poem-paribartan

পরিবর্তন
ইউসুফ মুহম্মদ


পাগলিনী অণু- গর্ভগুহা ভেঙে,
ঘুঙুরে মাটির স্পর্শ নিল
কেপেঁ ওঠলো সুবহ্সাদেক, বেবাক দুনিয়া।
অবুঝ মানুষ ধরণীর ঋজু আঙিনায়
একতারা বাজিয়ে অস্থির হলে
উড়ে আসে জ্বলজ্বলে অন্ধকার–

স্পর্শ করোনা গোলাপ…
বসন্ত বিলাস, সোনালুর রঙভর্তি রোদে
হেসে ওঠে জহর-পাথর।
ওলট পালট কর্মযোগে বড় আহ্লাদ তোমার,
কেউ তো বাঁচার সূত্রে একান্ত গোপনে
নিরবে তালাস করে মন্ত্রপাঠের সুযোগ।

নখরে কাঁচুলি খোলো পিঠ চুলকাও
উল্কি আঁকো লিখে রাখো জখম তাবিজ।
সে নখ পারে না চিমটি কেটে
তুলে নিতে মরণ অসুখ।

মানুষের শারিরীক বর্ণমালা কত না অদ্ভুত,
যে আঙুল কাদায় রোপণ করে বীজ…
চাইলে চতুর ভঙ্গিতে নেভাতে পারে
অলিখিত আগুনের রূপ ;

সারাতে পারে না নাড়াতে পারে না
বিষন্ন বাতাসে
মৃত্যুর বানান লেখা কফিনের দাগ!

মানচিত্র উল্টে দিতে বিমূর্তের স্পর্শই যথেষ্ট।

এই পৃষ্ঠাটি লাইক এবং শেয়ার করতে নিচে ক্লিক করুন

2 thoughts on “poem-paribartan

Leave a Reply to হোসাইন কবির Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *