তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
এক উঠোন রোদ্দুরে গা ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিলে তুমি,
চিনতে পারিনি দূর থেকে। কতদিন পর দেখা! এর মধ্যে
কতগুলো বর্ষার জল সেই উঠোনের উপর দিয়ে গড়িয়ে গেছে,
কতবার কাদায় পা পিছলে পড়তে পড়তে সামলে নিয়েছে কত জন,
শেষে একটু দূরে দূরে ইট পেতে পেতে পেরতে হয়েছে খুবই সন্তর্পণে।
এখন শরত হেমন্ত পেরিয়ে রোদ্দুর যেন পাখির বুকের মতো নরম,
বিকেলগুলো ভালো লাগা গল্পের মতো দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
এমন কোন বিকেলবেলায় অকস্মাৎ তুমি এখানে আসবে
এর চেয়ে ভালো খবর বহুদিন কেউ দেয়নি আমায়,
স্বপ্নের ভিতর এই তোমাকে আমি দেখিনি তো!
তাই মনে হলো যেন পাথরের মতো অবিচল যে নির্লিপ্ত সময়
সেও নিঃশব্দে ভেঙে গেল। শেষ বিকেলের আলোটুকু
তোমার আঁচল ধরে দরজা পর্যন্ত চলে আসতেই
কবেকার পুরনো দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে
কিছু ঝরে পড়লো সবজান্তা বারান্দায়।
বললাম, এই নাও, খুলে দিচ্ছি স্মৃতির তোরঙ্গ
সুখ দুঃখ অভিমান যা আছে পায়রার মতো উড়ে যাক।
জানি, তোমার পায়ের নিচে অনুগত পথ তোমাকে জানিয়ে
তবে মোড় নেয়, সোজা কিম্বা আঁকাবাঁকা হয়। আমার উঠোনও
দেখি তোমার গন্তব্য জানে, তোমার ইশারার জন্য বুক পেতে ছিল।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
খুব ভাল লাগল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
খুব মনোরম কবিতা।
valobasa janacchi
চমৎকার।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা