অন্ধ কর্ণপাত
ওবায়েদ আকাশ
জাগো, মধ্যরাত ছুঁই ছুঁই
বন্ধুর অফিস, টিকটক টিক, বিপন্ন কার্নিশ ধরে
ছুটছে তো ছুটছেই, রেলগাড়ি-
ইত্যবসরে উত্তপ্ত ইউক্রেন, রাশিয়ার সমরাস্ত্র যান
যুদ্ধ-বিমান, অস্থির মহাকাল
তুমি-আমি কফির পেয়ালা ফেলে
তছনছ পৃথিবীটা ছেড়ে দৌড়ে চলেছি উদ্যান-
আর এ- বিশ্ব, জ্বালানি সংক্রাম নিয়ে
দুই কাঁধে তুলেছে পাহাড়, কণ্টকাকীর্ণ বাজার-রাস্তা-মহাদেশ
মূল্যাস্ফীতি, ঝড়; ঝিমধরা পড়ন্ত বয়স-
শ্রাবণের তপ্ততায় গলছে ভূগোল, সচল প্রতিভা
আবির্ভূত মহারোগ, পরমায়ু ধ্বংসাবশেষ
কিছুই ফেলনা নয়, হাস্যকর উজিয়ে চলেছে যুদ্ধ
বন্ধু প্রবুদ্ধ দেখতে না দেখতে ঘুমাইল চিরতরে
যদি আর একবার পাইতাম তারে…
ভেবেছি মাটির চোয়াল আলগা করে
কোনোদিন হবো না নতমুখ-
অভিমান করে দেখো কবি-
এত এত বর্ষাকাল কাটিয়েছি, ধারায়-বৃষ্টিতে
এবার দেখি তো, কত রক্ত চুয়াতে চুয়াতে ফেটে যায় মেঘমালা!
চারদিকে দরজা-জানালা সেঁটে কবিতাকে
দুই হাতে প্রহার করতে করতে বুঝি- এখন কবিতার মরসুম
আমি কবি- একলাই কবি! অন্ধ কর্ণপাত
ওবায়েদ আকাশ
জাগো, মধ্যরাত ছুঁই ছুঁই
বন্ধুর অফিস, টিকটক টিক, বিপন্ন কার্নিশ ধরে
ছুটছে তো ছুটছেই, রেলগাড়ি-
ইত্যবসরে উত্তপ্ত ইউক্রেন, রাশিয়ার সমরাস্ত্র যান
যুদ্ধ-বিমান, অস্থির মহাকাল
তুমি-আমি কফির পেয়ালা ফেলে
তছনছ পৃথিবীটা ছেড়ে দৌড়ে চলেছি উদ্যান-
আর এ- বিশ্ব, জ্বালানি সংক্রাম নিয়ে
দুই কাঁধে তুলেছে পাহাড়, কণ্টকাকীর্ণ বাজার-রাস্তা-মহাদেশ
মূল্যাস্ফীতি, ঝড়; ঝিমধরা পড়ন্ত বয়স-
শ্রাবণের তপ্ততায় গলছে ভূগোল, সচল প্রতিভা
আবির্ভূত মহারোগ, পরমায়ু ধ্বংসাবশেষ
কিছুই ফেলনা নয়, হাস্যকর উজিয়ে চলেছে যুদ্ধ
বন্ধু প্রবুদ্ধ দেখতে না দেখতে ঘুমাইল চিরতরে
যদি আর একবার পাইতাম তারে…
ভেবেছি মাটির চোয়াল আলগা করে
কোনোদিন হবো না নতমুখ-
অভিমান করে দেখো কবি-
এত এত বর্ষাকাল কাটিয়েছি, ধারায়-বৃষ্টিতে
এবার দেখি তো, কত রক্ত চুয়াতে চুয়াতে ফেটে যায় মেঘমালা!
চারদিকে দরজা-জানালা সেঁটে কবিতাকে
দুই হাতে প্রহার করতে করতে বুঝি- এখন কবিতার মরসুম
আমি কবি- একলাই কবি! অন্ধ কর্ণপাত
এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন
“অন্ধ কর্ণপাত’ কবিতাটি কবি ওবায়েদ আকাশের সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ ও বিশ্বায়নের চরম বাস্তবতার প্রেক্ষিত এক
বলিষ্ঠ প্রতিফলন যা কবির দৃষ্টি ও বোধকে কাব্যিক প্রাঞ্জলতায় প্রকাশ করা হয়েছে। কবির দ্রোহ আর হতাশাও যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে এই কবিতায়।