বেহুলা বাংলা: সনেট এক
তানভীর মোকাম্মেল
এই সকালে বসন্তকালে কন্ঠে হঠাৎ জেগে উঠল অচিন এক সুর
বুঝি এ গান তোমারই পাঠানো যদিও তুমি আলোকবর্ষ দূর
যে সাধনায় ছিলাম মত্ত সেধেছি যে সুর যুগান্ত ধরে গলায়
হঠাৎ তা আজ পেলাম কন্ঠে উজ্জ্বল এই চৈত্র সকালবেলায়
জানি গাইতে হবে এ গান আমায় জলজ বাংলার পথে-প্রান্তরে ঘুরে
জাগাতে ভালোবাসা গাঙ্গুরপারের কোটি মানুষের পাষাণ হৃদয়পুরে
এ গানের সুর স্বর্গীয় সুকুমার তার লয় বাণী আর তান
সঠিক সুরে গাইলে জানি উঠবে জেগে বেহুলা বাংলার প্রাণ;
কন্ঠে আমায় সুর দিয়ে উধাও তুমি এখন বড় দায়
সে গানের বাণী ছড়াব কীভাবে এই সুবিশাল বাংলায়
চিনি না তো কিছু শুধু চিনি এই জলভেজা বাংলার পথঘাট
রুপসী নদীগুলো আর দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ
এইখানেতে গাইব আমি তোমার দেওয়া অলৌকিক সেই গান
ফাগুনে শ্রাবণে নবান্নে ছড়াতে সুফলা বাংলার শাপলাভেজা ঘ্রাণ।।
বেহুলা বাংলা: সনেট দুই
তানভীর মোকাম্মেল
যখন বেহুলা জিজ্ঞেস কর কী এনেছি তোমার উপহার
কিছুই নেই তোমার যোগ্য নতজানু তাই মেনেছি হার
নানাজনে দিই বাজারে কেনা কত বিচিত্র জিনিষপত্র
তোমার জন্যে অশ্রুতে লেখা শুধু কবিতা দু’এক ছত্র
কত বেদনা আর স্মৃতির ভারে লিখে যাই অবলা শত কথা
আশা পাবে তারা তোমার ছোঁয়া হারাবে না আঁধারে এসব নিগূঢ় ব্যথা
কিন্তু আবার এ-ও জানি বেহুলা সুখী করা তোমায় সহজ নয়
ভেসে গেছে কত কবি ভাঙুরের জলে কত শিল্পীর জীবনক্ষয়;
আমার তুচ্ছ উপহার দেখে যদিও তুমি মুখে মৃদু হাস
স্বর্গের সুখ যেন মর্ত্যে নামে শতাব্দীর বেদনা নাশ
না কী এ হাসি কেবলই প্রশ্রয়ের আনাড়ী সন্তানে যা দেয় মা
নিশ্চিত নই এত অনুপ্রাস আমার এত ছন্দ রূপক উপমা
কতটা হয়েছে অব্যর্থ আর কতটা ছুঁয়েছে অভিমানী বাংলার মন
নাকী হাসির আড়ালে খেলছ মরীচিকা আমায় নিয়ে আজীবন।।
তানভীর মোকাম্মেল
এই সকালে বসন্তকালে কন্ঠে হঠাৎ জেগে উঠল অচিন এক সুর
বুঝি এ গান তোমারই পাঠানো যদিও তুমি আলোকবর্ষ দূর
যে সাধনায় ছিলাম মত্ত সেধেছি যে সুর যুগান্ত ধরে গলায়
হঠাৎ তা আজ পেলাম কন্ঠে উজ্জ্বল এই চৈত্র সকালবেলায়
জানি গাইতে হবে এ গান আমায় জলজ বাংলার পথে-প্রান্তরে ঘুরে
জাগাতে ভালোবাসা গাঙ্গুরপারের কোটি মানুষের পাষাণ হৃদয়পুরে
এ গানের সুর স্বর্গীয় সুকুমার তার লয় বাণী আর তান
সঠিক সুরে গাইলে জানি উঠবে জেগে বেহুলা বাংলার প্রাণ;
কন্ঠে আমায় সুর দিয়ে উধাও তুমি এখন বড় দায়
সে গানের বাণী ছড়াব কীভাবে এই সুবিশাল বাংলায়
চিনি না তো কিছু শুধু চিনি এই জলভেজা বাংলার পথঘাট
রুপসী নদীগুলো আর দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ
এইখানেতে গাইব আমি তোমার দেওয়া অলৌকিক সেই গান
ফাগুনে শ্রাবণে নবান্নে ছড়াতে সুফলা বাংলার শাপলাভেজা ঘ্রাণ।।
বেহুলা বাংলা: সনেট দুই
তানভীর মোকাম্মেল
যখন বেহুলা জিজ্ঞেস কর কী এনেছি তোমার উপহার
কিছুই নেই তোমার যোগ্য নতজানু তাই মেনেছি হার
নানাজনে দিই বাজারে কেনা কত বিচিত্র জিনিষপত্র
তোমার জন্যে অশ্রুতে লেখা শুধু কবিতা দু’এক ছত্র
কত বেদনা আর স্মৃতির ভারে লিখে যাই অবলা শত কথা
আশা পাবে তারা তোমার ছোঁয়া হারাবে না আঁধারে এসব নিগূঢ় ব্যথা
কিন্তু আবার এ-ও জানি বেহুলা সুখী করা তোমায় সহজ নয়
ভেসে গেছে কত কবি ভাঙুরের জলে কত শিল্পীর জীবনক্ষয়;
আমার তুচ্ছ উপহার দেখে যদিও তুমি মুখে মৃদু হাস
স্বর্গের সুখ যেন মর্ত্যে নামে শতাব্দীর বেদনা নাশ
না কী এ হাসি কেবলই প্রশ্রয়ের আনাড়ী সন্তানে যা দেয় মা
নিশ্চিত নই এত অনুপ্রাস আমার এত ছন্দ রূপক উপমা
কতটা হয়েছে অব্যর্থ আর কতটা ছুঁয়েছে অভিমানী বাংলার মন
নাকী হাসির আড়ালে খেলছ মরীচিকা আমায় নিয়ে আজীবন।।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন