গার্হস্থ্য
অনিতেশ চক্রবর্তী
১
দেখামাত্র উড়িয়ে দিয়েছ, তুমি কোন
ভিভ রিচার্ডস হে!
অথচ ঝড়ের আগে আমি এসে ডেকেছি তোমাকে
নরম বিপদ আমি রেখে আসছি তোমার দরজায়
এ কেমন বাসা! বাধা নেই, পয়সাকড়ি নেই
আমি যে এসেছি, কোনো সংস্থান নেই কল্পনার
যা চাই, উড়িয়ে দিচ্ছ– এই গ্রহ ওই গ্রহ থেকে
সমস্ত উড়িয়ে দিচ্ছ, সার সার পাখি ও প্রতিমা
দূরের গ্যালারি থেকে ভেসে আসছে অগাধ উল্লাস
চরাচর দুই কাঁধে রিচার্ডস নেমেছে ব্যাট হাতে
কেউ তাঁকে ভয় পাচ্ছে, কেউ মুগ্ধ, কেউ বা কাঙাল
তাদের সমস্ত চেষ্টা উড়ে যাবে মাঠের বাহিরে
ফাঁকা হয়ে যাবে বুক, তোমার বাসাটি যত ফাঁকা
বাধা নেই, মোহ নেই, সীমানার অধিকার নেই
হুহু শূন্যে বল ছুটছে, নিচে বিন্দু, বিন্দুতর কেউ
তাদের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে গার্হস্থ্য, তোমার
২
নরক নরক! আমি সন্দেহ করছি তোমাকে
বাহিরে কী বুভুক্ষু হাওয়া
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভেসে যাচ্ছে চাঁদ
বিশ্বময় একই বিষ, আমার শরীরে, প্রসবেও
অজাতশত্রু জ্যোৎস্না আমাদের ডেকে নিয়ে গেল
আর নিল ভূতে, বারোমাস, দুঃখ অবধান
এমন বসন্তরাতে বৃষ্টি হয়, ছ্যাঁতছ্যাঁতে শীত!
নির্ঘাত নরকজাত, আমার সন্দেহ ভুল নয়
বাহিরে কী চতুর বাতাস
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভেসে যাচ্ছ, যাও
বিশ্বময় একই বিষ, তোমাকেও ঠিক খুঁজে নেবে
আর নেবে ভূতে, চিরকাল, দুঃখ অবধান
৩
পিঠে আঁচড়ের দাগ, সে আমার ত্রাণ
ভাই যে অক্ষর দিল, গ্রীবায় রেখেছি
বুকের আদিম ক্ষত, আত্মীয়নখে
সে আমার কেউ হয়! আমি তার কেউ!
আশ্চর্য প্রেমিক, তার স্পর্শে জ্যোৎস্নাও
নদীতে নোঙর গেঁথে কালো হয়ে গেল
কালো কালো কালরাত্রি, কাল কাকে বলে!
কালের বাথানে ঘোরে পাপের মহিষ
পাপ তো গল্পচ্ছলে, পাপ তো ভ্রুকুটি
কপালে কালশিটে কেন! মায়ের গহনা
বাবা, বাবা– ছুটে এসে কেঁদেছিল মেয়ে
আমার আয়নায় সেও বড়ো হয়ে গেল
বড়ো মানে ওই তিস্তা নদীটার মতো
পদে পদে বাঁধ দেওয়া, বুকে বালুচর
দু-পাড়ে গাছের দেশ ডুবে গেছে জলে
দু-পাশে বাঁধানো সীমা, পেরনো বারণ
বারণ বলেই ভেঙে দিতে সাধ হয়
সাধ হয়, বয়ে আনি ধ্বংস, রমনীয়
ভাঙনে আঁচড় লাগে, সে আমার প্রাণ
প্রিয় যে আঘাত দিল, কলিজা ভরেছি
ভরেছি অগাধ জলে, ভরেছি ক্ষুধায়
ভরেছি আদিম ক্ষত, আত্মীয়তার
আশ্চর্য প্রেমিক, তার চাহনির নিচে
আর নয়, আর নয়– কেঁদেছিল মেয়ে
আমার আয়নায় সেও বড়ো হয়ে গেল।
সে আমার কেউ হয়! আমি তার কেউ!
অনিতেশ চক্রবর্তী
১
দেখামাত্র উড়িয়ে দিয়েছ, তুমি কোন
ভিভ রিচার্ডস হে!
অথচ ঝড়ের আগে আমি এসে ডেকেছি তোমাকে
নরম বিপদ আমি রেখে আসছি তোমার দরজায়
এ কেমন বাসা! বাধা নেই, পয়সাকড়ি নেই
আমি যে এসেছি, কোনো সংস্থান নেই কল্পনার
যা চাই, উড়িয়ে দিচ্ছ– এই গ্রহ ওই গ্রহ থেকে
সমস্ত উড়িয়ে দিচ্ছ, সার সার পাখি ও প্রতিমা
দূরের গ্যালারি থেকে ভেসে আসছে অগাধ উল্লাস
চরাচর দুই কাঁধে রিচার্ডস নেমেছে ব্যাট হাতে
কেউ তাঁকে ভয় পাচ্ছে, কেউ মুগ্ধ, কেউ বা কাঙাল
তাদের সমস্ত চেষ্টা উড়ে যাবে মাঠের বাহিরে
ফাঁকা হয়ে যাবে বুক, তোমার বাসাটি যত ফাঁকা
বাধা নেই, মোহ নেই, সীমানার অধিকার নেই
হুহু শূন্যে বল ছুটছে, নিচে বিন্দু, বিন্দুতর কেউ
তাদের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে গার্হস্থ্য, তোমার
২
নরক নরক! আমি সন্দেহ করছি তোমাকে
বাহিরে কী বুভুক্ষু হাওয়া
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভেসে যাচ্ছে চাঁদ
বিশ্বময় একই বিষ, আমার শরীরে, প্রসবেও
অজাতশত্রু জ্যোৎস্না আমাদের ডেকে নিয়ে গেল
আর নিল ভূতে, বারোমাস, দুঃখ অবধান
এমন বসন্তরাতে বৃষ্টি হয়, ছ্যাঁতছ্যাঁতে শীত!
নির্ঘাত নরকজাত, আমার সন্দেহ ভুল নয়
বাহিরে কী চতুর বাতাস
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভেসে যাচ্ছ, যাও
বিশ্বময় একই বিষ, তোমাকেও ঠিক খুঁজে নেবে
আর নেবে ভূতে, চিরকাল, দুঃখ অবধান
৩
পিঠে আঁচড়ের দাগ, সে আমার ত্রাণ
ভাই যে অক্ষর দিল, গ্রীবায় রেখেছি
বুকের আদিম ক্ষত, আত্মীয়নখে
সে আমার কেউ হয়! আমি তার কেউ!
আশ্চর্য প্রেমিক, তার স্পর্শে জ্যোৎস্নাও
নদীতে নোঙর গেঁথে কালো হয়ে গেল
কালো কালো কালরাত্রি, কাল কাকে বলে!
কালের বাথানে ঘোরে পাপের মহিষ
পাপ তো গল্পচ্ছলে, পাপ তো ভ্রুকুটি
কপালে কালশিটে কেন! মায়ের গহনা
বাবা, বাবা– ছুটে এসে কেঁদেছিল মেয়ে
আমার আয়নায় সেও বড়ো হয়ে গেল
বড়ো মানে ওই তিস্তা নদীটার মতো
পদে পদে বাঁধ দেওয়া, বুকে বালুচর
দু-পাড়ে গাছের দেশ ডুবে গেছে জলে
দু-পাশে বাঁধানো সীমা, পেরনো বারণ
বারণ বলেই ভেঙে দিতে সাধ হয়
সাধ হয়, বয়ে আনি ধ্বংস, রমনীয়
ভাঙনে আঁচড় লাগে, সে আমার প্রাণ
প্রিয় যে আঘাত দিল, কলিজা ভরেছি
ভরেছি অগাধ জলে, ভরেছি ক্ষুধায়
ভরেছি আদিম ক্ষত, আত্মীয়তার
আশ্চর্য প্রেমিক, তার চাহনির নিচে
আর নয়, আর নয়– কেঁদেছিল মেয়ে
আমার আয়নায় সেও বড়ো হয়ে গেল।
সে আমার কেউ হয়! আমি তার কেউ!
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন