micro-story-cheleti-ebong-meyeti

ছেলেটি এবং মেয়েটি
তপন রায়চৌধুরী


রাস্তার ওপারেই “আকাশছোঁয়া” আবাসন। আমি থাকি রাস্তার এপারে “বন্ধু” আবাসনে, “আকাশছোঁয়া”র ঠিক উলটোদিকে। তিনতলায়। প্রত্যেকদিন সকাল সাতটায় দেখি, “আকাশছোঁয়া”র গেটের সামনে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে আসে হেঁটে। ছেলেটি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। মেয়েটি ভেতরে ঢুকে যায়, যেতে যেতে বেশ কয়েকবার পেছন ফিরে তাকায় ছেলেটির দিকে, হেসে হাত নাড়ে, ছেলেটিও হাত নাড়ে। মেয়েটি ঢুকে যায় ভেতরে। ছেলেটি চলে যায়।

দু’মাস পর একদিন।

সকাল ঠিক সাতটায় ছেলেটি এল সাইকেলে চেপে মেয়েটিকে নিয়ে। ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকে গেটের সামনে। মেয়েটি ঢুকে যায় ভেতরে। সামনে যেতে যেতে পেছন ফিরে বেশ কয়েকবার তাকায় ছেলেটির দিকে, হেসে হাত নাড়ে, ছেলেটিও হাত নাড়ে। মেয়েটি ঢুকে যায় ভেতরে। ছেলেটি চলে যায়।

তিন মাস পর একদিন।

সকাল ঠিক সাতটায় ছেলেটি এল মেয়েটিকে নিয়ে। এবার বাইকে চেপে। আজ ছেলেটি আর মেয়েটি খুব সেজেছে। দুজনেই বেশ খুশি খুশি। ছেলেটি যথারীতি দাঁড়িয়ে থাকে গেটের সামনে। মেয়েটি ঢুকে যায় ভেতরে। সামনে যেতে যেতে পেছন ফিরে বেশ কয়েকবার তাকায় ছেলেটির দিকে, হেসে হাত নাড়ে, ছেলেটিও হাত নাড়ে। মেয়েটি ঢুকে যায় ভেতরে। ছেলেটি দাঁড়িয়েই থাকে।

পাঁচ মিনিট বাদেই মেয়েটি চলে আসে গেটের সামনে। তারপর খলখল করে হাসতে হাসতে বাইকে চেপে দুজনেই উধাও।

সেদিনের পর আর দেখা যায়নি ছেলেটিকে এবং মেয়েটিকে।

মেয়েটি কাজ করত “আকাশছোঁয়া” আবাসনের চারটি ফ্ল্যাটে।

 
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

9 thoughts on “micro-story-cheleti-ebong-meyeti

  1. ‘উধাও’ শব্দটা আগে থেকে চলতে থাকা মিষ্টি প্রেমের মোলায়েম ভাবটা নষ্ট করে দিল। শেষ লাইনের ধাক্কাটা আগেই এনে দিল। বাদবাকি সুন্দর লেখা।

Leave a Reply to Sutapa Biswas Ghosh Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *