শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
মধ্যরাতে আজকাল প্রায়ই কে যেন ছড় টানে
তার বেহালার ভেতর থেকে মফস্বলের জোয়ারশব্দ এসে
শহর ভাসিয়ে নিয়ে যায়
সমুদ্রের দিকে নয়,
পাহাড়ের আর্ত প্রাজ্ঞী শীতল ব্যথার দিকে
কেন এই বিপরীতে যাওয়া?
প্রশ্ন করব ভেবে বাদকের সুরচিহ্ন খুঁজি
নিজেদের পাড়া ছেড়ে ভীতু শশকের কৌতূহলে
ঢুকে পড়ি পুরনো পাড়ায়
অরুণা মাসির বাড়ি, উইঢিবি হয়ে আসা কৃশ রান্নাঘর
পার হয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়াই
বাতিল বাড়ির খাটে
নিজেও বাতিল হওয়া অরুণা ভাদুড়ি
অন্ধ স্নেহের রাজ্যে মিথ হয়ে বসেছেন, একা
তাঁর হৃদয় অশ্রুখোদিত রৌপ্যফলক
ধীর লয়ে ভেঙে পড়ছে,
ক্ষত বেজে উঠছে থেকে থেকে
জ্যোৎস্নাপ্রান্তর ভেবে যেদিকেই দৃষ্টি ফেরাই
দেখি, অগুনতি রৌপ্যফলক
বিক্ষিপ্ত, দলিত হয়ে পড়ে আছে মৃত চন্দ্রালোকে
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
‘প্রশ্ন করব ভেবে বাদকের সুরচিহ্ন খুঁজি’
আহ্ ,কী অপূর্ব পঙ্ ক্তি ! খুব ভালো লেগেছে ‘বেহালা’ কবিতাটি ৷
শ্রদ্ধা জানবেন দাদা
একটা আশ্চর্য জাদু কবিতাটির মধ্যে আলোর মত ঘুরছে।
অশেষ শুভেচ্ছা নেবেন সুবিৎ
খুব সুন্দর……. অসাধারণ