poem-jwar-o-nojor

জ্বর ও নজর
ভাগ্যধন বড়ুয়া


ক।
চেনা মুখ ধীরে ধীরে ঝাপসা সমর্পিত কুয়াশায়
কাছাকাছি কাঁচে ঘেরা, দেখা যায়, সাক্ষাৎ নিষেধ
অতীত হিসাব বাকি, না-মিটিয়েই দূরত্ব পার
পাথরের ভার নিয়ে কি লাভ সম্পর্ক নবায়ন?

খ।
প্রাপ্তির হিসাব নিয়ে কেন অহেতুক মন ভারী?
ভার বেড়ে গেলে মেঘ ঘন হয়, রূপান্তর ঝড়ে
পুনশ্চ নতুন যাত্রা, হোঁচটে রক্তাক্ত পদতল
উপমনে ভয় নিয়ে কতোদূর পাড়ি দিবে পথ?

গ।
সন্ধ্যায় পাখিরা উড়ে উড়ে পূর্বদিকে কই যায়?
সূর্য তার যাত্রাপথে শত প্রশ্ন পায় মহাশূন্যে!
দক্ষিণে জিজ্ঞাসা বাড়ে উত্তরদিকে উত্তর নেই
গতিতে ঘূর্ণিত আমি একাধিক সূর্যাস্তের সাক্ষী

ঘ।
মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে বের হয় দিন চৌরাস্তার মোড়ে
আগেতো শুনেনি কেউ নৈকট্য ছোঁয়াচে মহামারী!
দূরে থাকি মেপে মেপে কিন্তু কতোদিন দূরে থাকা?
চোখের আড়াল হলে আতংকে নিয়তি মাপে মন

ঙ।
আঁধারের ঘের দেখি জীবাণুর মহামারী কালে
মমতা ছোঁয়াচে হলে কিছুদিন বেঁচে যাবো হয়তো
পাশে কেউ নেই, খালি। কারা ছিল সঙ্গে এতোদিন?
আলো-ছায়া খেলা করে দাগ লাগা সাদা বিছানায়

চ।
অদৃশ্য জীবাণু বর্শা বুকে বিঁধে কেড়ে নেয় শ্বাস
চিহ্নিত গোলক জুড়ে লালদাগে ভরা নোটবুক
লাভ-ক্ষতি পরিমাপে লালচিহ্ন আবার সরব
ধরিত্রীর ঘর কই, কোন কোণে লুকাবো তোমায়?

ছ।
দীর্ঘতর কালোছায়া, অগ্রসর দূর থেকে কাছে
পথে ছিল পাত্তা দিইনি, চুপচাপ দরজার কাছে মুখ
সূর্যের উদয়-অস্ত গুরুত্বহীন সন্ত্রস্ত মনে
ছায়াটা সরাতে চাই ; একি! এটা কি সমাপ্তিরেখা?

জ।
খবর নিলেই জানি, কে কে গেছে মেঘের ওপারে
কথা হয়েছিল পরশু; জানা হলো কে কেমন আছে!
অনুরণন পাঁজরে, মনোটান গভীরতা বোঝে
উজ্জ্বল স্মৃতির ক্ষণ জমা হয় চোখের পাতায়

ঝ।
মধ্যরাতে বেজে ওঠা ফোন মানে নাজুক খবর!
কম্প মনে কথা বলি, শুনি বিস্তারিত বিবরণ
চোখের আড়ালে ছিল অথচ জানতাম সব ঠিক
অজানা অনেক থাকে, জানবো অন্য কোনদিন!

ঞ।
মারীকাল শেষ কবে? চেনা সাগরের ঢেউ ডাকে
জলের উৎসব শুরু আবহাওয়া মনের মতোন
গাঙচিল দেখিনি কেন? জলমগ্ন ছিলাম অধিক
পৃথিবীর তিন ভাগে ভেসে ভেসে ডুবে থাকি ঘরে

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *