‘

‘না… না… আমি সে কথা বলছি না… বাংলা সাহিত্য টাহিত্য পড়ার সময় হয়?’ মুখ তুলে মৃদু কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন বীরেশদা।

বললাম, ‘বুদ্ধদেব গুহর ‘মাধুকরী’ পড়ছি।‘

‘বাঃ…’ আমার কাঁধ আর পিঠের মাঝামাঝি বাঁ হাতটা রেখে বললেন, ‘দুর্দান্ত লেখা। আমার খুব ইচ্ছে উপন্যাসটাকে নিয়ে সিরিয়াল করার।‘

‘সেন্সর বোর্ড আপনাকে পারমিশন দেবে?’

‘লালাদাও (বুদ্ধদেব গুহ) আমাকে হাসতে হাসতে একই কথা বলেছেন। ‘মাধুকরী’ নিয়ে নাকি সিরিয়াল, সিনেমা কিছুই করা যাবে না।‘ বীরেশদার মুখে হাসি। ‘দেখে মনে হচ্ছে আপনি সাহিত্যের ছাত্র। সুবোধ ঘোষ, সতীনাথ ভাদুড়ি, সমরেশ বসুদের ছোটগল্প পড়া আছে নিশ্চয়ই।‘ প্রশ্ন নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন বীরেশদা।

বললাম, ‘নিয়মিত পড়া হয় না। অনার্স পড়ার সময় এঁদের প্রত্যেকের লেখা পড়তে হয়েছে।‘

‘আপনাদের সিলেবাসে তো ‘আদাব’, ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’… এইসব গল্পগুলো ছিল?’ বীরেশদাকে কথায় পেয়েছে।

আমি পেলাম ভয়! বিপজ্জনক মানুষ। আমার জ্ঞানের ভাণ্ডার খুবই সীমিত। বেশি কেতা মারতে গেলে বিপদে পড়তে হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের সিলেবাস পর্যন্ত জানেন!

বললেন, ‘আপনাদের ছোটগল্পের যে টেক্সটটা আছে, সেটার প্রতিটি গল্প নিয়ে সিরিয়াল করতে ইচ্ছে করে। কেমন হবে?’

মুখে বললাম, ‘দারুণ হবে। খুব ভালো ভেবেছেন তো। একসঙ্গে সব বাছাই গল্প।‘ মন বলছে, ‘যাক, আজকের দিনটা বেকার যায়নি। এটাই তো খবর!’

‘আমি তো আদাব- এর স্ক্রিপ্টও প্রায় রেডি করে ফেলেছি। এখন প্রোডিউস করবে কে সেটাই ব্যাপার।‘ উঠে পড়লেন বীরেশদা। লাঞ্চ ব্রেক শেষ। কলাকুশলীরা একে একে ফ্লোরে ঢুকছেন।

‘পাঠ্য বইয়ের ছোটগল্প নিয়ে সিরিজ তৈরি করছেন বীরেশ’ – এমন একটা শিরোনামে খবরটা ছেপে বেরিয়ে গেল। সপ্তাহখানেক পর বীরেশদার সঙ্গে দেখা ইটিভি’রই একটা সান্ধ্য জমায়েতে। আমাকে দেখেই বীরেশদা মৃদু হেসে বললেন, ‘আপনি তো বিপজ্জনক লোক মশাই। ভাবছি বললাম। আপনি সেটাকে…’। ‘বীরেশ চ্যাটার্জির মতো সুপারহিট ডিরেক্টর ভাবলেই খবর। লোভ সামলাতে পারিনি দাদা।‘ বীরেশদাকে থামিয়ে হেসে জবাব দিলাম। ‘তবে আপনার স্পিরিটের তারিফ করছি। খবর তো এভাবেই বানাতে হয়। কিছুটা সত্যি, কিছুটা সম্ভাবনা।‘ কাঁধে হাত রেখে বললেন বীরেশদা। আমার কথাটা খুব ভালো লাগলো, ‘কিছুটা সত্যি, কিছুটা সম্ভাবনা’। এটাই তো ফিল্ম জার্নালিজমের ইউএসপি।


সুভদ্র, মুখচোরা বীরেশদা বক্স অফিসের চড়াই উতরাই নিয়ে খুব একটা বেশি মাথা ঘামাননি কোনওদিন। নির্বিরোধ, নির্ঝঞ্ঝাট, আপনভোলা মানুষটি মেতে থাকতেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সুস্থ, পারিবারিক বিনোদনই ছিল ওঁর লক্ষ্য। নিজের সৃষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি ছিলেন না বলেই একটা স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করেও কেউকেটা হয়ে ওঠার চেষ্টা করলেন না কখনও।

দ্রুত সময় বদলাচ্ছিল। বাংলা সিনেমার সাবেক রীতি পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করল কর্পোরেট দুনিয়ার অঙ্গুলি হেলনে। ধীরে ধীরে আসর থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করল ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থাগুলো। সিরিয়ালের ফ্লোর থেকে জমি হারাতে শুরু করলেন পরিচালকরা। তাঁদের ঘাড়ে, মাথায়, পিছনে, আগায় লেলিয়ে দেওয়া হল এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার সংক্ষেপে ইপি নামক এক সবজান্তা মোড়ল জাতীয় একশ্রেণির জীবকে। কর্পোরেট কালচারে জারিত এই কুশীলবরা সর্বত্র নাক গলাতে শুরু করল। সর্বপ্রথম ধাক্কা খেলেন আত্মাভিমানী পরিচালককুল। স্ক্রিপ্ট থেকে শট ডিভিশন, আর্টিস্ট নির্বাচন থেকে ফিল্ম প্রমোশন সবেতেই হস্তক্ষেপের দরুন সম্মান সচেতন পরিচালকেরা ধীরে ধীরে সরে যেতে শুরু করলেন। এই কর্পোরেট কেষ্টবিষ্টুদের একটাই স্লোগান, পয়সা আমার, ব্যবসা আমার, লাভ-ক্ষতি আমার, সুতরাং আমার ইচ্ছাই শিরোধার্য। ছবির শেষ বা শুরু কিভাবে হবে, সেটা আমিই নির্ধারণ করব।

ফলে হাত গুটিয়ে নিতে থাকলেন তরুন মজুমদার, তপন সিংহ থেকে শুরু করে অঞ্জন চৌধুরি, স্বপন সাহা, প্রভাত রায়, বীরেশ চ্যাটার্জির মতো একদা বক্স অফিসে বাজিমাত করা পরিচালকেরা।

এটা গেল একদিক, অন্যদিকে শুরু হল দক্ষিণী ছবির নির্লজ্জ কপি। একদা বাংলা ছবির অনুসরণে আর অনুকরণে হিন্দি বা অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় ছবি তৈরি হয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে ছবিটা গেল উল্টে। এক বিশেষ শ্রেণির প্রযোজনা সংস্থা, যাদের অরিজিন দক্ষিণ ভারত, তারা তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বাংলা ছবি ও ধারাবাহিকে সুকৌশলে মিশিয়ে দিতে থাকলেন। আজকে যা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। এহেন সাংস্কৃতিক সংঘাতের শুরু সেই সময় থেকে।

আজ বাংলা ছবির দর্শককে কিভাবে হলমুখো করানো যায় সেই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। খোঁজ চলছে বিকল্প পথের। প্রায়ই শোনা যায় একটা স্লোগান, বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান। গোড়াটা বহুদিন আগেই কেটে ফেলা হয়েছে। পাশে আর দাঁড়াবে কী করে? অথচ সাফল্যের সমস্ত রেসিপি নিয়ে আজও পথের দিকে চেয়ে বসে আছেন বীরেশ চ্যাটার্জির মতো স্বপ্নদর্শী পরিচালকরা। তখন টেকনোলজি ছিল না, ওঁরা গল্প বলার টেকনিকটা জানতেন। এত প্রচার আর প্রাচুর্য ছিল না, তবুও হল ভরিয়ে দিতে পারতেন। দর্শক দেখল কী দেখল না, এখন পঁচিশ দিন ছবি চললেই সাকসেস পার্টি। তখন পঁচিশ সপ্তাহ যে কোনও ছবির ন্যূনতম গড় আয়ু।

বীরেশদার সঙ্গে দেখা হল প্রিয়া সিনেমা হলে। অনেকদিন পর। কৌশিক গাঙ্গুলির ‘লক্ষ্মী ছেলে’র প্রিমিয়ারে। মুখে মৃদু হাসি। বুকে টেনে নিলেন। বললাম, ‘আর ছবি করবেন না?’ হালকা হেসে বললেন, ‘কেন করব না। একজন প্রডিউসার দেখে দিন। স্ক্রিপ্ট রেডি। একটাই শর্ত কোনও কিছুতে নাক গলাতে দেব না।‘ চশমার পুরু লেন্সের ওপারে সেই দীপ্তিময় চাহনির দিকে চোখ আটকে গেল। সেই দৃষ্টিতে সমঝোতাহীন এক সৃষ্টিশীল মানুষের আকুতি। বয়স হয়েছে তবুও সিনেমার তারুণ্য যায়নি। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী পড়ছেন এখন?’ বললাম, ‘শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কুবেরের বিষয়আশয়।‘ ‘বেশ। একদিন আসুন না বাড়িতে। নতুন স্ক্রিপ্টটা শোনাবো। আচ্ছা, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী আপনার কেমন লাগছে। আমার তো ওঁর প্রথম উপন্যাস ‘ঝরা পাতার দিনগুলো’ নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছে করছে।‘

বুঝলাম ভালো সাহিত্যের টানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হাতড়ে বেড়ানোর অভ্যাসটা বীরেশদার যায়নি। এখনও তাল সোনা খুঁজে চলেছেন অলঙ্কার বানাবার স্বপ্ন নিয়ে। কারণ, বীরেশদাদের মতো পরিচালকরা আজও মনে করেন বক্স অফিসে লক্ষ্মীর বসত সাহিত্যের সারস্বত সহাবস্থানে।

আর, আশ্চর্য বাংলা ছবির বক্স বোদ্ধারা পর্দায় একজন গল্পকারের সন্ধানে মাথা খুঁড়ে মরছেন।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *