এলিজি

এলিজি
সুধীর দত্ত

খোলা ছিল একটিই জানালা।
কখনও সে উড়ে আসত মধ্যরাতে, কখনও-বা পরিযায়ী পাখিদের মতো
আমিও গিয়েছি দূর গ্রীন-উড জংগলে।
চৈত্র পূর্ণিমার রাতে যখন পরিরা নামত স্নানে,
এবং ছিটাতো জল, তোলপাড় করত পুষ্কিরিণী
ও তাকিয়ে দেখত নির্ণিমেষ।
দু’চোখে এমন তনহা, সুগভীর ভালোবাসাময়
আমিও দৃষ্টিতে ভিজে
ডানাজোড়া খুলে রেখে হংসীশ্বেত মানবী হয়েছি।
সেই থেকে লোকে বলে ডানাকাটা পরি।
সারা গায়ে ঘৃতগন্ধ সে আমাকে ডাকতো যাজ্ঞসেনী।
আমিও শরীর খুলে ভাঁজে ভাঁজে প্রজ্ঞার আলো
ছড়িয়ে দিয়েছি ওষ্ঠে, সুনিবিড় আত্মার লাবণি।

আজ আমি কাঙাল ; হা হা দীর্ঘ শ্বাসের মতো অনির্বচনীয়া
সে কি কোনো মায়া ছিল, সুপুরি বনের সারি, এক মাইল শান্তিকল্যান!
হঠাৎ-ই আগুন তাকে ঘিরে ধরল,
হে অগ্নি, হে জ্যোতি তুমি, অহঃ, শুক্ল, উত্তরায়ণ,
ছলাৎছল গঙ্গাজল
চেটে খেল নাভি ভস্ম, ধুয়ে দিল সকল প্রদাহ।
আর এই ডানাহীন ধূসরিত নারী
এ পোড়া শরীরে শুধু
হরিণীর স্বাদু মাংস, নিশাকাল, সুরাপায়ীদের।
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *