যে শেষ রাতে ঘরে ফিরে, কাজল তোলে
তার জন্যে কেউ ভাত বাড়ে না।
দেখেও না কেউ তার চোখের নীচে কালি-
কালির ওপারে নানা বিপর্যয় এবং তার কবিতার বইয়ের পাতার
অন্ধকার-।
উৎসবের প্রদীপ দেখে দূর থেকে চাবি হাতড়ায় সে –
তালা খোলে
তার জলহীন পিপাসার দিন মনে রাখে চাঁদ।
জ্যোৎস্নার শীর্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তার
আকুল বিরহ।
তার তো ভাতের থালা নেই
জলের গেলাস নেই
উনুনও মরে গেছে কোন কালে
তথাপি, সে কাজল পাতে
মেঘ লিখে যায়
আচমন মিথ্যে জেনেও সে পাতায় কিছু
ক্ষত ও রক্তপাত লিখে
খালি পেটে ঘুমিয়ে পড়া অভ্যাস করে ফেলেছে – বহুকাল ।
সে লেখে – সে জানে খেলা ঘুরবেই…