মৌমন মিত্র
শুনেছি বালি ও চিতাবাঘিনীর ঘর্ষণে
আয়নার মিশকালো চোখ তৈরি হয়। প্রত্যাশার পাপড়ি জন্ম নেয়।
অতঃপর আস্তে আস্তে নীরব হয়ে ওঠে প্রথম পৃষ্ঠার দৃশ্য-কাব্য
সেসব লেখার কিছু অর্থ ভুল হতে-হতে
গর্ভবতী তারার চতুর্দিক ঘিরে ধরে চাঁদের গুঁড়ো গুঁড়ো মলিন কোষ
জিভে চেটেছ তার কৃষ্ণবর্ণ, অথবা তার পাহাড়ি উঠোনের চাতাল?
কেটলিতে টিকোজির নীলাম্বর নকশায় বুঁদ হয়েছিল থকথকে মগজ
আজ তার আতরে লিপ্ত ভরা হ্যাভারস্যাকটি ভিজে গেছে কখন
দিনে এবং সন্ধ্যায় অপেক্ষা মিশে জটিল বা মসৃণ হচ্ছে কচ্ছপের ত্বক।
বাঁ-গলির যত উড়ন্ত হোর্ডিং তার বিস্মিত কথা পড়তে পারে।
তাকেও এখন আর-একটি মিথ্যুক বালিপ্রবাহের মতোই দেখায়
প্রিয় শরৎ ভেলার পেঁজা দাগ নয়, যেন কিছুতেই মেলে না এ-আবরণ
একদিন এমনসব ঘোর ঘন হয় মেঘলা পিটার ক্যাটের কাচের ভেতর
ক্রাচে তখন কবিতাবাহু ঠুসে আমি পূর্ণিমার আকৃতি গ্রহণ করছি
তারপর-ও নৈশ মেট্রো শহরের ঈষৎ বাঁকা তর্জনী ছুঁয়ে
অপলক অপেক্ষা করতে থাকে ভ্রু-দুটি।মাঝরাত্তির তাকে জানে।
কবেকার এসব চেনা মৃত ছায়ার নষ্ট প্রেত মনে রাখতে শিখে গেছি
যদিও ভাবি ডায়েলটোনের ভুলে থাকা ললিত সুরের ছন্দে
গভীর গভীর জ্ঞানে অজ্ঞানে…কেন যে সেদিন সতর্ক করলে না!
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন