তূনীরে মরা কেউটের মতো ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে মাটিতে ডুবে যাচ্ছে রথের চাকা….
ধূলিমেঘে ছেঁড়া বিকেলের রক্তরাঙা আলো,
লিখে রাখছে সন্ধের আত্মসমর্পণ
আর কত কতবার তুমি আমাকে জন্ম দিয়ে ভাসাবে এই লবণাক্ত নগরে !
একদিন হাওড়াব্রিজের উপর শুকতলা ক্ষয়ে যাওয়া আমার রণক্লান্ত জুতো জোড়া
খুঁজে পেয়েছিল তোমার অপ্রস্তুত সকাল
কিংবা, একদিন মেট্রোস্টেশনের আলো – আঁধারিতে
তোমার অমৃত পান করবো বলে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফালাম
ঠিক তার পরের দিনই এক থালা ভাতের উষ্ণতা থেকে আমাকে
দু’আঙুলে করে তুলে রাখলে…. আর, আমি শীতের শিমুল গাছটিতে বসে
লাল ওড়না বুকে নেওয়া সেই উড়ন্ত টিয়াকে দেখলাম
যার ডানার ভেতরে প্রতিটি পুরুষ বনজ হয়ে ওঠে,
তারপর সিঁড়ি…. একটার পর একটা….একটার পর একটা….
শুনেছি, সূর্যাস্ত্রের পর আর যুদ্ধ চলে না, শ্বাসহীন প্রান্তরে সাদা জ্যোৎস্না ওড়ে
অথচ, দ্যাখো, তখনও আমি তৈলাক্ত বাঁশে সেই বাঁদরের ওঠা নামার হিসেব কষছি….
অনেক রাতে এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর বিপরীত প্রান্ত থেকে চৌকাঠ পেরিয়ে
বাবা আসে
মহাশূন্যের এক অদ্ভুত অন্ধকার পথে আমাকে নিয়ে যায় আস্তাবলে
একটা কালো ঘোড়ার রাশ বাবা নিজের হাতে নিয়ে আমার হাতে ধরতে শেখাচ্ছে….
পারছি না আমি, কিছুতেই পারছি না….আজকাল যেখানেই হাত রাখি সব যেন ছায়া
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন