poem-duto-kobita-jatishawar

জাতিস্মর
সায়নী ব্যানার্জী

অবসাদ এক নির্বাক দাবানল,
মনের জমিতে আগুন আগুন খেলা-
পোড়ে না যারা, তারা যান্ত্রিক জেনে রেখো,
প্রেমিক তো পোড়ে রোজরোজ দুইবেলা ।

চেনা গলি,রাস্তা-ফাঁকা লাগে বুকে,
পরিণত অভ্যাস ঢাকে, দুই চোখে জল-
বোঝাতে চাই ভালো আছি খুব, জানি
আমায় ঘিরেছে- আগ্রাসী দাবানল ।

কত বিদ্রোহ মাঝে ধরে থাকা দুই হাত,
প্রেমের দিব্যি ওড়ে হাওয়ার ইশারায় –
মনের রাজ্যে আগুন হঠাৎ করে লাগে আর,
মানুষ প্রেমিক হলে পুড়তে শিখে যায় ।

অবসাদ নেমে আসে চুপিসারে রোজ,
ভালোবাসা জন্ম নিক জাতিস্মর হয়ে-
যারা পুড়তে শেখেনি আগুনে,দাবানলে,
তারা আবার আসুক ফিরে
প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে । ।

শূন্য
সায়নী ব্যানার্জী

একলা পা রাস্তা হেঁটেছে দূর,
দিগন্ত খেলেছে,পলাশ রাঙা সুখে –
গভীর রাতে স্তব্ধ বনাঞ্চল,
একলা অসুখ ঘর বেঁধেছে বুকে l

তুমি তুমি করে একটা জীবন ভাবি,
যা বাঁচি তা অন্যরকম লাগে-
যে রাজকুমারী প্রাসাদ জুড়ে একা,
আজ বুঝি সে রাত্রি কেন জাগে…

আমার যা কিছু-শূন্য লাগে সব,
এসেছি পথ,আরো অনেকটা বাকি –
দিগন্ত জুড়ে পলাশ সাজানো থাক,
আমার থাকুক ঘরছাড়া কোনও পাখি l

এই শহর যখন ছাতিম,পলাশ,রোদ-
দিন কেটে যায়,একলা কোনও গল্প সেজে-
রাজকুমারীর প্রাসাদ জোড়া অঢেল সুখ-
তবু মুখ লুকিয়ে সেও শুনি বৃষ্টি ভেজে l

একলা পা রাস্তা হাঁটে নিজের মনে,
স্তব্ধতার চিৎকারেতে অসুখ বাড়ে-
একাকিত্বে নেশার মতো ডুবছে মন,
গল্প শেষে সবাই কি আর জিততে পারে ?

 
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *